লক্ষণ:
পাতার আগায় বা কিনারায় বা অনেক সময় মাঝখানে
পানি চোষা জলছাপের মত দাগ পড়ে । দাগ গুলো ক্রমান্বয়ে বড় হয়ে অনেকটা আয়তকার বা ডিম্বাকৃতি
এবং অনেকটা জলপাই রঙের মত হয় । দাগের ভেতর জেব্রার গায়ের মত ডোরাকাটা গাঢ় বাদামী চওড়া
এবং হালকা বাদামী রেখা পর পর বেষ্টন করে । বেশি আক্রমণে পাতা শুকিয়ে খড়ের মত হয় ।
নিশ্চিত
হওয়ার পরীক্ষা:
আক্রান্ত পাতা কেটে স্বচ্ছ পানিতে ৫-১০ মিনিট
ভিজিয়ে রাখলে যদি পুঁজ বা দুধ জাতীয় পদার্থ কাটা অংশ থেকে বের হয় তবে বুঝতে হবে এটা
ব্যাকটেরিয়া জনিত পাতা পোড়া রোগ আর যদি কোন কিছু বের না হয় তবে সেটা পাতার ফোস্কা রোগ
।
ব্যবস্থাপনা:
* জমি আগাছামুক্ত রাখা ।
* পরিমিত ইউরিয়া সার ব্যবহার করা ।
* অধিক আক্রমণের ক্ষেত্রে সালফার ছত্রাক নাশক
( যেমন: থিওভিট ) ১কেজি/একর হারে প্রয়োগ করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ঔষধ দিয়ে বীজ শোধন
। প্রতি কেজি বীজের জন্য ৩ গ্রাম এক লিটার পানিতে গুলে এক রাত ভিজিয়ে রাখা ।
২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা।
৩. লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া
জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।
৪. সুষম পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ
সার ব্যবহার করা।
৫. ধানের জাত অনুসারে সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ
করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।