লক্ষণ:

পানির উপরিতল বরাবর কুশীর বাইরের খোলে কালচে গাঢ় অনিয়মিত দাগ পড়ে । ক্রমান্বয়ে দাগগুলো বড় হয়ে পরস্পর মিশে সমস্ত খোলে ছড়িয়ে পড়ে । ছত্রাক কান্ডের ভেরতে প্রবেশ করে কান্ডকে পঁচিয়ে ফেলে । আক্রন্ত কুশী থেকে শীষ বের হলে চিটা ও অপুষ্ট হয়

 

ব্যবস্থাপনা:

১. রোগ দেখা দিলে ক্ষেতে পর্যায়ক্রমে পানি দেয়া ও শুকানো। ।

২. প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক যেমন: কপাড় অক্সিক্লোরাইড (০.৪%)বা কার্বেন্ডাজিম(০.২%) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: নোইন ২ গ্রাম/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. রোগ সহনশীল জাত যেমন: ব্রি ধান ৩১, ব্রি ধান ৩২, ও ব্রি ধান ৪৭ চাষ করা যেতে পারে।

২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা।

৩. লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।

৪. সুষম পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহার করা।

৫. ধানের জাত অনুসারে সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।