পোকার ডিম থেকে বের হওয়ার পর সদ্যজাত লার্ভা
রাইজোম ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে এবং রাইজোমের অভ্যন্তরীণ অংশ খায়। আক্রান্ত গাছ হলুদ হয়ে
যায়। পরবর্তীকালে রাইজোমে পচন ধরে। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে গাছ থেকে কোনো ফলন পাওয়া
যায় না। এ পোকা আদার রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ পোকা ডিম পাড়া এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়ার
জন্য ছত্রাক আক্রান্ত আদা গাছ পছন্দ করে। রোগাক্রান্ত রাইজোমের মধ্যে পোকার লার্ভা
এবং পিউপা দেখা যায়। এ ছাড়াও পূর্ণ বয়স্ক পোকাগুলো আদা গাছে ব্যাকটেরিয়াল উইল্টের বাহক
হিসেবে কাজ করে।
প্রতিকার :
·
লার্ভা ও পিউপাসহ পচা রাইজোম সংগ্রহ
এবং ধ্বংস করে ফেলতে হবে। গাছের গোড়ার মাটি নিয়মিত উলোট-পালোট করতে হবে, কারণ পোকা
মাটিতে ডিম পাড়ে।
·
যেহেতু রোগাক্রান্ত রাইজোমে পোকার
আক্রমণ হয় এ জন্য ফসলকে রোগমুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
·
অত্যধিক আক্রান্ত এলাকায় আক্রমণের
শুরুতে নিম্নলিখিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। কার্বোসালফান (মার্শাল ২০ ইসি, সানসালফান
২০ ইসি, জেনারেল ২০ ইসি বা অন্য নামের) অথবা ফেনিট্রোথিয়ন (ফেনিটকস ৫০ ইসি, সুমিথিয়ন
৫০ ইসি, ইমিথিয়ন ৫০ ইসি, সোভাথিয়ন ৫০ ইসি বা অন্য নামের) প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি
হিসেবে আদা ক্ষেতে স্প্রে করতে হবে। স্প্রে করার সময় খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়ার মাটি
যেন ভিজে যায়। ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আদা লাগানোর পর পিলাই ( গাছ বের হবার পর
লাগানো আদা ) তুলবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. স্বাস্থ্যবান এবং রোগমুক্ত রাইজোম বীজের
জন্য নির্বাচন করে বপন করুন
২. উন্নত জাতের আদা বপন করুন ।