লক্ষণ:

এ রোগে প্রাথমিক অবস্থায় পানির উপরিভাগে খোলের উপর পানি ভেজা হালকা সবুজ রঙের দাগ পড়ে। ডিম্বাকৃতি বা বর্তুলাকার এ সব দাগ প্রায় ১ সেন্টিমিটার লম্বা হয় এবং বড় হয়ে দাগগুলো ২-৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে। কয়েকটি দাগ পরে একত্রে মিশে যায়।তখন আক্রান্ত খোলটার উপর ছোপ ছোপ দাগ মনে হয়। অনুকুল এবং আর্দ্র পরিবেশে আক্রান্ত কান্ডের নিকটবর্তী পাতাগুলোও আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণতঃ ফুল হওয়া থেকে ধান পাকা পর্যন্ত রোগের লক্ষণ স্পষ্ট দেখা যায়। আক্রান্ত জমি মাঝে মাঝে পুড়ে বসে যাওয়ার মত মনে হয় । রোগের প্রকোপ বেশি হলে ধান চিটা হয়ে যায়।

 

ব্যবস্থাপনা:

১. রোগ দেখার পর ১৫ দিন অন্তর বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ দুই কিস্তিতে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

২. রোগ দেখা দিলে পর্যায়ক্রমে ক্ষেতে পানি দেয়া ও ক্ষেত শুকানো হলে রোগের প্রকোপ কমে।

৩. রোগ বেশি মাত্রায় দেখা দিলে টেবুকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ফলিকুর ১ মিলি বা নাটিভো ০.৫ গ্রাম অথবা কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: এমকোজিম ৫০ ডব্লিউপি ১ গ্রাম বা নোইন ৫০ ডব্লিউপি ২ গ্রাম অথবা হেক্সাকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: কনটাফ ৫ ইসি বা সাবাব ৫ ইসি ১ মিলি অথবা এমিস্টার টপ ১ মিলি হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা । অথবা এ রোগের জন্য অন্য নামে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করা ।

 

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. রোগ সহনশীল জাত যেমন: ব্রি ধান৩১, ব্রি ধান৩২ , ব্রি ধান৪১ বা ব্রি ধান৪৪ চাষ করা যেতে পারে।

২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা।

৩. লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।

৪. জমিতে সুষম পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার প্রয়োগ করা।

৫. ধানের জাত অনুসারে সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।