লক্ষণ:

পাতা, কান্ড ও শীষ আক্রান্ত হয়। প্রথমে পাতায় ডিম্বাকৃতির দাগ পড়ে যার দু প্রান্ত লম্বা হয়ে চোখাকৃতি ধারণ করে। দাগের মধ্যভাগ ছাই রংয়ের ও বাইরের দিকের প্রান্ত গাঢ় বাদামী হয়। অনেকগুলি দাগ একত্রিত হলে পাতাটি মরে যেতে পারে। রাতে ঠান্ডা, দিনে গরম এবং শিশির থাকলে এ রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়।

 

ব্যবস্থাপনা:

  • জমিতে সব সময় পানি ধরে রাখা।
  • কুশি অবস্থায় রোগটি দেখা দিলে বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করে সেচ দেওয়া।
  •  ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি বা জিল ৭৫ ডব্লিউপি ২ গ্রাম/ লিটার হারে মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করা।
  • পাইরাক্লোস্ট্রাবিন + ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক নো ব্লাস্ট ৩৮ এসপি ১মি .লি./লি বা  বীর ৭০ ডব্লিউপি ১ গ্রাম/লি.পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. ধান কাটার পর শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলুন।

২. মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করুন।

৩. মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করুন।

এ রোগের আশঙ্কা থাকলে জমিতে পটাশ সার দুইবারে প্রয়োগ করুন (জমি তৈরির সময় অর্ধেক ও চারা লাগানোর ৩০ দিন উইরিয়া উপরি প্রয়োগের সময় অর্ধেক)।