লক্ষণ :

 কীড়া গাছের কান্ড ছিদ্র করে এবং আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গ করে বাকল খেতে থাকে । ছিদ্রের মুখে কালচে বাদামী চা পাতির গুড়োর মত দানা দানা কীড়ার মল দেখা যায় । ফলে গাছে খাদ্য ও পানি চালাচল ব্যাহত হয় ।

 

প্রতিকার :

ছিদ্রমুখের মল পরিস্কার করে পেট্রোল/কেরোসিন তেল বা ক্লোরোফর্মে এক টুকরো তুলো ভিজিয়ে ছিদ্রের মুখে ডুকিয়ে ছিদ্রের মুখ নরম কাদা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে । এতে কীড়া মারা যাবে ।

আক্রান্ত গাছের কান্ডে প্রতি লিটার পানিতে ৩মিলি লিটার পরিমাণ নিমবিসিডিন মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।

আলোক ফাঁদে এ পোকার মথকে আকৃষ্ট করে মেরে ফেলা যায় ।

গাছের গোড়ার আগাছা পরিস্কার রাখতে হবে ।


ক্ষতির লক্ষণ

অল্প কয়স্ক কীড়া গাছের চকচকে হালকা হলুদাভ সবুজ কচি পাতা খেতে পছন্দ করে । কচি পাতার কিনারা থেকে শুরু করে মধ্যশিরা পর্যন্ত খেয়ে ফেলে । কখনো কখনো পরিপক্ক পাতা খেতে শুরু, এমনকি সম্পূর্ণ গাছের পাতা খেয়ে গাছ পাতাশূণ্য করে ফেলে ।

 

সমন্বিত ব্যবস্থাপনা

যখনই দেবদারু গাছে ডিম, কীড়া ও পুত্তলি দেখা যাবে, তখনই হাত দিয়ে সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে ফেলে বা পুড়িয়ে দিয়ে এ পোকা ধ্বংস করতে হবে ।

আক্রান্ত দেবদারু গাছ ঝাকি দিয়ে কীড়া সংগ্রহ করে কেরোসিন মিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে মেরে এ পোকা নিয়ন্তণ করা যায় । ৫-৭দিন অন্তর এ পদ্ধতি ব্যবহার করা দরকার, কেননা প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের কীড়া সহজে পড়তে চায় না ।

ট্রাইকোগ্রামা ইভাসিন্স ও টেলিনোমাস স্পেসিস নামক পরজীবী পোকা প্র্রজাপতির ডিমকে আক্রমন করে ধ্বংস করে । ক্যারপ্স ও ব্যাকিমেরিয়া প্রজাতির বোলতা এই প্রজাতির ক্যাটারপলারকে (কীড়া) পড়জীবীতার দ্বারা মেরে ফেলে । টেরোলস স্পেসিস নামক অন্য একটি পরজীবী বোলতা প্রজাপতির পুত্তলিকে আক্রমণ করে ধ্বংস করে ।

আক্রমণের মাত্রা মারাত্মক হলে সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে আক্রান্ত গাছে ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা ফেনট্রোথিয়ন ৫০ ইসি অথবা ক্লোরপইরিফস ২০ ইসি এর যে কোন একটি ১ মিলিলিটর পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায় ।