লক্ষণ :
এ পোকা নারিকেলের মাইজ পাতা বের হবার আগে
ভিতরে কেটে দেয় ফলে ত্রিভুজের মত নকশা করে কাটা পাতা বের হয় । পূর্ণ বয়স্ক পোকা গাছের
মাথায় আক্রমণ করে ও কান্ড ছিদ্র করে ঢুকে ভিতরের কোষ কলা খেতে থাকে।
প্রতিকার :
# গোবরা বা কমপোষ্টের পিট গাছের নিচ থেকে
সরানো।
# ছিদ্রে শিক ঢুকিয়ে খুচিয়ে পোকা মারা।
# আক্রান্ত গাছের নিচে মাটির চাড়িতে পচা খৈইল
পানিতে গুলে বা ভেরেন্ডা বীজের গুড়া পানিতে জাল দিয়ে দ্রবণ তৈরী করে দিলে পোকা তার
ভিতরে মারা যায় ।
# প্রাপ্যতা সাপেক্ষে হেক্টর প্রতি ৫টি হারে
ফেরোমন ফাঁদ ( যেমন: রাইনো লিউর) স্থাপন করা।
# সবচেয়ে ভিতরের পাতার গোড়ায় নিমের নির্ঝাস
প্রয়োগ করা বা কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: সেভিন ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে
স্প্রে করা।
# বীজতলার ক্ষেত্রে ন্যাফথলিনের ১০ গ্রামের
বল বালু দিয়ে ঢেকে (৩-৪ মিটার পর পর ৩-৪ টি হারে) জায়গায় জায়গায় রেখে দেওয়া।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
২. বাগানের কাছে গোবরা বা কমপোস্টের পিট
তৈরি করবেন না, তীব্র বাতাসের প্রবাহের সময় বালাইনাশক প্রয়োগ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.বাগানে সুষম সার প্রয়োগ করুন
২. গোবর বা কম্পোস্ট প্রয়োগের আগে তা কার্বারিল
গ্রুপের কীটনাশক যেমন: সেভিন ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে শোধন করে
নিন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।