লক্ষণ
এ রোগে আকান্ত হলে প্রথমে গাছ আগা থেকে মরা শুরু হয় এবং ক্রমশ তা নিচের দিকে অগ্রসর হয় এবং এক সময় প্ররো গাছ মারা যায়।
প্রতিকার
- আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা ।
- রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে প্রপিকোনাজল গ্রুপের টিল্ট ২৫০ ইসি বা প্রটাফ ২৫০ ইসি অথবা ম্যানকোজেব + মেটালক্সিল গ্রুপের মেটারিল ৭২ ডব্লিউপি বা এন্টিব্লাইট ৭২ডব্লিউপি ২ গ্রাম প্রতি লিটার হারে ১০-১২ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. প্রোভেক্স ২০০ ডব্লিউপি বা ম্যাপভেক্স ৭৫ ডব্লিউপি প্রতি কেজির জন্য ৪ গ্রাম হারে বীজ শোধন করা ।
লক্ষণ
এ রোগ হলে গাছের পাতা সাদাটে হয়ে যায় এবং
পাতায় সাদাটে হলুদ-সবুজের মোজাইকের মত ছোপ ছোপ দেখা যায়
প্রতিকার
১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
২. ভাইরাসমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা ৩.
জাপ পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড ১ মি.লি.
/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ
এ রোগে আক্রান্ত হলে মাটির কাছাকাছি কলো দাগ
দেখা যায় । পরে দাগগুলো বড় হয় এবং কান্ড পঁচে যায় ।
প্রতিকার
* আক্রান্ত পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট
করা ।
* রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে কার্বেন্ডজিম
গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ব্যাভিস্টিন বা নোইন ১গ্রাম/ লিটার হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন
অন্তর ২ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. প্রোভেক্স বা হোমাই বা বেনলেট ১% দ্বারা
বীজ শোধন করা ।
লক্ষণ
এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে পাতায় পানি ভেজা
ক্ষত দেখা যায়। পরে পাতার আগা পুড়ে যায়, পাতা ঝড়ে যায় এবং কান্ড ও শাথা কাল রং ধারণ
করে এবং গাছ মরে যায় ।
প্রতিকার
* গোড়াসহ আক্রান্ত গাছ সংগ্রহ করে নষ্ট করা
।
* রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি
টিল্ট ২৫০ ইসি ১০-১২ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
২. উপরি সেচ না দেয়া
৩. একই জমিতে বার বার মরিচ চাষ না করা
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. প্রোভেক্স বা হোমাই বা বেনলেট ১% দ্বারা
বীজ শোধন করা ।
৪. কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের আগে ও পরে জীনানুমুক্ত
রাখা
লক্ষণ
এ রোগে আক্রান্ত পাতায় নিচের দিকে প্রথমে
ছোট ছোট পানিভেজা দাগ দেখা যায় আস্তে আস্তে দাগগুলো বড় হয় এবং কান্ডে ক্যাংকারের ক্ষত
দেখা যায়।
প্রতিকার
১. রোগ দেখা দিলে প্রাধমিক পর্যায়ে আক্রান্ত
গাছ অপসারণ করা ।
২. পানি নিস্কাষনের ভাল ব্যবস্থা করা
৩. নাইট্রেজেন সার ভাগ ভাগ করে কয়েকবারে প্রয়োগ
করা
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১.জমিতে নাইট্রেজেন সার একবারে প্রয়োগ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. প্রোভেক্স বা হোমাই বা বেনলেট ১% দ্বারা
বীজ শোধন করা ।
লক্ষণ
এ রোগে আক্রান্ত পাতা, কান্ড ও ফলে বাদামী
কলো দাগ দেখা যায় । পরে দাগগুলো বড় হয় এবং মরিচ পচে যায় ।
প্রতিকার
* আক্রান্ত পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট
করা ।
* রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি
টিল্ট ২৫০ ইসি ১০-১২ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. প্রোভেক্স বা হোমাই বা বেনলেট ১% দ্বারা
বীজ শোধন করা ।
লক্ষণ
পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে
গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।
প্রতিকার
·
গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা
·
প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ
করা
·
পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা
·
ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
·
হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।
·
তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া
(৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
·
প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকা দেখা
দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
এ রোগ হলে গাছের পাতা হলদে হয়ে শুকিয়ে যায়,
ধীরে ধীরে গাছ ঢলে পড়ে এবং মারা যায়।
এর প্রতিকার হল:
১। আক্রান্ত গাছ তুলে ক্ষেত পরিস্কার করা
২। চ্যাম্পিয়ন ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে
মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১। আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
২। একই জমিতে পর পর বার বার মরিচ চাষ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১। চাষের পূর্বে জমিতে শতাংশ প্রতি ১ কেজি
ডলোচুন প্রয়োগ করে জমি তৈরী করুন
২। প্রতি লিটার পানিতে ৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা
ভিরিডি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে চারা শোধন করে নিন।
লক্ষণ
এর আক্রমণে পাতা কুঁকড়ে যায়। পোকা গাছের কচি
পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।
প্রতিকার
·
গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা
·
প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ
করা
·
পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা
·
ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
·
হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।
·
তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া
(৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
·
বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল
০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ
তুলে খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ
এ রোগ হলে গাছের পাতায় বাদামি দাগ দেখা যায়
যায়। দাগের কিনারা কালচে বা বাদামি এবং কেন্দ্র সাদাটে। আনেক দাগ মিলে বড় দাগ হয় এবং
পাতা পচে যায়
প্রতিকার
১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
২. গাছের উপরে সেচ দেওয়ার পরিবর্তে গাছের
গোড়ায় সেচ প্রয়োগ করা
৩.
কপার অক্সিক্লোরাইড জাতীয় ছত্রাক নাশক ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বীজ তলায় আক্রান্ত চাড়া মূল জমিতে লাগাবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
প্রতিকার
১. ভাইরাসের বাহক জাবপোকা ও সাদামাছি দমন
করা
২. শতাংশ প্রতি ১০ গ্রাম রোরন সার প্রয়োগ
করা
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ
পোকার কীড়া কচি ফল ও ডগা ছিদ্র করে ও ভিতরে
কুরে কুরে খায় । এরা ফুলের কুঁড়িও খায়
প্রতিকার
•ক্ষেত পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন রাখা ।
• আক্রান্ত ডগা
ও ফল সংগ্রহ করে নষ্ট করা
• চারা রোপনের ১৫
দিন পর থেকে ক্ষেত ঘন ঘন পর্যাবেক্ষন করা ।
• জৈব বালাইনাশক
ব্যবহার যেমন নিমবিসিডিন ৩ মিঃলিঃ / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্পে করা ।
• শতকরা ১০ ভাগের
বেশি ক্ষতি হলে যে কোন একটি বালাইনাশক ব্যবহার করা । যেমন রিপকর্ড ১ মিঃলিঃ বা ডেসিস
০.৫মিলি বা ফাসটেক ০.৫ মিঃলিঃ বা সবিক্রন -২ মিঃলিঃ বা সুমিথিয়ন-২ মিঃলিঃ বা ডায়াজিনন
২ মিঃলিঃ /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্পে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
লক্ষণ
রোরন সারের ঘাটতির কারণে এরকম হতে পারে ।
প্রতিকার
শতাংশ প্রতি ১০ গ্রাম রোরন সার প্রয়োগ করা
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. মাটি পরীক্ষা করে সার দেয়া
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ
এ রোগে আক্রান্ত পাতায় নিচের দিকে প্রথমে
ছোট ছোট পানিভেজা দাগ দেখা যায় আস্তে আস্তে দাগগুলো বড় হয় এবং পাতার উপরের অংশেও দেখা
যায়। অনেক দাগ একত্রিত হয়ে বড় দাগ তৈরি করে। দাগের কিনারা গাঢ় বাদামি এবং কেন্দ্র সাদাটে
হয় । পাতা ঝড়ে যায় এবং গাছ মরেও যেতে পারে
প্রতিকার
রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম
কপার অক্সিক্লোরাইড মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. প্রোভেক্স বা হোমাই বা বেনলেট ১% দ্বারা
বীজ শোধন করা ।
লক্ষণ
এ রোগে আক্রান্ত গাছের পাতা হলদে হয়ে যায়
এবং ফলে পানি ভেজা কলো দাগ দেখা যায় । পরে দাগগুলো বড় হয় এবং মরিচ পচে যায় ।
প্রতিকার
* আক্রান্ত গাছ পলি ব্যাগে সংগ্রহ করে নষ্ট
করা ।
* ক্ষেত আক্রান্ত হলে আগে সুস্থ অংশে আন্ত:পরিচর্যা
করে পরে আক্রান্ত অংশে করা উচিৎ ।
* পরিচর্যার সময় যেন গাছ আঘাত না পায় তা নিশ্চিত
করা
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. একই জমিতে বার বার মরিচ আবাদ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড ১% দ্বারা বীজ শোধন
করা ।
লক্ষণ
এ রোগে আক্রান্ত মুলে, কান্ড ও পাতায় আক্রমণ
দেখা যায় । কান্ড কাল রং ধারন করে শুকিয়ে যায় । ধীরে ধীরে গাছ মরে যায়
প্রতিকার
* জমিতে পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করা ।
* রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি
টিল্ট ২৫০ ইসি ১০-১২ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. উচু বেড তৈরি করে মরিচ চাষ করা ।
লক্ষণ
এ রোগ হলে গাছের
পাতা কুচকে যায় এবং পাতায় হলুদ-সবুজের মোজাইকের মত দেখা যায়
প্রতিকার
১. ক্ষেত থেকে
আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
২. ভাইরাসমুক্ত
বীজ বা চারা ব্যবহার করা
৩. জাব পোকা ও
সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড ১ মি.লি. / লি. হারে
পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার
পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে
বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার
করা
লক্ষণ
· লার্ভা এবং পূর্ণবয়স্ক মাইট গাছের কোষ ছিদ্র করে রস শোষণ করে এবং বিষাক্ত পদার্থ নিঃসৃত করে। গাছে খাদ্য তৈরি এবং পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। পাতা ফ্যাকাশে, মোচড়ানো এবং নিচের দিকে বাঁকানো হয়। পাতা চামড়ার মতো হয়ে যায় এবং শিরাগুলো মোটা হয়। পাতা এবং কচি কাণ্ড লালচে বর্ণের হয়। ফুলের কুঁড়ি বাঁকানো এবং মোচড়ানো হয়।
· গাছের বৃদ্ধি বিঘ্নিত হয়, কচি গাছের আকার ছোট হয় এবং বয়স্ক গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ফুল ঝরে পড়ে।
· ফল বিকৃত, ৰত বিশিষ্ট, অপরিপক্ব এবং অসম আকৃতির হয়। ফলের উৎপাদন এবং বাজার মূল্য কমে যায়।
· সাধারণত নতুন পাতা এবং ছোট ফলে মাইট বেশি দেখা যায় কারণ এ পোকা শক্ত টিস্যু খেতে পারে না। লার্ভা এবং পূর্ণ বয়স্ক মাইটগুলো পাতার নিচের দিক খেতে বেশি পছন্দ করে।
প্রতিকার
· ফল সংগ্রহের সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে যাতে সংগ্রহকারীর কাপড় এবং শরীর দ্বারা মাইটগুলো আক্রান্ত গাছ থেকে অনাক্রান্ত গাছ বা ক্ষেতের মধ্যে ছড়াতে না পারে।
· সেচ প্রয়োগের মাধ্যমে এর আক্রমণ কমানো সম্ভব।
· ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি স্প্রে করতে হবে। এর মধ্যে ১-২% তেল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
· আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে নিম্নলিখিত মাকড়নাশক প্রয়োগ করতে হবে-
· সালফার ডায়াফেনসিউরন গ্রুপের কীটনাশক পেগাসাস ৫০ ইসি ১ মি .লি. /লি. হারে বা স্পাইরোটেট্রামেট গ্রুপের কীটনাশক মোভেন্টা ১৫০ ওডি ১ মিলি/লি. ১০ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. একই জমিতে বার বার মরিচ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. মরিচ উৎপাদনের জন্য ছায়ামুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে।
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ : এরা পাতার রস চুষে খায় ফলে গাছ দুর্বল
হয়ে পড়ে। পাতায় অসংখ্য সাদা সাদা পাখাযুক্ত মাছি দেখা যায় ।ঝাকি দিলে পোকা উড়ে যায়
প্রতিকার :
১. সাদা আঠাযুক্ত বোর্ড স্থাপন বা আলোর ফাঁদ
ব্যবহার করা।
২. নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করা।
৩. 50 গ্রাম সাবানের গুড়া 10 লিটার পানিতে
গুলে পাতার নিচে সপ্তাহে 2/3 বার ভাল করে স্প্রে করা। সাথে 5 কৌটা গুল (তামাক গুড়া)
পানিতে মিশিয়ে দিলে ফল ভাল পাওয়া যায়।
৪. সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসাবে অনুমোদিত বালাইনাশক
ব্যবহার করা। যেমন এডমায়ার 0.5 মিলি বা 0.25 মিলি ইমিটাফ বা 2 মিলি টাফগর/রগব/সানগর
প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়। এতে পাতার বোটায়,
কান্ডে ও ফলে সাদা তুলার মত বস্তু দেখা এবং আক্রান্ত অংশ এমনকি পুরো গাছ মারা যায় ।
এর প্রতিকার হল :
১. উপরি সেচের পরিবর্তে প্লাবন সেচ দেয়া।
২. প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত ফল,পাতা ও ডগা
অপসারণ করা।
৩. বীজ লাগানোর আগে গভীরভাবে চাষ দিয়ে জমি
তৈরী করা । ৪. প্রপিকোনাজলগ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মি.লি. / লি.
হারে পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ৩ বার শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. প্রোভেক্স বা হোমাই বা বেনলেট ১% দ্বারা
বীজ শোধন করা ।