লক্ষণ:
ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে পাতায় একত্রে গাদা
করে থাকে এবং পাতার সবুজ অংশ খেয়ে বড় হতে থাকে । এভাবে খাওয়ার ফলে পাতা জালের মত হয়ে
যাওয়া পাতায় অনেক কীড়া দেখতে পাওয়া যায় । কয়েক দিনের মধ্যে এরা ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে এবং
বড় বড় ছিদ্র করে পাতা খেয়ে ফেলে ।
প্রতিকার:
১. যেহেতু পোকার কীড়া প্রথম দিকে দলবদ্ধ অবস্থায়
থাকে সেজন্য প্রতিটি গাছ যত্ন নিয়ে দেখলেই পাতায় কীড়াসহ গাছ থেকে ছিড়ে নিয়ে পা দিয়ে
পিষে মেরে ফেলতে হবে এবং ছড়িযে পড়া বড় কীড়াগুলোকে ধরে ধরে মেরে ফেলতে হবে । এভাবে অতি
সহজেই এ পোকা দমন করা যায় ।
২. চারা লাগানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে
ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে ।
৩. ফেরোমন ফাঁদ পাতার পরও যদি আক্রমণের চিহ্ন
পরিলক্ষিত হয় তবে জৈব বালাইনাশক এসএনপিভি প্রতি লিটার পানিতে ০.২ গ্রাম হারে মিশিয়ে
১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে ।
৪. প্রতি সপ্তাহে একবার করে কীড়া নষ্টকারী
পরজীবী পোকা, ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করলে এ পোকার আক্রমণের হার
অনেকাংশে কমে যায়
৫. আক্রমণ বেশি হলে স্পর্শ বিষ যেমন সাইপারমেথ্রিন
জাতীয় কীটনাশক (সুপারথ্রিন, সিমবুশ, ফেনম রাইসন ইত্যাদি ১০ তরল) প্রতি ১০ লিটার পানির
সাথে ১০ মিলি হারে মিশিযে ১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা