এ রোগ দেখা দিলে কান্ডে পানি ভেজা দাগ দেখা
যায় এবং এক সময় কান্ড পচে ভেঙ্গে যায় ।
এর প্রতিকার হল:
কপার অক্সিক্লোরাইট জাতীয় ছত্রাক নাশক যেমন-
কুপ্রাভিট ৭ গ্রাম / লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ
এ রোগে আক্রান্ত পাতা ও কান্ডে বাদামী কলো
দাগ দেখা যায় । পরে দাগগুলো বড় হয় এবং গাছ মরে যায় ।
প্রতিকার
* আক্রান্ত পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট
করা ।
* রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি
টিল্ট ২৫০ ইসি ১০-১২ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ডাটা
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. প্রোভেক্স বা হোমাই বা বেনলেট ১% দ্বারা
বীজ শোধন করা ।
এরা পাতার রস চুষে খায় তাই পাতা বিন্দু বিন্দু
হলুদে দাগের মত হয়ে পড়ে সাদাটে হয়ে যায়।অতি ক্ষুদ্র মাকড় পাতার উল্টো দিকে দেখা দেয়।কখনও
কখনও এরা এক যায়গায় ঘনভাবে জড় হয়। তখন এদের সহজেই খালি চোখে দেথা যায়।
এর প্রতিকার হল:
১. ক্ষেত থেকে মাকড় বা ডিমসহ আক্রান্ত গাছ
তুলে ফেলা/ ডাল কেটে দেয়া অপসারণ করা
২. জমিতে পরিমিত পরিমানে জৈবসার প্রয়োগ করা
।
৩. পানি স্প্রে করা বা স্প্রিংলার সেচ দেয়া
৪. মাকড় নাশক বা সালফার যেমন: থিওভিট/ কুমুলাস/
ভার্টিমেক বা ইনসাফ ইত্যাদি যে কোন একটি ২ মিলি বা ২ গ্রাম /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে
স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা
এ রোগ দেখা দিলে পাতায় পানি ভেজা দাগ দেখা
যায় এবং কান্ডের উপর ছত্রাকের আস্তরণ পড়ে । এক সময় কান্ড পঁচে যায় ।
এর প্রতিকার হল:
পার অক্সিক্লোরাইট জাতীয় ছত্রাক নাশক যেমন-
কুপ্রাভিট ৭ গ্রাম / লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ:
কীড়া অবস্থায় পাতা খেয়ে বড় বড় ছিদ্র করে ।
এটি সাধারণত কচি পাতাগুলো আক্রমণ করে থাকে
প্রতিকার :
•ক্ষেত পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন রাখা ।
* ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা
( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)
• আক্রমণ বেশি হলে
প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন-২ মিঃলিঃ মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ:
ছত্রাকের আক্রমণে ডাটার চারার গোড়া পঁচে যায়।
চারা নেতিয়ে পড়ে ।
প্রতিকার :
১. বেডে চারা উৎপাদন করা বা সবজি বীজ বপন
করা ।
২. পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করা।
৩. শতাংশ প্রতি ৭- ১০ কেজি ট্রাইকো- কম্পোস্ট
ব্যবহার করা।
লক্ষণ
আক্রান্তগাছের পাতা হলদে হয়ে নেতিয়ে পরে ।
গাছের আগা নুইয়ে যায় । আক্রান্ত গাছ কাটলে বাদামী দাগ দেখা যায় । গাছটি শুকিযে মারা
যায় । বীজ চিটা হয় ।
প্রতিকার
পরিমিত সেচ দেয়া । আক্রান্ত জমিতে ট্রাইকো-কম্পেস্ট
ব্যবহার করা । জমি থেকে পানি বেরনোর ভালো ব্যবস্থা রাখা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ:
পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে
গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।
প্রতিকার :
• গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা
• প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা
• পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা
• ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
• হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।
• তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি
লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
•
প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকা দেখা
দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
লক্ষণ
এ রোগ হলে পাতা কিনারা থেকে পোড়ার মত হয়ে
পুরো পাতাটিই ঝলসে যায়।
প্রতিকার
* ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
• রোগাক্রান্ত পাতা
তুলে নষ্ট করা ।
• আক্রমণ বেশি দেখা
দিলে রোভরাল- ২ গ্রাম বা ডাইথেন- এম-৪৫ ২.৫গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে
করা ১০-১২ দিন পর পর ২/৩ বার ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে
ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা
পুড়ে ফেলা।
২. আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা ।
৩. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ( যেমন:
কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
লক্ষণ:
কীড়া অবস্থায় পাতা মোড়ায় এবং সবুজ অংশ খায়
। এটি সাধারণত কচি পাতাগুলো আক্রমণ করে থাকে
প্রতিকার :
•ক্ষেত পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন রাখা ।
• আক্রন্ত পাতা
সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।
* ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা
( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)
• আক্রমণ বেশি হলে
প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন-২ মিঃলিঃ মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ
প্রথমে পাতায় হলুদ রংয়ের দাগ পড়ে এবং তা পরে
সাদা হয়ে যায় । দাগগুলো একত্র হলে সম্পূর্ণ পাতাটি নষ্ট হয় । রোগের জীবানু বাতাস দ্বারা
ছড়ায় ।
প্রতিকার
* ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
• রোগাক্রান্ত পাতা
তুলে নষ্ট করা ।
• আক্রমণ বেশি দেখা
দিলে রোভরাল- ২ গ্রাম বা ডাইথেন- এম-৪৫ ২.৫গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে
করা ১০-১২ দিন পর পর ২/৩ বার ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ
পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । পূর্ণ
বয়স্করা চারা গাছের বেশি ক্ষতি করে । এরা পাতা ছোট ছোট ছিদ্র করে খায় । আক্রান্ত পাতায়
অসংখ্য ছিদ্র হয় ।
প্রতিকার
• হাত জাল দ্বারা পোকা সংগ্রহ ।
• পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ।
• চারা গাছ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া ।
• আক্রান্ত গাছে ছাই ছিটানো
• ০.৫% ঘনত্বের সাবান পানি অথবা ৫ মিলি তরল সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে
স্প্রে করা ।
•
৫০০ গ্রাম নিম বীজের শাঁস পিষে ১০
লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা ছেঁকে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া
যেতে পারে ।
লক্ষণ
এক সাথে অনেক পোকা পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে
। ফলে পাতা জালের মত হয়ে যায়। এ পোকা পাতা খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।
প্রতিকার
১. পোকাসহ গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা
২. ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা
৩. প্রাকৃতিক শত্রুদের রক্ষা করা
৪. ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
৫. তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া
(৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
৬. বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল
০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা