এরা পাতার রস চুষে খায় তাই পাতা বিন্দু বিন্দু
হলুদে দাগের মত হয়ে পড়ে সাদাটে হয়ে যায়।অতি ক্ষুদ্র মাকড় পাতার উল্টো দিকে দেখা দেয়।কখনও
কখনও এরা এক যায়গায় ঘনভাবে জড় হয়। তখন এদের সহজেই খালি চোখে দেথা যায়।
এর প্রতিকার হল:
১. ক্ষেত থেকে মাকড় বা ডিমসহ আক্রান্ত গাছ
তুলে ফেলা/ ডাল কেটে দেয়া অপসারণ করা
২. জমিতে পরিমিত পরিমানে জৈবসার প্রয়োগ করা
।
৩. পানি স্প্রে করা বা স্প্রিংলার সেচ দেয়া
৪. মাকড় নাশক বা সালফার যেমন: থিওভিট/ কুমুলাস/
ভার্টিমেক বা ইনসাফ ইত্যাদি যে কোন একটি ২ মিলি বা ২ গ্রাম /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে
স্প্রে করা ।
এ ফড়িং পাতার শিরার মাঝখানের / পাশের অংশ
খেয়ে ফেলে। তাই সালোকসংশ্লেশনের হার কমে যায়।
প্রতিকার :
এটি সাধারণত তেমন ক্ষতিকর নয়, তবে ব্যপক আক্রমণ
হলে-
* আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা ।
* শতকরা ২৫ ভাগ পাতা ক্ষতিগ্রস্থ হলে অনুমোদিত
কীটনাশক যেমন- ডায়াজিনন- বা কার্বোসালফান ২ মিলি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই
ব্যবস্থা নিন
লক্ষণ
কীড়া অবস্থায় পাতা মোড়ায় এবং সবুজ অংশ খায়
। এটি সাধারণত কচি পাতাগুলো আক্রমণ করে থাকে
প্রতিকার
•ক্ষেত পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখা ।
* ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা
( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)
• আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন-২ মিঃলিঃ মিশিয়ে
ভালভাবে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই
ব্যবস্থা নিন
পিপিলিকার উপস্থিতি
এ পোকার উপস্থিতিকে অনেক ক্ষেত্রে জানান দেয় । এর আক্রমন বেশি হলে শুটি মোল্ড ছক্রাকের
আক্রমন ঘটে এবং গাছ মরে যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. হাত দিয়ে পিশে
পোকা মেরে ফেলা
২. আক্রান্ত ডগা
অপসারণ করা।
৩. পরভোজী পোকা
যেমন : লেডিবার্ডবিটল লালন।
৪. ডিটারজেন্ট
পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা
৫. প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকার আক্রমণ হলে এডমেয়ার
০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
লক্ষণ
ছোট গাছ হঠাৎ মরে যেতে দেখা যায়। অনেক সময়
পাতা সবুজ থাকে। বড় গাছের ক্ষেত্রে পাতাগুলো আস্তে আস্তে হলুদ হয়ে যায়
প্রতিকার
• আক্রান্ত গাছ অপসারণ করুন ।
* অধিক আক্রমণের ক্ষেত্রে কুপ্রভিট ২ গ্রাম
/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই
ব্যবস্থা নিন
২. ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যাক্ত অংশ পুড়িয়ে
ফেলুন
লক্ষণ
কীড়া অবস্থায় পাতা
মোড়ায় এবং সবুজ অংশ খায় । এটি সাধারণত কচি পাতাগুলো আক্রমণ করে থাকে
প্রতিকার
•ক্ষেত পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখা ।
• আক্রন্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।
* ক্ষেতে ডাল পুতে
পাখি বসার ব্যবস্থা করা ( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)
• আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন-২ মিঃলিঃ মিশিয়ে
ভালভাবে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ
পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ
পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন
ছক্রাকের আক্রমনে এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে
পাতায় বৈশিষ্টপূর্ণ দাগ দেখা যায়।
এর প্রতিকার হল:
১. রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করা
২. আক্রান্ত পাতা ও ডগা অপসারণ করা।
৩. বীজ লাগানোর আগে প্রোভ্যাক্স প্রতি কেজি
বীজের জন্য ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করা ।
৪. কার্বেন্ডাজিম ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে
মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
লক্ষণ
এ পোকা সয়াবিনের
ফল ছিদ্র করে ক্ষতি করে
প্রতিকার
•ক্ষেত পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখা ।
• আক্রন্ত গাছ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।
* ক্ষেতে ডাল পুতে
পাখি বসার ব্যবস্থা করা ( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)
•আক্রমণ বেশি হলে সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: রিপকর্ড বা সিমবুশ
১ মি.লি. / লি. হারে বা এমামেকটিন বেনজোয়েড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: প্রোক্লেইম বা সাহাম
১ গ্রাম/ লি হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ
পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন
পাতার উল্টো পিঠের সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা
পাতলা পর্দার মত করে ফেলে।এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যপক
ক্ষতি সাধন করে।
প্রতিকার
১. পাতায় ডিমের গাদা দেখলে তা তুলে ধ্বংস
করতে হবে।
২. ডিম আথবা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো
যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা
দিয়ে মারতে হবে।
৩. সিমবুশ ১০ ইসি প্রতি লিটার পানির সাথে
০.৫ মিঃ লিঃ বা প্রতি ১২ লিটার পানির সাথে ৬ মিঃ লিঃ ঔষধ মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
৪. ভালভাবে পোকা দমন করতে হলে ক্ষেতের আশে
পাশে বা অন্য আগাছা থাকলে তা পরিস্কার করে ফেলতে হবে।
৫.বিছা পোকা যাতে এক ক্ষেত হতে অন্য ক্ষেতে
ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রতিবন্ধক নালা তৈরী করা যায়।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই
ব্যবস্থা নিন
এ রোগ হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক
করা পাতা দেখা দেয়।
এর প্রতিকার হল:
·
ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা/
ডাল কেটে দেয়া অপসারণ করা
·
রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
।
·
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার
করা ।
·
ভাইরাসের বাহক পোকা দমনেহার জন্য ডায়ামেথেয়ট,
এসাটাফ, এডমেয়ার, টিডো, ইত্যাদি যে কোন একটি ১ মিলি /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে
করা ।
লক্ষণ
সাদা মাছি. জাপপোকা ইত্যাদি দ্বারা ভাইরাস
ছড়ায় । আক্রান্ত গাছ খর্বাকৃতি হয় । পাতার গায়ে টেউয়ের মত ভাজের সৃষ্টি হয় । বয়স্ক
পাতা পুরু ও মচমচে হয়ে যায় । অতিরিক্ত শাখা প্রশাখা বের হয় ও ফুল ফল ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে
ফেলে ।
প্রতিকার
·
আক্রান্ত গাছ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা
।
·
রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
।
·
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার
করা ।
·
ভাইরাসের বাহক পোকা দমনেহার জন্য ডায়ামেথেয়ট,
এসাটাফ, এডমেয়ার, টিডো, ইত্যাদি যে কোন একটি ১ মিলি /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে
করা)