এটি একটি ক্ষতিকারক ছত্রাকজনিত রোগ । কান্ডের উপরের অংশে এ রোগ আক্রমণ করে । এর ফলে ক্ন্দ পচে যায়, গাছ হলুদ থেকে লালচে হয়ে মারা যায় ।

প্রতিকার :

আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা বা পুড়ে ফেলা ।

* রোগমুক্ত গাছ থেকে কন্দ সংগ্রহ করা ।

* রোগ প্রতিরোধক জাত ব্যবহার করা ।

*কাঁচা গোবর পানিতে গুলে কন্দ শোধন করে ছায়ায় শুকিয়ে ব্যবহার করা ।

* প্রতি লিটার পানিতে ৩-৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিড়িডি জাতীয় জীবানু মিশিয়ে কন্দ শোধন কর ।

*২ গ্রাম ব্যাভিষ্টিন বা নোইন বা রোডোমিল গোল্ড ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে হলুদ শোধন করে ছায়ায় শুকিয়ে ব্যবহার করা ।

* রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ব্যাভিষ্টিন বা নোইন বা রোডোমিল গোল্ড বা ডাইথেন এম-৪৫ বা ৪গ্রাম কুপ্রাভিট বা ১% বর্দোমিকচার মিশিয়ে গাছের গোড়ায় স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. হলুদ লাগানোর পর পিলাই ( গাছ বের হবার পর লাগানো হলুদ ) তুলবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. স্বাস্থ্যবান এবং রোগমুক্ত রাইজোম বীজের জন্য নির্বাচন করে বপন করুন

২. উন্নত জাতের হলুদ বপন করুন ।


পোকার ডিম থেকে বের হওয়ার পর সদ্যজাত লার্ভা আদার গাছ ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে এবং গাছের অভ্যন্তরীণ অংশ খায়। আক্রান্ত গাছ হলুদ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে মাইজ পাতা শুকিয়ে যায়।

প্রতিকার :

 ·      আক্রান্ত গাছ সংগ্রহ এবং ধ্বংস করে ফেলতে হবে।

·         ·  অত্যধিক আক্রান্ত এলাকায় আক্রমণের শুরুতে ক্লোরট্রানিলিপ্রোল জাতীয়  কীটনাশক কোরাজেন ১৮.৫ এসসি  প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হিসেবে আদা ক্ষেতে স্প্রে করতে হবে অথবা ফারটেরা ০.৪ জি বা এনফিউজ .৪৮জি  প্রতি হেক্ট্ররে ১০ কেজি হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে।


লক্ষণ

  • পোকা গাছের কচি পাতার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে।
  • এদের আক্রমণের কারণে পাতায় বাদামি দাগ হয় ।

 

প্রতিকার

১. হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।

২. তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।

৩. এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

লক্ষণঃ

ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে পাতায় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দাগ দেখা যায়। দাগের কেন্দ্র বাদামি বা সাদাটে এবং কিনারা কালচে ও হলুদ।


প্রতিকার :

  • আক্রান্ত পাতা ও ডগা অপসারণ করে মাটিতে পুতে ফেলা বা পুড়ে ফেলা।
  •  কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাক নাশক (যেমন: ব্যাভিস্টিন/ নোইন ইত্যাদি) ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. সুষম সার প্রয়োগ করুন

২. ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যাক্ত অংশ ধ্বংস করুন