লক্ষণ
সাধারণত চারা রোপনের ৪/৫ সপ্তাহের মধ্যেই
এ পোকারা আক্রমণ শুরু হতে দেখা যায় । এই পোকার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক লক্ষণ
হিসাবে জমিতে সদ্য নেতিয়ে ডগা চোখে পড়ে ।
প্রতিকার
১. সপ্তাহে অন্ততঃ একবার পোকা আক্রান্ত ডগা
বাছাই করে বিনষ্ট করতে হবে ।
২. ফেরোমন ফাঁদের ব্যবহারঃ চারা রোপনের ২/৩
সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে। (প্রতি শতাংশে ১টি)
৩. আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে জৈব বালাইনাশক,
স্পেনোসেড ( ট্রেসার ৪ মিলি./ ১০ লি. পানি হারে ) স্প্রে করতে হবে । গাছের ফুল আসার
সময় হতে প্রতি ২ সপ্তাহ অন্তর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে ।
৪. প্রতি ১৫ দিন পর পর উপকারী পোকা, ট্রাইকোগ্রামা, কাইলোনিজ ও ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করতে হবে ।
৫. আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে ভলিয়াম ফ্লাক্সি
৩০০ এসসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিঃলিঃ হারে বা কারটাপ গ্রুপের কীটনাশক যেমন: সানটাপ
২.৪ গ্রাম/ লি. হারে বা সাইপামেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: রিপকর্ড বা ফেনকর্ড বা
ম্যাজিক বা কট ০.৫ মিলি./ লি হারে বা ডেল্টামেথ্রিন গ্রুপের কীটমাশক যেমন: ডেসিস বা
ক্র্যাকডাউন ১ মিলি./ লি হরে বা এ পোকার জন্য অন্যান্য অনুমোদিত রাসায়নিক কীটনাশক
১০-১২ দিন পর পর ৪-৫ বার স্প্রে করতে হবে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা