লক্ষণ:
১. সবুজ শ্যাওলা মাটি
ঢেকে রাখতে দেখা যায় ।
২. ধানের বাড়-বাড়তি কমে
যায় ।
৩. দীর্ঘ সময় জমিতে
শ্যাওলা থাকলে কুশি ফ্যাকাসে হতে দেখা হয় ।
ব্যবস্থাপনা:
১. শিকড় গজানো পর্যন্ত
জমিতে ছিপছিপে পানি রেখে তারপর মাঝে মাঝে ক্ষেত শুকিয়ে আবার সেচ দিন
২. বেশি আক্রান্ত জমিতে
বিঘা প্রতি ১৫০ - ২৫০ গ্রাম হারে কপার সালফেট বা তুতে বালিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করলে
ভাল ফল পাওয়া যায়।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না:
জমিতে শ্যাওলা হওয়ার
আশঙ্কা থাকলে জমি তৈরির সময় ইউরিয়া সার প্রয়োগ করবেন না।
পরবর্তীতে যা যা করবেন:
১. চারা রোপনের ১০-১৫ দিন
পর থেকে ধান ক্ষেতে একনাগারে পানি জমিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে শুকিয়ে দিয়ে এডব্লিউডি
পদ্ধতিতে সেচ প্রয়োগ করুন।
২. চারা রোপনের অন্তত ১০
দিন পর ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
লক্ষণ:
১. ধান গাছের নিচের পাতায় ছোট ছোট বাদামি
দাগ হয় ।
২. পুরোনো পাতা মরচে পড়া বাদামি বা কমলা রং
ধারণ করে ।
৩. কুশি কম হয় ।
ব্যবস্থাপনা:
১. লক্ষণ দেখা গেলে জমির পানি সরিয়ে দিতে
হবে এবং বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
২. জমিতে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি
ইউরিয়া, টিএসপি, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশ সার প্রয়োগ করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. জমি তৈরীর সময় জমি ভালভাবে সমান করুন।
২. মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ
করুন।
৩. মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করুন।
লক্ষণ:
১. ধান গাছ মাঝে মাঝে খটো হয় বা বসে যায় ।
২. পুরোনো পাতা মরচে পড়া বাদামি বা কমলা রং ধারণ করে এবং কখনও কখনও কচি পাতা সাদাটে হয়ে যায় ।
৩. কুশি কম হয় ।
ব্যবস্থাপনা:
১. লক্ষণ দেখা গেলে জমির পানি সরিয়ে দিতে হবে এবং বিঘা প্রতি ১.৫ কেজি দস্তা সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
২. চিলেটেড জিংক জেমন-লিবরেল জিংক বা বাম্পার চেলা জিংক বা ব্রেক্সিল জিংক ১ গ্রাম/ লিটার হারে ট পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. জমি তৈরীর সময় জমি ভালভাবে সমান করুন।
২. মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করুন।
৩. মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করুন।
লক্ষণ:
১. ধান গাছ মাঝে
মাঝে খাটো হয় বা বসে যায় ।
২. পাতা গাঢ় সবুজ
রং ধারণ করে ।
৩. কুশি কম হয়
।
৪. পুরোনো পাতা
অনেক সময় কমলা রং ধারণ করে
ব্যবস্থাপনা:
শেষ চাষের সময়
জমিতে পরিমিত পরিমাণে টিএসপি বা ডিএপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
কৃষকের আচরণগত
পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. জমি তৈরীর সময়
জমি ভালভাবে সমান করুন।
২. মাটি পরীক্ষা
করে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করুন
৩. মাটিতে জৈব
সার প্রয়োগ করুন ।
ইদুর ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে থাকে ।
ধান ও গম ক্ষেতে এরা বেশী ক্ষতি করে থাকে । ধান গাছের কান্ড তেরছা করে (৪৫ ডিগ্রি কোণে
) কেটে দেয় । গাছের শীষ বের হলে শীষ বাকিয়ে নিয়ে কচি ও পাকা শীষ গুলো কেটে দেয় ।
ব্যবস্থাপনা:
ইঁদুরের ক্ষয়ক্ষতির ধরণ ব্যাপকতা ও দমন প্রক্রিয়া
অন্যান্য বালাই থেকে সম্পূর্ন আলাদা ও কৌশলগত । তাই স্থান কাল পাত্র ভেদে কৌশলের সঠিক
ও সমন্বিত দমন পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে ইঁদুর নিধন করা যায় । এতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি,
ইঁদুর বাহিত রোগ ও পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমানো সম্ভব হয় । তবে ইদুরকে সঠিক ভাবে মোকাবেলা
করার জন্য সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আশা একান্ত প্রয়োজন।
(ক)
অ-রাসায়নিক দমনঃ
০১. ইদুরের গর্ত খুড়ে ইদুর পিটিয়ে মেরে ফেলা
।
০২. ইদুরের গর্তে পানি ঢেলে ইঁদুর বের করে
মেরে ফেলা ।
০৩. ইদুরের গর্তে মরিচ পোড়া গন্ধ দিয়ে ইঁদুর
মারার ব্যবস্থা করা ।
০৪. নিবিড় ফাঁদ পাতা: বিভিন্ন ধরনের ফাদ পেতে
ইঁদুর নিধন করা ।
০৫. আঠা ব্যবহার করে: ইদুর ধরার জন্যে গুদামে
বা ঘরে এক প্রকার আঠা সাধারণত: কাঠেরবোর্ডে, মোটা শক্ত কাগজে, টিনে, লাগিয়ে ইদুর চলাচলের
রাস্তায় ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায় । বোর্ডের মাঝখানে লোভনীয় খাবার রাখতে হবে ।
(খ)
রাসায়নিক দমনঃ
এ ধরন বিষটোপ ইঁদুর একবার খেলেই কয়েক ঘন্টা
মধ্যে মারা যায় । যেমনঃ গমে মিশ্রিত জিংক ফসফাইড (২%) বিষটোপ ।
প্রয়োগ কৌশলঃ জিংক ফসফাইড অমিশ্রিত গম কয়েকদিন
দিয়ে অভ্যাস করে হঠাত একদিন <২% জিংক ফসফাইড মিশ্রিত গম প্রদান করা ।
সমস্যাঃ
বিষটোপ
লাজুকতা দেখা দিতে পারে যদি ইদুরগুলো সরিয়ে ফেলা না হয় । বিষটোপ খেয়ে ইদুর মরে পরে
আছে, এটা দেখে জীবিত ইদুরের ঐ বিষটোপ খাওয়ার অনিহাই হলো বিষটোপ লাজুকতা ।
ইদুর দমনের উপযুক্ত সময়ঃ
০১. যে কোন ফসলের থোড় আসার পূর্বে । এ সময়
মাঠে ইঁদুরের সংখ্যা এবং এদের খাবার কম থাকে বিধায় ইদুর বিষটোপ সহজে খেয়ে থাকে ।
০২. ঘর বাড়িতে সারা বছর ব্যাপি ও বর্ষার সময়
।
০৩. বর্ষার সময় রাস্তাঘাট ও বাধে (যখন মাঠে
পানি থাকে)
০৪. গভীর ও অগভীর সেচের নালায় প্রথম পানি
ছাড়ার দিন ।
জৈবিক
দমন পদ্ধতিঃ
জীব দিয়ে ইদুর দমনের কৌশল এ পদ্ধতির অর্ন্তভূক্ত
। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক শত্রু যেমন: শিয়াল, বেজি, বন বিড়াল, সাপ, গুইসাপ, পেচা এসব
দিয়ে ইদুর মারা যায় । কাজেই ইদুর ভোজী প্রাণীদের বংশ বিস্তারের যথাযথ ব্যবস্থা করতে
হবে।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১.ক্ষেতের আশপাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
২. একই দমন ব্যবস্থা বারবার ব্যবহার করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. ধান ক্ষে্তে থোড় আসার আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ
করুন
২. সবাই মিলে একত্রে সমন্বিত ভাবে ইঁদুর দমন
করুন
৩. মাঠে সবাই মিলে একসাথে ফসল চাষ করে একসাথে
কেটে আনুন। তাহলে খাবার না পেয়ে অনাহারে থাকলে, ইদুরের জন্মহার কমে যাবে ।
লক্ষণ:
যে সব জমিতে পানি জমানো যায়না সেসব জমিতে এই পোকার গোড়া কেটে ক্ষতি করে
।
ব্যবস্থাপনা:
• সেচ দিযে জমিতে পানি জমানো
* অধিক আক্রমণের ক্ষেত্রে দানাদার কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে ।
লক্ষণ:
এটি কৃমি জাতীয়
রোগ। ধানের গাছের পাতার কচি অংশের রস শোধন করে খাওয়ার ফলে পাতা গোড়ায় সাদা ছিটেফোটা
দাগের মত দেখায় । সাদা দাগ বাদামী হয়ে সম্পূর্ণ পাতাটিই শুকিয়ে ফেলে । আক্রান্ত ছড়া
মোটেই বের হয় না বা হলেও মোচ খেয়ে অল্প বের হয় ও চিটা হয় ।
ব্যবস্থাপনা:
# প্রাথমিক অবস্থায়
আক্রমণ শুরূ হলে আগা ছেটে দেয়া যেতে পারে ।
# কার্বোফুরান
জমিতে ২ ইঞ্চি পানি থাকা অবস্থায় ৫জি এর ক্ষেত্রে ৪ কেজি/একর এবং ৩জি এর ক্ষেত্রে ৬.৮
কেজি/একর হারে প্রয়োগ করা
# আক্রান্ত ক্ষেতের
পানি অন্যক্ষেতে না যেতে দেয়া ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. শস্য পর্যায়
ধান ছাড়া অন্য ফসল করা উচিত
২. ধান কাটার পর
নাড়া জমিতেই পোড়াতে হবে
৩. জমির ফসল সংগ্রহের
পর অন্য ফসল চাষের পূর্বে জমি চাষ দিয়ে ১৫-২০ দিন ফেলে রাখা ।
লক্ষণ:
পানির উপরিতল বরাবর
কুশীর বাইরের খোলে কালচে গাঢ় অনিয়মিত দাগ পড়ে । ক্রমান্বয়ে দাগগুলো বড় হয়ে পরস্পর মিশে
সমস্ত খোলে ছড়িয়ে পড়ে । ছত্রাক কান্ডের ভেরতে প্রবেশ করে কান্ডকে পঁচিয়ে ফেলে । আক্রন্ত
কুশী থেকে শীষ বের হলে চিটা ও অপুষ্ট হয়
ব্যবস্থাপনা:
১. রোগ দেখা দিলে
ক্ষেতে পর্যায়ক্রমে পানি দেয়া ও শুকানো। ।
২. প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক
যেমন: কপাড় অক্সিক্লোরাইড (০.৪%)বা কার্বেন্ডাজিম(০.২%) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: নোইন
২ গ্রাম/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত
থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. রোগ সহনশীল
জাত যেমন: ব্রি ধান ৩১, ব্রি ধান ৩২, ও ব্রি ধান ৪৭ চাষ করা যেতে পারে।
২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
চাষ করা।
৩. লাঙ্গল দিয়ে
জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।
৪. সুষম পরিমানে
ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহার করা।
৫. ধানের জাত অনুসারে
সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।
লক্ষণ:
১. ধান গাছের গোড়া কেটে দেয় ।
২. ধানের গাছ মরে যায়, মাজরা পোকা কাটার মত
লক্ষণ দেখা যায় ।
৩. এক সঙ্গে অনেক পোকা আক্রমণ করলে ধানের
ব্যাপক ক্ষতি হয় ।
৪. পোকা দেখতে কালো, লম্বাটে ও দুটি খন্ড
দৃশ্যমান ।
ব্যবস্থাপনা:
১. এ পোকা পানি পছন্দ করে না তাই এদের তাড়াতে
ক্ষেতে সেচ দিয়ে ছিপছিপে পানি রেখে দিন
২. আক্রান্ত জমিতে অর্গানো ফসফরাস গ্রুপের
কীটনাশক যেমন: রাগবী ১০ জি ২০ কেজি/ হেক্টর হারে প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
উৎস: দৈনিক প্রথম আলো ( তারিখ: ১৮/০৪/১৫
পৃষ্ঠা: ৯ কলাম: ২)
লক্ষণ:
শীষকে আবৃতকারী পাতার খোলে গোলাকার দাগ পড়ে। দাগের কেন্দ্র ধূসর ও কিনারা বাদামী রঙের হয় । দাগগুলো একত্রে মিশে বড় হয়ে সমস্ত খোলেই ছিড়িয়ে পড়ে । আক্রমণ বেশী হলে শীষ আবৃত খোলে পঁচে যায় এবং ছড়া আংশিক বের হয় যাতে কম সংখ্যক পুষ্ট ধান থাকে ।
ব্যবস্থাপনা:
১. রোগ দেখা দিলে ক্ষেতে পর্যায়ক্রমে পানি দেয়া ও শুকানো। ।
২. প্রয়োজনে হেক্সাকোনাজল জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন কনটাফ ৫ ইসি বা কনজা ৫ ইসি ১ মিলি/ লি. হারে অথবা টেবুকোনাজল জাতীয় যেমন ফলিকুর ২৫ ইসি বা ডিফেন্ডার ২৫ ইসি ১ মি. লি./লি. হারে পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা।
৩. আক্রমণকালে ছত্রাকনাশক যেমন এমিস্টার টপ ৩২.৫ ইসি মি.লি./লি.ব্যবহার করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. রোগ সহনশীল জাত যেমন বিআর১০, বিআর২২, বিআর২৩, ব্রি ধান৩১ ও ব্রি ধান৩২ চাষ করা যেতে পারে।
২. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা।
৩. লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।
৪. সুষম পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহার করা।
৫. ধানের জাত অনুসারে সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।
লক্ষণ:
এ রোগে প্রাথমিক
অবস্থায় পানির উপরিভাগে খোলের উপর পানি ভেজা হালকা সবুজ রঙের দাগ পড়ে। ডিম্বাকৃতি বা
বর্তুলাকার এ সব দাগ প্রায় ১ সেন্টিমিটার লম্বা হয় এবং বড় হয়ে দাগগুলো ২-৩ সেন্টিমিটার
পর্যন্ত বড় হতে পারে। কয়েকটি দাগ পরে একত্রে মিশে যায়।তখন আক্রান্ত খোলটার উপর ছোপ
ছোপ দাগ মনে হয়। অনুকুল এবং আর্দ্র পরিবেশে আক্রান্ত কান্ডের নিকটবর্তী পাতাগুলোও আক্রান্ত
হতে পারে। সাধারণতঃ ফুল হওয়া থেকে ধান পাকা পর্যন্ত রোগের লক্ষণ স্পষ্ট দেখা যায়। আক্রান্ত
জমি মাঝে মাঝে পুড়ে বসে যাওয়ার মত মনে হয় । রোগের প্রকোপ বেশি হলে ধান চিটা হয়ে যায়।
ব্যবস্থাপনা:
১. রোগ দেখার পর
১৫ দিন অন্তর বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ দুই কিস্তিতে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
২. রোগ দেখা দিলে
পর্যায়ক্রমে ক্ষেতে পানি দেয়া ও ক্ষেত শুকানো হলে রোগের প্রকোপ কমে।
৩. রোগ বেশি মাত্রায়
দেখা দিলে টেবুকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ফলিকুর ১ মিলি বা নাটিভো ০.৫ গ্রাম
অথবা কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: এমকোজিম ৫০ ডব্লিউপি ১ গ্রাম বা নোইন
৫০ ডব্লিউপি ২ গ্রাম অথবা হেক্সাকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: কনটাফ ৫ ইসি বা সাবাব
৫ ইসি ১ মিলি অথবা এমিস্টার টপ ১ মিলি হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
অথবা এ রোগের জন্য অন্য নামে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত
থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. রোগ সহনশীল
জাত যেমন: ব্রি ধান৩১, ব্রি ধান৩২ , ব্রি ধান৪১ বা ব্রি ধান৪৪ চাষ করা যেতে পারে।
২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
চাষ করা।
৩. লাঙ্গল দিয়ে
জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।
৪. জমিতে সুষম
পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার প্রয়োগ করা।
৫. ধানের জাত অনুসারে
সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।
লক্ষণ:
গলমাছি দেখতে অনেকটা মশার মত, পেটটা উজ্জল
লাল রংএর । স্ত্রী গলমাছি মূল পাতার উপর একটি করে ডিম পাড়ে । ডিম থেকে কীড়া পুত্তলীতে
পরিণত হয় । এর আক্রমণে ধানের ডিগপাতা পেঁয়াজ পাতার মতো নলাকার হয়ে যায় ।
ব্যবস্থাপনা:
• অন্যান্য পোকার মত এ পোকার বিরুদ্ধে এখনও একাদিক দমন ব্যবস্থা উদ্ভাবন
হয়নি । কীটনাশক দিয়ে দমন করাই প্রধান ব্যবস্থা । ডায়াজিনন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: রাজধান
১০ জি ১৬.৮০ কেজি/ হেক্টর হারে প্রয়োগ করা অথবা ফেনথোয়েট গ্রুপের কীটনাশক যেমন: সিডিয়াল
৫০ এল ৩ মিলি/ লি হারে পানিতে মিশিয়ে বিকালে স্প্রে করা ।
লক্ষণ:
এ পোকা পূর্ণ বয়স্ক
ও নিস্ফ উভয় অবস্থায় ক্ষতি করে । ধানে দুধ আসা অবস্থায় ক্ষতি বেশী করে । ফলে ধানের
গায়ে দাগ ও চিটা হয় ।
ব্যবস্থাপনা:
২০০-৩০০ মিটার
দূরে দূরে আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা ।
শামুকের মাংসের
সংঙ্গে বালাইনাশক মিশিয়ে কাপড়ের পুটলিতে বেঁধে ধানের দুধ আসার সময় বিষ ফাঁদ হিসেবে
ক্ষেতের বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করা ।
আক্রমণ বেশি হলে
যে কোন একটি বালাইনাশক ব্যবহার করা যেমন: ম্যালাথিয়ন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ফাইফানন
বা হিলথিয়ন ২ মিলি./লি. হারে বা ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ডার্সবান ২ মিলি/
লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
অতি বিলম্বে বা
অতি অগ্রিম ধান চাষ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
এলাকার সকল চাষি
কাছাকাছি সময়ে ধান চাষ করুন, তাহলে পোকার আক্রমণ কম হবে।
লক্ষণ:
এ রোগ ধানের কুশি অবস্থায় বেশি হয়। এ রোগ
হলে পাতার খোল পঁচে বাদামি রং ধারণ করে। কান্ড নরম হয়ে পঁচে যায়। গাছে ধরে টান দিলে
গাছ উঠে আসে এবং পঁচা শামুকের মত গন্ধ পাওয়া যায়।
ব্যবস্থাপনা:
১. রোগ দেখা দিলে ক্ষেতের পানি শুকানো হলে
রোগ ভাল হয়ে যায় ।
২. প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত ধানের গোছা তুলে
নতুন করে লাগিয়ে দেওয়া যেতে পরে।
৩. প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক যেমন: কপার অক্সিক্লোরাইড
(০.৪%) ১ মিলি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. জমির পানি নিস্কাষনের ব্যবস্থা রাখুন।
২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা।
৩. লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া
জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।
৪. সুষম পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ
সার ব্যবহার করা।
৫. ধানের জাত অনুসারে সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ
করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।
লক্ষণ:
পিছনের দুটো পা
লম্বা হওয়ার কারণে এরা লাফিয়ে চলে । এদের গায়ের রং হালকা সবুজ অথবা হলদে বাদামী রং
এর হয়ে থাকে । বিভিন্ন প্রজাতি এক সাথে অনেক সংখ্যায় ক্ষেত আক্রমণ করে বাচ্চা ও পূর্ণবয়স্ক
উভয়ই ধান্ ফসলের ক্ষতি করে । মধ্যশিরা বাদে সম্পূর্ণ পাতা খেয়ে ফেলতে পারে । আউশ ফসলে
এদের প্রাদুর্ভাব বেশী, রোপা আমন ফসলে ও এদের আক্রমণ দেখতে পাওয়া যায় ।
ব্যবস্থাপনা:
• ডাল পুঁতে পোকা খেকো পাখি বসার ব্যবস্থা করা ।
* আলোর ফাঁদ ব্যবহার
করা ।
* শতকরা ২৫ ভাগ
ধানের ক্ষতিগ্রস্থ হলে অনুমোদিত কীটনাশক যেমন- ডায়াজিনন- ৬৮৮ মিলি/একর কার্বোসালফান
৬০০ মিলি/একর
লক্ষণ:
ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। চারা গজানোর সাথে সাথে মারা যায় অথবা
চারা খুব দুর্বল ও লিকলিকে হয়। চারার গায়ে বিবর্ণ দাগ দেখা যায়।
এর প্রতিকার হল:
১. এ রোগ দেখা দিলে বীজ তলা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে বা প্লাবন সেচ দিলে ভাল
ফল পাওয়া যায়
২. বপনের আগে প্রতি কেজি বীজে ১ গ্রাম হারে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাক
নাশক যেমন: ব্যাভিস্টিন বা নোইন মিশিয়ে বীজ শোধন করা।
৩. স্বল্প গভীরতায় বীজ বপন করা।
লক্ষণ:
ক্রীড়াগুলো রাতের বেলায় পাতার সবুজ ক্লোরোফিল
অংশ লম্বালম্বি এমনভাবে কুড়েকুড়ে খায় যে শুধুমাত্র উপরের পর্দাটি বাকী থাকে। এরা পাতার
উপরের অংশ কেটে আড়াই থেকে তিন সেন্টিমিটার লম্বা চুঙ্গী তৈরী করে এবং দিনের বেলায় এ
সমস্ত চুঙ্গীর মধ্যে লুকিয়ে থাকে। পাতা কুড়ে কুড়ে খাওয়ার জন্য এবং পাতা কেটে চুঙ্গী
বানাবার ফলে আক্রান্ত গাছের পাতায় লম্বা সাদা দাগ ও পাতার আগা কাটা দেখতে পাওয়া যায়।
চুঙ্গীগুলো আক্রান্ত গাছের গায়ে ঝুলতে থাকে এবং ক্ষেতের পানিতে ভাসতে থাকে।
ব্যবস্থাপনা:
# জমির পানি শুকিয়ে
ফেলা কারণ চুঙ্গী পোকার ক্রীড়া পানি ছাড়া বাঁচতে পারেনা।
# আলোর ফাঁদের
সাহায্যে পূর্ণ বয়স্ক মথ ধরে মেরে ফেলা।
# কেরোসিন মিশ্রিত
রশি টান দিয়ে চুঙ্গী মাটিতে ফেলে দেওয়া।
# ক্ষেতে ডালপালা
পুঁতে দেওয়া।
# শামুক, মাকড়সা
ও বোলতা সংরক্ষণ করা।
# শতকরা ২৫ ভাগ
পাতার ক্ষতি হলে অনুমোদিত কীটনাশক সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা।যেমন: ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের
কীটনাশক যেমন: ডারসবান ২০ ইসি বা পাইক্লোরেক্স ২০ ইসি ২মি.লি./ লি. বা ম্যালাথিয়ন গ্রুপের
কীটনাশক যেমন: ফাইফানন ২.৪ মিলি/ লি হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা। অথবা অন্য নামে
এ পোকার জন্য অনুমোদিত বালাইনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করা
বিবরণ :
শুকনো আবহাওয়ায় বা খরার সময়ে এবং যে সমস্ত
জমিতে বৃষ্টির পানি মোটেই দাঁড়াতে পারে না সে ধরনের অবস্থায় ছাতরা পোকার আক্রমণ বেশী
দেখতে পাওয়া যায়। এরা গাছের রস শুষে খাওয়ার ফলে গাছ খাটো হয়ে যায়। আক্রমণ বেশী হলে
ধানের শীষ বের হয় না। আক্রান্ত ক্ষেতের গাছগুলো জায়গায় জায়গায় বসে গেছে বলে মনে হয়।
স্ত্রী ছাতরা পোকা খুব ছোট, লালচে সাদা রঙের, নরম দেহবিশিষ্ট, পাখাহীন এবং গায়ে সাদা
মোমজাতীয় পদার্থের আবরণ থাকে। এরাই গাছের ক্ষতি করে। এক সাথে অনেকগুলো ছাতরা পোকা গাছের
কান্ড ও খোল এবং পাতার খোলের মধ্যবর্তী জায়গায় থাকে। পুরুষ পোকা এী পোকার অনুপাতে সংখ্যায়
খুবই কম বলে বিশেষ ক্ষতি করতে পারে না। এদের দু’টো পাখা আছে।
ব্যবস্থাপনা :
# আক্রমণের প্রথম দিকে সনাক্ত করতে পারলে
আক্রান্ত গাছগুলো উপরে নষ্ট করে ফেলে এ পোকার আক্রমণ ও ক্ষতি ফলপ্রসূভাবে কমানো যায়।
# ক্ষেতে সেচ দেওয়া ।
# শুধুমাত্র আক্রান্ত জায়গায় ভাল করে অনুমোদিত
কীটনাশক প্রয়োগ করলে দমন খরচ কম হয়।
লক্ষণ:
আক্রান্ত পাতা
প্রথমে হালকা হলুদ এবং পরে গাঢ় হলুদ থেকে কমলা বর্ণের হয়ে যায় । কচি পাতাগুলো পুরাতন
পাতার খোলের মধ্যে আটকে থাকে । পাতা ও কান্ডের মধ্যবর্তী কোণ বেড়ে যায় ও গাছ খাটো হয়
। আক্রন্ত ধান গাছ পাতা পর্যন্ত বেঁচে থাকলে ও আক্রমণ তীব্র হলে গাচ টান দিলে উঠে আসে
এবং শুকিয়ে খড়ের মত হয়ে যায় । বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু গাছের প্রথমে হলুদ হয়ে আক্রন্ত
গুছির সংখ্যা বাড়তে থাকে । অনেক সময় বীজতলাতেই টুংরো আক্রমাণে হলুদ বর্ণের চারা দেখা
যায় । কিছুটা নাইট্রোজেনের ঘাটতির মত মনে হয় ।
ব্যবস্থাপনা:
# আলোর ফাঁদ ব্যবহার
করে সবুজ পাতা ফড়িং মেরে ফেলা ।
# আড়ালি ঘাস, বাওয়া
ধান ইত্যাদি বা অন্যন্য আগাছা নিধন করা
# হাত জালের প্রতি
একশত টানে ৪০-৫০ টি সবুজ পাতাফড়িং পাওয়া গেলে অনুমোদিত কীটনাশক অনু্মোদিত মাত্রায় ব্যবহার
করা যেতে পারে । যেমনঃ ফেনথয়েট ১০লিটার পানিতে ২০ মিলি প্রতি ৫শতক হারে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. টুংরো আক্রান্ত
জমির আশেপাশে বীজতলা করা থেকে বিরত থাকুন ।
লক্ষণ:
ধানের চারা অবস্থা থেকে কুশী পর্যন্ত সময়ে
পূর্ণবয়স্ক থ্রিপস পোকা ও তাদের বাচ্চার রস চুষে খাওয়ার ফলে পাতা লম্বা লম্বিভাবে মুড়ে
যায় । পাতায় খাওয়ার জায়গাটা হলদে খেকে লাল দেখা যায় । যে সমস্ত জমিতে সব সময় দাড়ানো
পানি থাকে্ না । সাধারণতঃ সে সব ক্ষেতে থ্রিপস এর আক্রমণ বেশী হয় ।
প্রতিকার
:
• ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ
করে এ পোকার ক্ষতি কিছুটা রোধ করা যায় । জমি শুকনা থাকলে পানি দিয়ে অল্প সময়ের জন্য
তলিয়ে্ দিয়ে আবার পানি বের করে ফেলা । আক্রান্ত জমির ২৫ ভাগ ধানের পাতা ক্ষতিগ্রস্থ
হলে অনুমোদিত কীটনাশক যেমন আইসোপ্রোকার্ব-২৬ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে ৫শতক জমি হারে
ব্যবহার করতে হবে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. রোগ সহনশীল জাত যেমন: বিআর২২, বিআর২৩,
ব্রি ধান৩১ ও ব্রি ধান৪১ চাষ করা যেতে পারে।
২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা।
৩. সুষম পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ
সার ব্যবহার করা।
৪. ধানের জাত অনুসারে সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ
করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।
লক্ষণ:
১. গাছের বয়স্ক
পাতা হলুদ হয়ে যায়।
২. নাইট্রোজেনের
বেশি ঘাটতি হলে পাতা মরে যায় ।
৩. নাইট্রোজেনের
ঘাটতির কারণে গাছে কুশির সংখ্যা কম হয়, পাতা ছোট হয় এবং গাছের বৃদ্ধি কমে যায় ।
ব্যবস্থাপনা:
তাৎক্ষণিক করণীয়
হিসাবে শতাংশ প্রতি ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া প্রয়োগ করুন।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
* একেবারে গোড়া
থেকে ধান কেটে ক্ষেত নাড়াশুন্য করবেন না।
* জমিতে এলোপাথারি
সার কীটনাশক ব্যবহার করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. ধান কাটার পর
চাষ দিয়ে নাড়া ভালভাবে জমিতে মিশিয় দিন অথবা শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলুন।
২. মাটি পরীক্ষা
করে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করুন
৩. মাটিতে জৈব
সার প্রয়োগ করুন ।
৪. ধানের চারা
রোপনের এক সপ্তাহ পর গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করুন
লক্ষণ:
১. গাছ সবুজ থাকলেও
পাতার কিনারা হলদে বাদামি হয়ে যায়।
২. পটাশের বেশি
ঘাটতি হলে পাতার আগা হলদে বাদামি হয়ে যায় ।
৩. প্রথমে পুরাতন
পাতায় এ ধরণের লক্ষণ দেখা যায়।
৪. পটাশের ঘাটতির
কারণে অনেক সময় পাতা পোড়া, ব্লাস্ট, বাদামি দাগ প্রভৃতি রোগও দেখা দেয় ।
ব্যবস্থাপনা:
লক্ষণ দেখা গেলে
১৫ দিন অন্তর অন্তর বিঘা প্রতি মোট ৫ কেজি পটাশ দুই কিস্তিতে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
একেবারে গোড়া থেকে
ধান কেটে ক্ষেত নাড়াশুন্য করবেন না।
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. ধান কাটার পর
চাষ দিয়ে নাড়া ভালভাবে জমিতে মিশিয় দিন অথবা শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলুন।
২. মাটি পরীক্ষা
করে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করুন
৩. মাটিতে জৈব
সার প্রয়োগ করুন ।
লক্ষণ:
পাতার আগায় বা কিনারায় বা অনেক সময় মাঝখানে
পানি চোষা জলছাপের মত দাগ পড়ে । দাগ গুলো ক্রমান্বয়ে বড় হয়ে অনেকটা আয়তকার বা ডিম্বাকৃতি
এবং অনেকটা জলপাই রঙের মত হয় । দাগের ভেতর জেব্রার গায়ের মত ডোরাকাটা গাঢ় বাদামী চওড়া
এবং হালকা বাদামী রেখা পর পর বেষ্টন করে । বেশি আক্রমণে পাতা শুকিয়ে খড়ের মত হয় ।
নিশ্চিত
হওয়ার পরীক্ষা:
আক্রান্ত পাতা কেটে স্বচ্ছ পানিতে ৫-১০ মিনিট
ভিজিয়ে রাখলে যদি পুঁজ বা দুধ জাতীয় পদার্থ কাটা অংশ থেকে বের হয় তবে বুঝতে হবে এটা
ব্যাকটেরিয়া জনিত পাতা পোড়া রোগ আর যদি কোন কিছু বের না হয় তবে সেটা পাতার ফোস্কা রোগ
।
ব্যবস্থাপনা:
* জমি আগাছামুক্ত রাখা ।
* পরিমিত ইউরিয়া সার ব্যবহার করা ।
* অধিক আক্রমণের ক্ষেত্রে সালফার ছত্রাক নাশক
( যেমন: থিওভিট ) ১কেজি/একর হারে প্রয়োগ করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ঔষধ দিয়ে বীজ শোধন
। প্রতি কেজি বীজের জন্য ৩ গ্রাম এক লিটার পানিতে গুলে এক রাত ভিজিয়ে রাখা ।
২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা।
৩. লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া
জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।
৪. সুষম পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ
সার ব্যবহার করা।
৫. ধানের জাত অনুসারে সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ
করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।
লক্ষণ :
এরা পাতা লম্বালম্বিভাবে মুড়িয়ে পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পাতায় সাদা লম্বা দাগ দেখা যায়। খুব বেশি ক্ষতি করলে পাতাগুলো পুড়ে পাওযার মত দেখায়। পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী পোকা পাতার মধ্য শিরার কাছে ডিম পাড়ে। কীড়াগুলো পাতার সবুজ অংশ খায় এবং বড় হবার সাথে সাথে তারা পাতা লম্বালম্বিভাবে মুড়িয়ে একটা নলের মত করে ফেলে। মোড়ানো পাতার মধ্যেই কীড়াগুলো পুত্তলীতে পরিণত হয়।
ব্যবস্থাপনা :
# প্রাথমিক অবস্থায় পোকার ডিম বা কীড়াসহ পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা।
# আলোক ফাঁদের সাহায্যে পূর্ণবয়স্ক মথ ধরে মেরে ফেলা।
# জমিতে ডালপালা পুঁতে পোকাখেকো পাখির সাহায্যে পূর্ণ বয়স্ক মথ দমন করা।
# শতকরা ২৫ ভাগ পাতার ক্ষতি হলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা যেমন: ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ডারসবান ২০ ইসি বা পাইক্লোরেক্স ২০ ইসি ২মি.লি./ লি. বা ম্যালাথিয়ন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ফাইফানন ২.৪ মিলি/ লি হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা। অথবা অন্য নামে এ পোকার জন্য অনুমোদিত বালাইনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করা
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. জমিতে অতিরিক্ত ইউরিয়া সার বা এলোপাথারি বালাই নাশক ব্যবহার করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সঠিক দূরত্বে ও সঠিক বয়সের চারা রোপন করুন
২.চারা লাগানোর পরপরই জমিতে পর্যাপ্ত পরিমানে খুটি পুতে দিন যাতে সেখানে পাখি বসে পোকা খেতে পারে।
৩. মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার দিন।
লক্ষণ :
ধানের কচি পাতা ভালভাবে খোলার আগেই এ পোকা
পাতার পাশ থেকে খাওয়া শুরু করে তাই আক্রান্ত পাতার কিনারা স্বচ্ছ ও সাদা হয়ে যায় ।
ব্যবস্থাপনা :
# ক্ষেতের দাড়ানো পানি সরিয়ে দেয়া ।
# অথবা মালচিং করে পানি ঘোলা করে দেয়া।
লক্ষণ:
• পত্রফলকের শিরাসমূহের মধ্যবর্তীস্থানে শিরার সমান্তরালে সরু এবং হালকা
দাগ পড়ে । সূর্যের দিকে ধরলে এ দাগের মধ্যে দিয়ে আলো প্রবেশ করে । ক্রমান্বয়ে দাগগুলো
একত্রে মিশে বড় হয় ও লালচে রঙ ধারণ করে ।
ব্যবস্থাপনা:
১. এ রোগ দেখা
দিলে ক্ষেতে পর্যায়ক্রমে পানি দেয়া ও শুকানো হলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত
থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. রোগ সহনশীল
জাত চাষ করা যেতে পারে।
২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
চাষ করা।
৩. লাঙ্গল দিয়ে
জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।
৪. সুষম পরিমানে
ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহার করা।
৫. ধানের জাত অনুসারে
সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।
লক্ষণ:
শুকনা জমি বেশী
আক্রান্ত হয় তবে ভেজা জমিও আক্রান্ত হয় । এরা খাদ্য, পানি ও জায়গার জন্য ধান গাছের
সাথে প্রতিযোগিতা করে।
ব্যবস্থাপনা:
*গোড়াসহ আগাছা
তুলে ফেলতে হবে ।
* চারা লাগানোর
পর ক্ষেতে সেচ দিয়ে এক থেকে দের ইঞ্চি পানিতে ডুবিয়ে রাখা
* ফুল আসার আগেই
আগাছা দমন করতে হবে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১.আক্রান্ত জমি
শুকনো রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাছা বীজমুক্ত
জৈব সার জমিতে প্রয়োগ করুন।
লক্ষণ :
ক্ষতিগ্রস্থ পাতায় শিরার সমান্তরালে লম্বালম্বি
দাগ পড়ে। পূর্ণ বয়স্ক ও গ্রাব দুই অবস্থায় ধানের ক্ষতি করে। ক্রীড়াগুলি পাতার দুই পর্দার
মাঝে সুড়ঙ্গ করে সবুজ অংশ খাওয়ার ফলে পাতা শুকিয়ে যায়। বাড়ন্ত ধানের জমিতে আক্রমন বেশী
হয়।
ব্যবস্থাপনা :
# আইল বা পার্শ্ববর্তী জায়গায় আগাছা পরিস্কার
করা।
# হাত জালের সাহায্যে বয়স্ক পোকা ধরে মাটিতে
পুঁতে ফেলা।
# আক্রান্ত ক্ষেতের পাতা ৩- ৪ সে.মি. কেটে
ধ্বংস করা।
# শতকরা ৩৫ ভাগ পাতার ক্ষতি হলে অনুমোদিত
কীটনাশক সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা। যেমন: ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের যেমন: ক্লাসিক বা পাইরিফস
বা লিথাল ২ মিলি/ লি. হারে অথবা কারটাপ গ্রুপের যেমন: কাটাপ বা কারটাপ বা ফরওয়াটাপ
কীটনাশক ১.৬ গ্রাম/ লি হারে পানিতে মিশিয়ে বিকালে স্প্রে করা।
লক্ষণ:
শুকনা জমি বেশী আক্রান্ত হয় তবে ভেজা জমিও
আক্রান্ত হয় । এরা খাদ্য, পানি ও জায়গার জন্য ধান গাছের সাথে প্রতিযোগিতা করে।
ব্যবস্থাপনা:
*গোড়াসহ আগাছা তুলে ফেলতে হবে ।
* চারা লাগানোর পর ক্ষেতে সেচ দিয়ে এক থেকে
দের ইঞ্চি পানিতে ডুবিয়ে রাখা
* ফুল আসার আগেই আগাছা দমন করতে হবে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১.আক্রান্ত জমি শুকনো রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাছা বীজমুক্ত জৈব সার জমিতে প্রয়োগ করুন।
লক্ষণ:
এটি একটি বীজবাহিত
রোগ। এ রোগের স্পষ্ট লক্ষণ হলো আক্রান্ত চারা স্বাভাবিক চারার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন লম্বা
হয় এবং আক্রান্ত চারার পাতা হলদে সবুজ হয়। আক্রান্ত চারাগুলো বেশী দিন বাঁচে না। আক্রান্ত
গাছের কুশি লিকলিকে হয়। এদের ফ্যাকাশে সবুজ পাতা অন্যান্য গাছের উপর দিয়ে দেখা যায়
এবং নীচের দিকে গিঁটে অস্থানিক শিকড়ও দেখা যেতে পারে। আক্রান্ত গাছ যদি কোন রকমে বাঁচে
তবে সেগুলো থেকে চিটা ধান হয়। অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন সার ব্যবহার এবং ৩০-৩৫০ সেন্টিগ্রেড
তাপমাত্রা এ রোগের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
ব্যবস্থাপনা:
• বীজতলা আর্দ্র বা ভিজে রাখা। • আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলা। * চারা লাগানোর ক্ষেত আক্রান্ত হলে আক্রান্ত
জমির পানি শুকিয়ে দেয়া ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত
থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
২. একই জমি বীজতলার
জন্য বার বার ব্যবহার না করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. কিছুটা প্রতিরোধ
সম্পন্ন ধানের জাত যেমন- বিআর ১৪, ব্রিধান ১৮, ব্রিধান ৪২, ব্রিধান ৪৪ ও ব্রিধান ৪৫
এর চাষ করুন
২. বীজতলা থেকে
চারা তোলার সময় আক্রান্ত চারাগুলো আলাদা করে ফেলে দেওয়া।
৩.বীজ বপনের পূর্বে
ব্যাভিষ্টিন অথবা নোইন নামক ছত্রাকনাশক ৩ গ্রাম ১ লিটার পানিতে গুলে বীজ এক রাত ভিজিয়ে
রাখুন
৪. মাটি পরীক্ষা
করে জমিতে সুষম সার দিন। ।
লক্ষণ:
এরা খুব তাড়াতাড়ি বংশ বৃদ্ধি করে, ফলে এ পোকার সংখ্যা এত বেড়ে যায় যে, আক্রান্ত ক্ষেতে বাজ পড়ার মত হপারবার্ণ - এর সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত গাছগুলো প্রথমে হলদে এবং পরে শুকিয়ে মারা যায়। লম্বা পাখাবিশিষ্ট পূর্ণবয়স্ক বাদামী ফড়িংগুলো প্রথমে ধান ক্ষেত আক্রান্ত করে। এরা পাতার খোলে এবং পাতার মধ্য শিরায় ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা (নিমফ) বের হতে ৭-৯ দিন সময় লাগে। বাচ্চাগুলো ৫ বার খোলস বদলায় এবং পূর্ণবয়স্ক ফড়িং এ পরিণত হতে ১৩-১৫ দিন সময় নেয়। প্রথম পর্যায়ের (ইনস্টার) বাচ্চাগুলোর রং সাদা এবং পরের পর্যায়ের বাচ্চাগুলো বাদামী। বাচ্চা থেকে পূর্ণবয়স্ক বাদামী গাছফড়িং ছোট পাখা এবং লম্বা পাখা বিশিষ্ট হতে পারে। ধানে শীষ আসার সময় ছোট পাখা বিশিষ্ট ফড়িং এর সংখ্যাই বেশী থাকে এবং স্ত্রী পোকাগুলো সাধারণত: গাছের গোড়ার দিকে বেশি থাকে। গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে লম্বা পাখা বিশিষ্ট ফড়িং এর সংখ্যাও বাড়তে থাকে, যারা এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় উড়ে যেতে পারে।
ব্যবস্থাপনা:
- আক্রান্ত জমিতে বিলি কেটে আলো চলাচলের ব্যবস্থা করা ।
- জমিতে জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলা।
- উর্বর জমিতে ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ পরিহার করা ।
- বাদামী গাছফড়িং প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাত যেমন: ব্রি ধান-৩৫ চাষ করা।
- ক্ষেতে শতকরা ৫০ ভাগ গাছে অন্ততঃ একটি মাকড়সা থাকলে কীটনাশক প্রয়োগ না করা।
- শতকরা ৫০ ভাগ ধান গাছে ২-৪টি ডিমওয়ালা স্ত্রী পোকা অথবা ১০টি বাচ্চা পোকা প্রতি গোছায় পাওয়া গেলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা।
- পাইমেট্রোজাইন +নিটেনপাইরাম গ্রুপের কীটনাশক- স্পেলেন্ডর ৮০ ডব্লিউজি বা পাইরাজিন ৭০ ডব্লিউজি বা তড়িৎ ৮০ ডব্লিউজি বা ফুলস্টপ ৮০ ডব্লিউজি ০.৫-১ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। অথবা ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ইমিটাফ ১২৫ মিলি/হেক্টর (০.২৫ মিলি/ লি) হারে বা ইমপেল (০.৫ মিলি/ লি) হারে অথবা ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ক্লাসিক ২ মিলি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় স্প্রে করা
- অবশ্যই ক্ষেতে বিলি কেটে গাছের গোড়ায় স্প্রে করতে হবে।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বিলম্বে চারা রোপন করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. যে সব এলাকায় সব সময় বাদামী গাছফড়িং এর উপদ্রব হয় সে সব এলাকায় তাড়াতাড়ি পাকে ( যেমন: বিনা ধান-৭ বা ব্রি ধান৩৩ ) এমন জাতের ধান চাষ করুন ।
২. চারা থেকে চারা ৩০ সে.মি ও লাইন থেকে লাইন ৪০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে লাগান।
৩. জমিতে সুষম পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহারের জন্য এনপিকে গুটি প্রয়োগ করুন ।
৪. ফসল কাটার পর আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।
লক্ষণ:
পাতায় প্রথমে তিলের দানার মতো ছোট ছোট বাদামী
দাগ হয়। ক্রমান্বয়ে বেড়ে ওঠা গোলাকৃতি দাগের মাঝখানটা অনেক সময় সাদাটে ও কিনারা বাদামী
রঙের হয়। একাধিক দাগ মিলে বড় দাগের সৃষ্টি হয়ে সমস্ত পাতাটিই দাগে পরিপূর্ণ হয়ে যেতে
পারে এবং গাছটি মরে যেতে পারে।
ব্যবস্থাপনা:
# বীজতলা বা জমিতে পরিমিত সেচ দেয়া।
# জমিতে পর্যাপ্ত পরিমানে নাইট্রোজেন ও পটাশ
সার ব্যবহার করা।
# পরিমানমতো ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করলে এ রোগ
আর বাড়তে পারেনা।
# রোগ বেশি মাত্রায় দেখা দিলে কার্বেন্ডাজিম
গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: এমকোজিম ৫০ ডব্লিউপি ১ গ্রাম বা নোইন ৫০ ডব্লিউপি ২ গ্রাম
অথবা হেক্সাকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: কনটাফ ৫ ইসি অথবা সাবাব ৫ ইসি প্রতি লিটার
পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করা। অথবা এই্ গুপের অন্য নামে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক
অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করুন
২. বপনের পূর্বে কেজি প্রতি ৩ গ্রাম প্রোভ্যাক্স
বা কর্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বীজ শোধন করুন।
৩. ফসল কাটার পর আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের
জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।
লক্ষণ:
এটি ঝলসানো রোগ নামেও পরিচিত। পাতাপোড়া রোগের ব্যাকটেরিয়া জীবাণু আক্রান্ত- গাছ বা তার পরিত্যক্ত গোড়া, কুটা ও বীজ এবং আগাছার মধ্যেও থাকতে পারে। শিশির, সেচের পানি, বৃষ্টি, বন্যা এবং ঝড়ো হাওয়ার মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। ব্যাকটেরিয়া কোষগুলো একত্রে মিলিত হয়ে ভোরের দিকে হলদে পুঁতির দানার মত গুটিকা সৃষ্টি করে এবং এগুলো শুকিয়ে শক্ত হয়ে পাতার গায়ে লেগে থাকে। পরবর্তীকালে পাতার গায়ে লেগে থাকা জলকণা গুটিকাগুলোকে গলিয়ে ফেলে এ রোগের জীবাণু অনায়াসে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগের ফলে গাছের বিভিন্ন বয়সে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ (ক্রিসেক, পাতা পোড়া ও ফ্যাকাশে হলুদ) দেখা দেয়। বীজতলা থেকে চারা তোলার সময় যদি শিকড় ছিড়ে যায় তখন রোপণের সময় ব্যাকটেরিয়া সে ক্ষতের মধ্য দিয়ে গাছের ভিতরে প্রবেশ করে। এছাড়া কচি পাতার ক্ষত স্থান দিয়েও প্রবেশ করতে পারে। আক্রান্ত গাছের নিচের পাতা প্রথমে নুয়ে পড়ে এবং শুকিয়ে মারা যায়। এভাবে গোছার সকল পাতাই মরে যেতে পারে। এ অবস্থাকে ক্রিসেক বা নেতিয়ে পড়া রোগ বলা হয়। চারা বা প্রাথমিক কুশি বের হওয়ার সময় গাছের পাতা বা পুরো গাছটি ঢলে পড়ে। মাঝে মাঝে আক্রমণ প্রবণ জাতের ধানে পাতাগুলো ফ্যাকাশে হলদে রঙের হয়। গাছের বয়স্ক পাতাগুলো স্বাভাবিক সবুজ থাকে, কিন্ত কচি পাতাগুলো সমানভাবে ফ্যাকাশে হলদে হয়ে আস্তে আস্তে শুকিয়ে মারা যায়। পাতা পোড়া রোগের লক্ষণের ক্ষেত্রে প্রথমে পাতার কিনারা অথবা মাঝে নীলাভ সবুজ রঙের জলছাপের মত রেখা দেখা যায়। দাগগুলো পাতার এক প্রান্ত, উভয় প্রান্ত বা ক্ষত পাতার যে কোন জায়গা থেকে শুরু হয়ে আস্তে আস্তে সমস্ত পাতাটি ঝলসে বা পুড়ে খড়ের মত হয়ে শুকিয়ে যায়। আক্রমণ প্রবণ জাতের ধানে দাগগুলো পাতার খোলের নিচ পর্যন্ত যেতে পারে। এক সময়ে সম্পূর্ণ পাতাটি ঝলসে যায় বা পুড়ে খড়ের মত হয়ে শুকিয়ে যায়। রোগ সমস্ত জমিতে ছড়িয়ে পড়লে পুড়ে গেছে বলে মনে হয়।
ব্যবস্থাপনা:
• ক্রিসেক আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলে পার্শ্ববর্তী গাছ থেকে কুশি এনে লাগিয়ে দেয়া।
• আক্রান্ত ক্ষেতের পানি বের করে দিয়ে জমি ভেদে ৭-১০ দিন শুকানো।
• আক্রান্ত ক্ষেতে নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ না করা।
• আক্রান্ত ক্ষেতে বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ সার প্রয়োগ করে মাটিতে ভালভাবে মিশিয়ে দিলে এ রোগের তীব্রতা কমে।
• বিসমার্থিওল জাতীয় ব্যাকটেরিয়া নাশক ব্যাকট্রোবান ২০ ডব্লিওপি বা অটোব্যাক ২০ ডব্লিওপি ৩ গ্রাম/ লিটার হারে অথবা কাসুগামাইসিন + ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ব্যাকটেরিয়ানাশক কাইসিন ৮০ ডব্লিউজি ২ গ্রাম/ লি হারে স্প্রে করতে হবে।
ব আক্রান্ত ক্ষেতে বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ সার প্রয়োগ করে মাটিতে ভালভাবে মিশিয়ে দিলে এ রোগের তীব্রতা কমে।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
২. ঝড়ের পরপরই জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করবেন না।
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. এ রোগ প্রতিরোধের জন্য বিআর২৬ (শ্রাবণী), ব্রিধান২৭, ব্রিধান৩২, ব্রিধান৩৩, ব্রিধান৩৭, ব্রিধান৩৮, ব্রিধান ৪০, ব্রিধান৪১, ব্রিধান ৪২, ব্রিধান৪৪ ও ব্রিধান৪৬ ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতের ধান চাষ করুন।
২. সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করুন ।
৩. ফসল কাটার পর আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।
লক্ষণ:
পাতা, কান্ড ও শীষ আক্রান্ত হয়। প্রথমে পাতায় ডিম্বাকৃতির দাগ পড়ে যার দু প্রান্ত লম্বা হয়ে চোখাকৃতি ধারণ করে। দাগের মধ্যভাগ ছাই রংয়ের ও বাইরের দিকের প্রান্ত গাঢ় বাদামী হয়। অনেকগুলি দাগ একত্রিত হলে পাতাটি মরে যেতে পারে। রাতে ঠান্ডা, দিনে গরম এবং শিশির থাকলে এ রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়।
ব্যবস্থাপনা:
- জমিতে সব সময় পানি ধরে রাখা।
- কুশি অবস্থায় রোগটি দেখা দিলে বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করে সেচ দেওয়া।
- ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি বা জিল ৭৫ ডব্লিউপি ২ গ্রাম/ লিটার হারে মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করা।
- পাইরাক্লোস্ট্রাবিন + ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক নো ব্লাস্ট ৩৮ এসপি ১মি .লি./লি বা বীর ৭০ ডব্লিউপি ১ গ্রাম/লি.পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. ধান কাটার পর শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলুন।
২. মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করুন।
৩. মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করুন।
এ রোগের আশঙ্কা থাকলে জমিতে পটাশ সার দুইবারে প্রয়োগ করুন (জমি তৈরির সময় অর্ধেক ও চারা লাগানোর ৩০ দিন উইরিয়া উপরি প্রয়োগের সময় অর্ধেক)।
লক্ষণ:
মাজরা পোকার কীড়াগুলো কান্ডের ভেতরে থেকে খাওয়া শুরু করে এবং ধীরে ধীরে গাছের ডিগ পাতার গোড়া খেয়ে কেটে ফেলে। ফলে ডিগ পাতা মারা যায়। একে ‘মরা ডিগ’ বা ‘ডেডহার্ট ’ বলে। ক্ষতিগ্রস্ত গাছের কান্ডে মাজরা পোকা খাওয়ার দরুণ ছিদ্র এবং খাওয়ার জায়গায় পোকার মল দেখতে পাওয়া যায়। মাজরা পোকার কীড়াগুলো ডিম থেকে ফুটে রেরুবার পর আস্তে আস্তে কান্ডের ভেতরে প্রবেশ করে। কীড়ার প্রথমাবস্থায় এক একটি ধানের গুছির মধ্যে অনেকগুলো করে গোলাপী ও কালোমাথা মাজরার কীড়া জড়ো হতে দেখা যায়। কিন্তু হলুদ মাজরা পোকার কীড়া ও পুত্তলীগুলো কান্ডের মধ্যে যে কোন জায়গায় পাওয়া যেতে পারে। আলোর চার পাশে যদি প্রচুর মাজরা পোকার মথ দেখতে পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে হবে ক্ষেতের মধ্যে মথগুলো ডিম পাড়া শুরু করেছে।
ব্যবস্থাপনা
- নিয়মিতভাবে ক্ষেত পর্যবেক্ষণের সময় মাজরা পোকার মথ ও ডিম সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেললে মাজরা পোকার সংখ্যা ও ক্ষতি অনেক কমে যায়। থোর আসার পূর্ব পর্যন্ত হাতজাল দিয়ে মথ ধরে ধ্বংস করা যায়।
- ক্ষেতের মধ্যে ডালপালা পুঁতে পোকা খেকো পাখির বসার সুযোগ করে দিলে এরা পূর্ণবয়স্ক মথ খেয়ে এদের সংখ্যা কমিয়ে ফেলে।
- মাজরা পোকার পূর্ণ বয়স্ক মথের প্রাদুর্ভাব যখন বেড়ে যায় তখন ধান ক্ষেত থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরে আলোক ফাঁদ বসিয়ে মাজরা পোকার মথ সংগ্রহ করে মেরে ফেলা যায়।
- ধানের জমিতে ১০০ টির মধ্যে ১০-১৫ টি মরা কুশি অথবা ৫ টি মরা শীষ পাওয়া গেলে অনুমোদিত কীটনাশক যেমন: ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি ৭৫ গ্রাম/হেক্টর হারে
- কার্টাপ + এসিটমিপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: কার্টাপ্রিড এসপি, বা বাতির ৯৫ এসপি ১ গ্রাম/লি: অথবা ক্লোরেন্ট্রানিলিপ্রোল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: এনফিউজ ৪জি ৪কেজি/হেক্টর হারে চারা রোপনের ১৫-২০ দিন এর মধ্যে প্রয়োগ করা ।
- অথবা আইসোসাইক্লোসিয়াম গ্রুপের কীটনাশক ইন্সিপিয়ো ২০ ইসি ০.৬ মি.লি./লি.পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা । দানাদার কীটনাশক প্রয়োগের সময় জমিতে অবশ্যই পানি থাকা চাই ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. জমিতে অতিরিক্ত ইউরিয়া সার বা এলোপাথারি বালাই নাশক ব্যবহার করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সঠিক দূরত্বে ও সঠিক বয়সের চারা রোপন করুন
২.চারা লাগানোর পরপরই জমিতে পর্যাপ্ত পরিমানে খুটি পুতে দিন যাতে সেখানে পাখি বসে পোকা খেতে পারে।
৩. মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার দিন।
লক্ষণ:
এই পোকার কীড়া ও পূর্ণবয়স্ক উভয় অবস্থায় ক্ষতি
করে । এরা কেটে কেটে পাতার কিনারা ও শিরাগুলোর ঝাঝড়া হয়ে যায় । আক্রমণ বেশী হলে গাছ
দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে ফলনের ক্ষতি হতে পারে ।
ব্যবস্থাপনা:
• হাতজাল দিয়ে পোকা
ধরে মেরে ফেলা ।
* ডালপালা পুঁতে পোকা খেকো পাখী বসার ব্যবস্থা
করা ।
* শতকরা ২৫ ভাগ ধানের পাতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে
অনুমোদিত কীটনা্শক ব্যবহার করা যেমন: কার্বোসালফান ৪০০ মিলি/একর, কুইনালফস ৬০০ মিলি/একর
ব্যবহার করা ।
লক্ষণ:
শুকনা জমি বেশী আক্রান্ত হয় তবে ভেজা জমিও
আক্রান্ত হয় । পাতা কেটে কেটে খায় । কীড়া ও পূর্ণবয়স্ক উভয়ই ধানের পাতায় পাশ থেকে খেতে
থাকে । এরা চাড়ার গোড়াও কাটে ।
ব্যবস্থাপনা:
*আলোর ফাঁদের সাহায্যে পূর্নবয়স্ক মথ ধরে
মেরে ফেলতে হবে ।
* আক্রান্ত ক্ষেত সেচ দিয়ে ডুবিয়ে দিয়ে
*এবং পাখির খাওয়ার জন্য ডালপালা পুঁতে দিয়ে
ও এদের সংখ্যা কমানো যায় । শতকরা ২৫ ভাগ পাতার ক্ষতি হলে কার্বারিল (ভিটাব্রিল) ২৭
গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫ মিশিয়ে শতক জমির জন্য এই হারে প্রয়োগ করতে হবে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১.আক্রান্ত জমি শুকনো রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. ফসল কাটার পর আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের
জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।
লক্ষণ:
পাতা, কান্ড ও শীষ আক্রান্ত হয়। প্রথমে পাতায়
ডিম্বাকৃতির দাগ পড়ে যার দু প্রান্ত লম্বা হয়ে চোখাকৃতি ধারণ করে। দাগের মধ্যভাগ ছাই
রংয়ের ও বাইরের দিকের প্রান্ত গাঢ় বাদামী হয়। অনেকগুলি দাগ একত্রিত হলে পাতাটি মরে
যেতে পারে।
ব্যবস্থাপনা:
# জমিতে সব সময় পানি ধরে রাখা।
# প্রতি লিটার পানিতে (টেবুকোনাজল ৫০% + ট্রাইফ্লুক্সিট্রোবিন
২৫%) জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন: নাটিভো ৭৫ ডব্লিউপি ০.৬০ গ্রাম মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করা।
# অথবা প্রতি লিটার পানিতে ট্রাইসাইক্লাজল
গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ট্রপার ৭৫ ডব্লিউপি বা জিল ৭৫ ডব্লিউপি ০.৮১ গ্রাম বা অন্যান্য
নামের এ রোগের জন্য অনুমোদিত ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. ধান কাটার পর শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই
পুড়িয়ে ফেলুন।
২. মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ
করুন
৩. মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করুন
এ রোগের আশঙ্কা থাকলে জমিতে পটাশ সার দুইবারে
প্রয়োগ করুন (জমি তৈরির সময় অর্ধেক ও চারা লাগানোর ৩০ দিন উইরিয়া উপরি প্রয়োগের সময়
অর্ধেক)।
লক্ষণ:
এ পোকা ধানের শীষ কেটে ক্ষতি সাধন করে।
ব্যবস্থাপনা:
* সম্ভব হলে আক্রান্ত ক্ষেত সেচ দিন
* সম্ভব হলে আধা পাকা ধান বাঁশ দিয়ে হেলিয়ে
দিন
* ধান পেকে গেলে দ্রুত কেটে ফেলুন
* প্রতি বর্গমিটার স্থানে যদি গড়ে ১টি কীড়ার
উপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ভিটাব্রিল ২৭ গ্রাম প্রতি
১০ লিটার পানিতে ৫ মিশিয়ে শতক জমির জন্য এই হারে প্রয়োগ করতে হবে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ৮০% ধান পাকার পর আর জমিতে ফেলে রাখবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. ফসল কাটার পর আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের
জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।
২.পাখির বসার জন্য ডালপালা পুঁতে দিয়ে ও এদের
সংখ্যা কমানো ।
লক্ষণ:
সবুজ বর্ণের এ পোকার পাখায় কাল দাগ থাকে।
এরা টুংরো ও হলুদ বামন রোগ ছড়ায়।
ব্যবস্থাপনা:
১. আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে পাতা ফড়িং মেরে
ফেলা ।
২. হাত জালে প্রতি একশত টানে ৪০-৫০ টি সবুজ
পাতাফড়িং পাওয়া গেলে অনুমোদিত কীটনাশক অনু্মোদিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে । যেমনঃ
ফেনথয়েট ৪০০ মিলি/একর অর্থাৎ১০লিটার পানিতে ২০ মিলি প্রতি ৫শতক হারে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. রোগ সহনশীল জাত যেমন: বিআর২২, বিআর২৩,
ব্রি ধান৩১ ও ব্রি ধান৪১ চাষ করা যেতে পারে।
২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা।
৩. সুষম পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ
সার ব্যবহার করা।
৪. ধানের জাত অনুসারে সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ
করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।
লক্ষণ:
শুকনা জমি বেশী
আক্রান্ত হয় তবে ভেজা জমিও আক্রান্ত হয় । পাতা কেটে কেটে খায় । কীড়া ও পূর্ণবয়স্ক উভয়ই
ধানের পাতায় পাশ থেকে খেতে থাকে ।
ব্যবস্থাপনা:
*আলোর ফাঁদের সাহায্যে
পূর্নবয়স্ক মথ ধরে মেরে ফেলতে হবে ।
* আক্রান্ত ক্ষেত
সেচ দিয়ে ডুবিয়ে দিয়ে
*এবং পাখির খাওয়ার
জন্য ডালপালা পুঁতে দিয়ে ও এদের সংখ্যা কমানো যায় । শতকরা ২৫ ভাগ পাতার ক্ষতি হলে কার্বারিল
(ভিটাব্রিল) ২৭ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫ মিশিয়ে শতক জমির জন্য এই হারে প্রয়োগ
করতে হবে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১.আক্রান্ত জমি
শুকনো রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. ফসল কাটার পর
আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।
লক্ষণ:
পাতায় শিরার সমান্তরালে ছোট ছোট সরু ও লম্বালম্বি
চিকন বাদামী দাগ পড়ে । পাতার খোলে বীজের বোটায়, তুষের উপরও এই দাগ পড়ে । একাধিক দাগ
একত্রে মিশে অপেক্ষাকৃত বড় ও চওড়া দাগের সৃষ্টি হতে পারে । আক্রমণ প্রবণ হলে দাগ গুলো
মোটা হালকা বাদামী রঙের হয় ।
ব্যবস্থাপনা:
১. রোগ দেখা দিলে পর্যায়ক্রমে জমিতে পানি
দেয়া ও শুকানো হলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
২. প্রপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন:
টিল্ট বা একানাজল ১ মিলি / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. রোগ সহনশীল জাত যেমন বিআর১০, বিআর২২, বিআর২৩,
ব্রি ধান৩১ ও ব্রি ধান৩২ চাষ করা যেতে পারে।
২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা।
৩. লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া
জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।
৪. সুষম পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ
সার ব্যবহার করা।
৫. ধানের জাত অনুসারে সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ
করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।
লক্ষণ:
কীড়া ধানের পাতায় পাশ থেকে খেতে ক্ষেতে মধ্যশিরার দিকে আসতে থাকে ।
ব্যবস্থাপনা:
*আলোর ফাঁদের সাহায্যে পূর্নবয়স্ক মথ ধরে মেরে ফেলতে হবে ।
* আক্রান্ত ক্ষেত সেচ দিয়ে ডুবিয়ে দিয়ে
*এবং পাখির খাওয়ার জন্য ডালপালা পুঁতে দিয়ে ও এদের সংখ্যা কমানো যায় । শতকরা
২৫ ভাগ পাতার ক্ষতি হলে কার্বারিল (ভিটাব্রিল) ২৭ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫ মিশিয়ে
শতক জমির জন্য এই হারে প্রয়োগ করতে হবে ।
কৃষকের
আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে
যা যা করবেন না
১.আক্রান্ত জমি শুকনো রাখবেন না
পরবর্তীতে
যা যা করবেন
১. ফসল কাটার পর আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।
লক্ষণ:
লক্ষীর গু বা ভূয়াঝুল
রোগ ধান পাকার সময় দেখা যায়। ছত্রাক ধানে চাল হওয়ার শুরুতেই আক্রমণ করে এবং বাড়ন্ত
চালকে নষ্ট করে বড় গুটিকা সৃষ্টি করে। গুটিকার ভেতরের অংশ হলদে কমলা রং এবং বহিরাবরণ
সবুজ অথবা কাল হয়। কচি গুটিকাগুলো ১ সেমি এবং পরিপক্ক অবস্থায় আরও বড় আকারের হতে পারে।
এক রকমের আঠা জাতীয় পদার্থ থাকার জন্য গুটিকা থেকে ক্ল্যামাইডোস্পোর জাতীয় অনুজীব সহজে
বের হয় না। সাধারণত: কোন শীষে কয়েকটা ধানের বেশী আক্রমণ হতে দেখা যায় না।
ব্যবস্থাপনা:
১. আক্রান্ত গাছ
বা শীষ তুলে ফেলা এ রোগ দমনের সবচেয়ে ভাল উপায়। তবে এটি সকাল বেলা আক্রান্ত শীষ পলি
ব্যাগে সাবধানে আবদ্ধ করে গাছ তুলতে হবে যাতে স্পোর ছড়াতে না পারে।
২. ক্ষেত আক্রান্ত
হবার আশঙ্কা থাকলে শিষ বের হবার পরই জমিতে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাক নাশক যেমন:
ব্যাভিস্টিন বা নোইন ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১.আক্রান্ত জমি
থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. ফসল কাটার পর
আক্রান্ত জমি ও তার আসে-পাশের জমির নাড়া পুড়িয়ে দিন।
এ সমস্যা হলে চারা সাদা হয়ে যায়, বৃদ্ধি থেমে যায়।
এর প্রতিকার হল:
১. সকাল বেলা চারার গায়ে জমে থাকা শিশির ভেঙ্গে দেয়া
২. রাতের বেলা বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া
৩. রাতের বেলা বীজতলায় পানি ঢুকিয়ে সকালে তা বের করে দেয়া।
৪.পটাশ সার ১০ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১.ছায়া যুক্ত স্থানে বীজতলা তৈরি করবেন না
২. এলো মেলো ও ঘনকরে বীজতলা তৈরি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সম্ভব হলে শুকনো বীজতলা তৈরি করুন: বোরো মৌসুমে ভালভাবে তৈরি করা শুকনা বীজতলায় অঙ্কুরিত বীজ বুনে তার উপর অল্প পরিমানে ঝুড়ঝুড়ে মাটি ছিটিয়ে দিয়ে পুরো বীজ তলা সাদা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখুন
২. আদর্শ বীজতলা তৈরি করুন
৩. রোদ্র যুক্ত স্থানে বীজতলা তৈরি করুন।