যে সব দেশী পাটের
ক্ষেতে পানি নিষ্কাশন করা যায় না, সে সব ক্ষেতের পাট গাছের গোড়ায় সাদা তুলার আঁশের
মত এক প্রকার ছত্রাক রাতারাতি বেড়ে উঠে। কয়েকদিন পর সরিষার দানার মত বাদামী রংয়ের জীবাণুর
দানা দেখা যায়। এ রোগের ফলে গাছের গোড়া পঁচে যায় এবং গাছ ভেঙ্গে পড়ে। জুন থেকে অক্টোবর
মাস পর্যমত্ম এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়। জমিতে এ রোগ দেখা দিলে গাছ কেটে আঁশ সংগ্রহ
করা উচিত। দেশী ও তোষা উভয় পাটেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।
প্রতিকার
১. এ রোগের প্রতিকারের
জন্য জমি পরিষ্কার পরিছন্ন এবং আর্বজনামুক্ত রাখতে হবে।
২. পানি নিষ্কাশনের
উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. ডাইথেন এম-৪৫
প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম মিশিয়ে গাছের গোড়ায় পর পর দু’দিন প্রয়োগ করলে রোগের
ব্যাপকতা কমে যায়।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ
পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
০. বীজ বপনের আগে
বীজ শোধন করে নিতে হবে। বীজ শোধনের জন্য ভিটাভেক্স ২০০ (০.৪%)/প্রোভেক্স-২০০ (০.৪%)
এর ব্যবহারে যথেষ্ট সুফল দেয়। পাটের প্রধান ছত্রাকজনিত রোগগুলো বীজ ও মাটি বাহী। বপনের
আগে বীজ শোধনের ফলে রোগের প্রকোপ অনেক কমে যায়। শোধন করা সম্ভব না হলে বপনের আগে বীজ
রোদে ভালভাবে শুকাতে হবে।
১. পাটের জমির
পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা রাখুন
২. পাট কাটার পর
গাছের গোড়া, শিকড় ও অন্যান্য পরিত্যাক্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।