সাধারণতঃ তোষা
ও কেনাফ পাটে এ রোগ দেখা যায়। খরার পর ঝড়ে বা অন্য কোন কারণে গাছে আঘাত লাগলে এ রোগ
বেশী হতে পারে। রোগে আক্রান্ত অংশ বাদামী রং এর হয় এবং আগা থেকে নীচের দিকে শুকাতে
থাকে। ফুল আসার পর সচরাচর এ রোগ দেখা দেয়।
প্রতিকার
১. এ রোগের প্রতিকারের
জন্য জমি পরিষ্কার পরিছন্ন এবং আগাছা ও আর্বজনামুক্ত রাখতে হবে।
২. আক্রান্ত গাছগুলোকে
তুলে দূরে মাটিতে পুতে ফেলে কিংবা পুড়ে ফেলে এ রোগ দমন করা যায়।
৩. ডাইথেন এম-৪৫
প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম মিশিয়ে গাছের গোড়ায় পর পর দু’দিন প্রয়োগ করলে রোগের
ব্যাপকতা কমে যায়।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ
পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. পাটের জমির
পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা রাখুন
২.আক্রান্ত জমিতে
২-৩ বছর তোষা পাটের আবাদ না করে দেশী পাটের আবাদ করা যেতে পারে।
৩. পাট কাটার পর
গাছের গোড়া, শিকড় ও অন্যান্য পরিত্যাক্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
এ রোগ হলে কান্ডে কালচে দাগ পড়ে । দাগ ক্রমেই
বড় হয়। অনেক সময় কান্ড ফেটে যায়। আশ নিম্ন মানের হয়।
প্রতিকার
১. জমি পরিষ্কার পরিছন্ন এবং আগাছা ও আর্বজনামুক্ত
রাখতে হবে।
২. শুরুর দিকে আক্রান্ত গাছগুলোকে তুলে দূরে
মাটিতে পুতে ফেলে কিংবা পুড়ে ফেলে এ রোগ দমন করা যায়।
৩. জমিতে চারা অবস্থা থেকে শুরু করে ফসল কর্তন
পর্যন্ত যখনই রোগের প্রকোপ দেখা দিবে তখনই রাসায়নিক ঔষধ ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রথমে রোগাক্রান্ত গাছ উঠিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। পরে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম
ডাইথেন এম-৪৫ অথবা ম্যানার এম-৪৫ গুলে ৩-৪ দিন অন্তর ২-৩ বার করে জমিতে ছিটাতে হবে।
।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
০. বীজ বপনের আগে বীজ শোধন করে নিতে হবে।
বীজ শোধনের জন্য ভিটাভেক্স ২০০ (০.৪%)/প্রোভেক্স-২০০ (০.৪%) এর ব্যবহারে যথেষ্ট সুফল
দেয়। পাটের প্রধান ছত্রাকজনিত রোগগুলো বীজ ও মাটি বাহী। বপনের আগে বীজ শোধনের ফলে রোগের
প্রকোপ অনেক কমে যায়। শোধন করা সম্ভব না হলে বপনের আগে বীজ রোদে ভালভাবে শুকাতে হবে।
১. পাটের জমির পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা রাখুন
২.আক্রান্ত জমিতে ২-৩ বছর দেশি পাটের আবাদ
না করে তোসা পাটের আবাদ করা যেতে পারে।
৩. পাট কাটার পর গাছের গোড়া, শিকড় ও অন্যান্য
পরিত্যাক্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৪. নীরোগ পাট গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
গাছের ৭০% ফল পাকলেই বীজ কেটে ফেলা উচিত। দেরী করলে ছত্রাক সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে।
কালো পট্রি রোগের লক্ষণ প্রায় কান্ড পচা রোগের মতই। তবে এতে কান্ডে কাল রং এর বেষ্টনীর মত দাগ পড়ে। আক্রান্ত স্থানে ঘষলে হাতে কালো গুড়ার মত দাগ লাগে। সাধারণতঃ গাছের মাঝামাঝি বয়স থেকে রোগ বেশী দেখা দেয়। এ রোগে গাছ ভেঙ্গে পড়ে না তবে গোটা গাছটি শুকিয়ে মরে যায়, ফলে আঁশ নিম্নমানের হয় ও ফলন কম হয়। সাধারণত তোষা পাটে এ রোগের প্রকোপ বেশী দেখা যায়। খরার সময় এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী হয়। সাধারণত জুন মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্তে এ রোগের প্রকোপ দেখা যায়।
প্রতিকার
১। এ রোগের প্রতিকারের জন্য জমি পরিষ্কার পরিছন্ন এবং আগাছা ও আর্বজনামুক্ত রাখতে হবে।
২। শুরুর দিকে আক্রান্ত গাছগুলোকে তুলে দূরে মাটিতে পুতে ফেলে কিংবা পুড়ে ফেলে এ রোগ দমন করা যায়।
৩। বীজ বপনের আগে বীজ শোধন করে নিতে হবে। বীজ শোধনের জন্য ভিটাভেক্স ২০০ (০.৪%)/প্রোভেক্স-২০০ (০.৪%) এর ব্যবহারে যথেষ্ট সুফল দেয়। পাটের প্রধান ছত্রাকজনিত রোগগুলো বীজ ও মাটিবাহী। বপনের আগে বীজ শোধনের ফলে রোগের প্রকোপ অনেক কমে যায়। শোধন করা সম্ভব না হলে বপনের আগে বীজ রোদে ভালভাবে শুকাতে হবে।
৪। কার্বেন্ডাজিম +ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ম্যানসার ৭২ ডব্লিউপি বা কেমামিক্স ৭২ডব্লিউপি প্রতি ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. পাটের জমির পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা রাখুন
২.আক্রান্ত জমিতে ২-৩ বছর তোষা পাটের আবাদ না করে দেশী পাটের আবাদ করা যেতে পারে।
৩. পাট কাটার পর গাছের গোড়া, শিকড় ও অন্যান্য পরিত্যাক্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৪. নীরোগ পাট গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। গাছের ৭০% ফল পাকলেই বীজ কেটে ফেলা উচিত। দেরী করলে ছত্রাক সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ক্ষতির লক্ষণ
তুলার মত কুশন
আকৃতির এ পোকা গাছের পাতা, পাতার বোঁটা, কচি ডগা বা হতে রস চুষে খেয়ে গাছের ক্ষতি করে
। এরা দু’ভাবে ক্ষতি করে থাকে । প্রথমতঃ রস চুষে খাওয়ার ফলে গাছের জীবনীশক্তি হ্রাস
পায় । দ্বিতীয়তঃ রস চুষে খাওয়ার সময় এরা গাছের রসের মধ্যে এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ
অন্তঃক্ষেপ করে । ফলে আক্রান্ত পাতা, ডগা ও ফলের উপর হলদে দাগ দেখা যায় । মারাত্মকভাবে
আক্রান্ত গাছের সমস্ত পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে
সমন্বিত ব্যবস্থাপনা
• আক্রমণের মাত্রা মারাত্মক হলে সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে আক্রান্ত গাছে ডায়াজিনন
৬০ ইসি বা ফেনট্রোথিয়ন ৫০ ইসি অথবা ক্লোরপইরিফস ২০ ইসি এর যে কোন একটি ১ মিলিলিটর পানিতে
মিশিয়ে স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায়।
যে সব দেশী পাটের
ক্ষেতে পানি নিষ্কাশন করা যায় না, সে সব ক্ষেতের পাট গাছের গোড়ায় সাদা তুলার আঁশের
মত এক প্রকার ছত্রাক রাতারাতি বেড়ে উঠে। কয়েকদিন পর সরিষার দানার মত বাদামী রংয়ের জীবাণুর
দানা দেখা যায়। এ রোগের ফলে গাছের গোড়া পঁচে যায় এবং গাছ ভেঙ্গে পড়ে। জুন থেকে অক্টোবর
মাস পর্যমত্ম এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়। জমিতে এ রোগ দেখা দিলে গাছ কেটে আঁশ সংগ্রহ
করা উচিত। দেশী ও তোষা উভয় পাটেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।
প্রতিকার
১. এ রোগের প্রতিকারের
জন্য জমি পরিষ্কার পরিছন্ন এবং আর্বজনামুক্ত রাখতে হবে।
২. পানি নিষ্কাশনের
উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. ডাইথেন এম-৪৫
প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম মিশিয়ে গাছের গোড়ায় পর পর দু’দিন প্রয়োগ করলে রোগের
ব্যাপকতা কমে যায়।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ
পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
০. বীজ বপনের আগে
বীজ শোধন করে নিতে হবে। বীজ শোধনের জন্য ভিটাভেক্স ২০০ (০.৪%)/প্রোভেক্স-২০০ (০.৪%)
এর ব্যবহারে যথেষ্ট সুফল দেয়। পাটের প্রধান ছত্রাকজনিত রোগগুলো বীজ ও মাটি বাহী। বপনের
আগে বীজ শোধনের ফলে রোগের প্রকোপ অনেক কমে যায়। শোধন করা সম্ভব না হলে বপনের আগে বীজ
রোদে ভালভাবে শুকাতে হবে।
১. পাটের জমির
পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা রাখুন
২. পাট কাটার পর
গাছের গোড়া, শিকড় ও অন্যান্য পরিত্যাক্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
স্ত্রী পোকা তার
শুড় দ্বারা গাছের ডগা, পর্বে বা গিটে ছিদ্র করে ডিম পারে । চেলে পোকা আলপিনের ছিদ্রের
মতো করে পাতা খায়। গাছের ডগা মারা যায় ও শাখা-প্রশাখা বের হয়। আক্রান্ত স্থান থেকে
এক প্রকার আঠা বের হয়ে আসে এবং কীড়ার মলের সাথে শক্ত গিটের সৃষ্টি করে, পাট পঁচানোর
সময় সেই গিট পচে না। এই গিটযুক্ত আঁশ বাজারে নিম্ন শ্রেণীর বলে বিবেচিত হয় এবং আশেঁর
মান ক্ষুন্ন হয়। ফলে দামও কম পাওয়া যায়।
প্রতিকার
১. পাট ক্ষেতের
পাশে বনওকড়া গাছ এবং অন্যান্য আগাছা পরিস্কার রাখলে এ পোকার আক্রমণ কম হয়।
২. প্রাথমিক অবস্থায়
ডগা আক্রান্ত চারাগুলো তুলে ফেললে পরবর্তীতে এদের আক্রমণ কমে যায়।
৩. গাছের উচ্চতা
১২-১৪ সেন্টিমিটার লম্বা হওয়ার পর চেলে পেকার আক্রমণ বেশী হলে কীটনাশক ঔষধ ছিটিয়ে দিলে
ভাল ফল পাওয়া যায়। এক মৌসুমে তিনবার ঔষধ ছিটিয়ে প্রায় সম্পূর্ণরূপে পোকা দমন করা যায়।
কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: সেভিন ১.৭০ কেজি / হেক্টর হারে প্রয়োগ করা বা মেটাসিসটক্স
৫০ ইসি বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ মিলি অর্থাৎ ১২ লিটার পানির সাথে
১৮ মিলি বা চা চামচের সাড়ে তিন চামচ ( ১ চা চামচ = ৫ মিলি) ক্ষেতে ছিটালে ভাল ফল পাওয়া
যয়।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ
পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ
পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন
এ রোগে গোটা পাট গাছ ঢলে পড়ে ও মরে যায়, তোষা
পাটের চেয়ে দেশী পাটে এ রোগ কম দেখা দেয়। ছোট ও বড় উভয় অবস্থায় পাট গাছ এ রোগে আক্রান্ত
হতে পারে। ফুল আসার সময় থেকে তোষা পাটে এ রোগ বেশী হয়।
প্রতিকার
১. এ রোগের প্রতিকারের জন্য জমি পরিষ্কার
পরিছন্ন এবং আগাছা ও আর্বজনামুক্ত রাখতে হবে।
২. পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে
হবে।
৩. ডাইথেন এম-৪৫ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০
গ্রাম মিশিয়ে গাছের গোড়ায় পর পর দু’দিন প্রয়োগ করলে রোগের ব্যাপকতা কমে যায়।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. পাটের জমির পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা রাখুন
