লক্ষণ:
পাতায় প্রথমে তিলের দানার মতো ছোট ছোট বাদামী
দাগ হয়। ক্রমান্বয়ে বেড়ে ওঠা গোলাকৃতি দাগের মাঝখানটা অনেক সময় সাদাটে ও কিনারা বাদামী
রঙের হয়। একাধিক দাগ মিলে বড় দাগের সৃষ্টি হয়ে সমস্ত পাতাটিই দাগে পরিপূর্ণ হয়ে যেতে
পারে এবং গাছটি মরে যেতে পারে।
ব্যবস্থাপনা:
# বীজতলা বা জমিতে পরিমিত সেচ দেয়া।
# জমিতে পর্যাপ্ত পরিমানে নাইট্রোজেন ও পটাশ
সার ব্যবহার করা।
# পরিমানমতো ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করলে এ রোগ
আর বাড়তে পারেনা।
# রোগ বেশি মাত্রায় দেখা দিলে কার্বেন্ডাজিম
গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: এমকোজিম ৫০ ডব্লিউপি ১ গ্রাম বা নোইন ৫০ ডব্লিউপি ২ গ্রাম
অথবা হেক্সাকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: কনটাফ ৫ ইসি অথবা সাবাব ৫ ইসি প্রতি লিটার
পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করা। অথবা এই্ গুপের অন্য নামে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক
অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করুন
২. বপনের পূর্বে কেজি প্রতি ৩ গ্রাম প্রোভ্যাক্স
বা কর্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বীজ শোধন করুন।
৩. ফসল কাটার পর আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের
জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।