ক্ষতির লক্ষণ:
ইক্ষু্র বয়স যখন
৮-৯মাস হলে এ রোগের আক্রমণ দেখা যায় । আক্রান্তর গাছের পাতা নেতিয়ে পড়ে এবং উপর থেকে
শুকাতে থাকে । আক্রান্ত ইক্ষু লম্বালম্বিভাবে চিড়লে কান্ডের মধ্যভাগে গিরার নিকটে গাঢ়
লাল রং দেখা যায় । লাল পচা রোগের মতই উইল্ট রোগে আক্রান্ত আখের গিটের অংশে ইটের ন্যায়
লাল হয় কিন্তু এক্ষেত্রে ছোপ সাদা আড়াআড়ি দাগ দেখা যায় না । রোগের প্রকোপ বেশী হলে
আক্রান্ত ইক্ষুর ভিতরে ফাঁপা হয় এবং কান্ড শুকিয়ে যায় । খুব অল্প সময়ের মধ্যে আক্রান্ত
জমির ইক্ষু শুকিয়ে যায় ।
ব্যবস্থাপনা :
১. আক্রান্ত গাছ
জমি থেকে শিকড় সমেত তুলে ফেলুন।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. রোগাক্রান্ত
জমি থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।
২. আক্রান্ত জমিতে
পরবর্তীতে ইক্ষু চাষ না করে অন্য ফসলের আবাদ করুন ।
৩. রোগাক্রান্ত
জমিতে ইক্ষুর মুড়ি চাষ করা যাবে না ।
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. প্রতি লিটার
পানিতে ১ গ্রাম হারে ব্যাভিস্টিন বা নোইন নামক ছত্রাক নাশক মিশিয়ে রোপনের আগে ৩০ মিনিট
ধরে বীজ শোধন করে নিন
২.অনুমোদিত রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতের চাষ করতে হবে ।
৩. জমিতে যথাযথ
উর্বরতা এবং রস সংরক্ষণ করতে হবে ।
৪. ইক্ষু কাটার
পর মোথাসমেত সমস্ত মরা মাতা পুড়িয়ে ফেলতে হবে ও প্রখর রোদ্র দ্বারা আক্রান্ত জমির মাটি
শুকানোর ব্যবস্থা নিতে হবে ।