স্ত্রী পোকা তার
শুড় দ্বারা গাছের ডগা, পর্বে বা গিটে ছিদ্র করে ডিম পারে । চেলে পোকা আলপিনের ছিদ্রের
মতো করে পাতা খায়। গাছের ডগা মারা যায় ও শাখা-প্রশাখা বের হয়। আক্রান্ত স্থান থেকে
এক প্রকার আঠা বের হয়ে আসে এবং কীড়ার মলের সাথে শক্ত গিটের সৃষ্টি করে, পাট পঁচানোর
সময় সেই গিট পচে না। এই গিটযুক্ত আঁশ বাজারে নিম্ন শ্রেণীর বলে বিবেচিত হয় এবং আশেঁর
মান ক্ষুন্ন হয়। ফলে দামও কম পাওয়া যায়।
প্রতিকার
১. পাট ক্ষেতের
পাশে বনওকড়া গাছ এবং অন্যান্য আগাছা পরিস্কার রাখলে এ পোকার আক্রমণ কম হয়।
২. প্রাথমিক অবস্থায়
ডগা আক্রান্ত চারাগুলো তুলে ফেললে পরবর্তীতে এদের আক্রমণ কমে যায়।
৩. গাছের উচ্চতা
১২-১৪ সেন্টিমিটার লম্বা হওয়ার পর চেলে পেকার আক্রমণ বেশী হলে কীটনাশক ঔষধ ছিটিয়ে দিলে
ভাল ফল পাওয়া যায়। এক মৌসুমে তিনবার ঔষধ ছিটিয়ে প্রায় সম্পূর্ণরূপে পোকা দমন করা যায়।
কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: সেভিন ১.৭০ কেজি / হেক্টর হারে প্রয়োগ করা বা মেটাসিসটক্স
৫০ ইসি বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ মিলি অর্থাৎ ১২ লিটার পানির সাথে
১৮ মিলি বা চা চামচের সাড়ে তিন চামচ ( ১ চা চামচ = ৫ মিলি) ক্ষেতে ছিটালে ভাল ফল পাওয়া
যয়।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ
পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ
পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন