লক্ষণ:
এটি একটি বীজবাহিত
রোগ। এ রোগের স্পষ্ট লক্ষণ হলো আক্রান্ত চারা স্বাভাবিক চারার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লম্বা
হয় এবং আক্রান্ত চারার পাতা হলদে সবুজ হয়। আক্রান্ত চারাগুলো বেশী দিন বাঁচে না। আক্রান্ত
গাছের কুশি লিকলিকে হয়। এদের ফ্যাকাশে সবুজ পাতা অন্যান্য গাছের উপর দিয়ে দেখা যায়
এবং নীচের দিকে গিঁটে অস্থানিক শিকড়ও দেখা যেতে পারে। আক্রান্ত গাছ যদি কোন রকমে বাঁচে
তবে সেগুলো থেকে চিটা ধান হয়। অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন সার ব্যবহার এবং ৩০-৩৫০ সেন্টিগ্রেড
তাপমাত্রা এ রোগের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
ব্যবস্থাপনা:
• বীজতলা আর্দ্র বা ভিজে রাখা। • আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলা। * চারা লাগানোর ক্ষেত আক্রান্ত হলে আক্রান্ত
জমির পানি শুকিয়ে দেয়া ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত
থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
২. একই জমি বীজতলার
জন্য বার বার ব্যবহার না করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. কিছুটা প্রতিরোধ
সম্পন্ন ধানের জাত যেমন- বিআর ১৪, ব্রিধান ১৮, ব্রিধান ৪২, ব্রিধান ৪৪ ও ব্রিধান ৪৫
এর চাষ করুন
২. বীজতলা থেকে
চারা তোলার সময় আক্রান্ত চারাগুলো আলাদা করে ফেলে দেওয়া।
৩.বীজ বপনের পূর্বে
ব্যাভিষ্টিন অথবা নোইন নামক ছত্রাকনাশক ৩ গ্রাম ১ লিটার পানিতে গুলে বীজ এক রাত ভিজিয়ে
রাখুন
৪. মাটি পরীক্ষা
করে জমিতে সুষম সার দিন। ।