২.আক্রান্ত জমিতে ২-৩ বছর তোষা পাটের আবাদ
না করে দেশী পাটের আবাদ করা যেতে পারে।
৩. পাট কাটার পর গাছের গোড়া, শিকড় ও অন্যান্য
পরিত্যাক্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
লক্ষণ
কীড়া অবস্থায় পাতা
মোড়ায় এবং সবুজ অংশ খায় । এটি সাধারণত কচি পাতাগুলোতে আক্রমণ করে থাকে
প্রতিকার
•ক্ষেত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ।
• পোকাসহ আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।
* ক্ষেতে ডাল পুতে
পাখি বসার ব্যবস্থা করা ( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)
• আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন-২ মিঃলিঃ মিশিয়ে
ভালভাবে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ
পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ
পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন
পাতার উল্টো পিঠের সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা পাতলা পর্দার মত করে ফেলে।এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
প্রতিকার
১. প্রাথমিক পাটের পাতায় ডিমের গাদা বা পোকা দেখলে তা তুলে ধ্বংস করা।
২. ডিম আথবা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারা।
৩.পাট ক্ষেতের আশে পাশে বা অন্য আগাছা থাকলে তা পরিস্কার করা।
৪.বিছা পোকা যাতে এক ক্ষেত হতে অন্য ক্ষেতে ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রতিবন্ধক নালা তৈরী করা যায়।
৫. অধিক আক্রমণের ক্ষেত্রে ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: মর্টার ৪৮ ইসি বা ডারসবান ২০ ইসি প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন
ক্ষতির লক্ষণ
পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা কচি পাতায় আক্রমণ করে
ও পাতার রস চুষে নেয়। পাতা ভিতরের দিকে কুঁকড়িয়ে যায়।
প্রতিকার :
* আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে মাটিতে পুতে ফেলা
* বৃষ্টি হলে মাকড়ের প্রকোপ এমনিতেই কমে যায়।
* জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেমন নিমবিসিডিন
(0.4%) মাকড়নাশক ব্যবহার করা।
* অথবা সালফার
গ্রুপের বা অন্যান্য মাকড়নাশক যেমন: থিওভিট বা কুমুলাস বা রনভিট প্রতি লিটার পানিতে
২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করা।
এ পোকা দেখতে লম্বাটে
গোল এবং হালকা গোলাপী রংঙের, পোকাগুলো একসাথে থাকে ও এদের উপরিভাগ সাদা তুলার মতো গুড়া
দ্বারা আবৃত থাকে। ছাতরা পোকা গাছের এরা গাছের ডগায় দল বেঁধে বাস করে এবং কচি ডগা ও
পাতার রস চুষে খায়। ফলে কচি ডগা ও পাতাগুলো কুঁকড়ে যায় এবং আক্রান্ত স্থান ফুলে উঠে।
কোঁকড়ানো পাতাগুলো ঝড়ে যায় ও আক্রান্ত স্থান হতে শাখা-প্রশাখা বের হয়। এতে গাছ লম্বায়
বাড়ে না ও আক্রান্ত স্থান ভাল করে পঁচে না। পোকার আক্রমণের দরুন ফলন খুবই কম হয় এবং
আঁশ নিম্নমানের হয়। বীজ ফসলে আক্রমণ হলে বীজের ফলন খুব কম হয়।
প্রতিকার
আক্রান্ত ডগা,
পাতা ও ডাল দেখা মাত্রা তা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।
আক্রমণ বেশি হলে
প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন বা সুমিথিয়ন ২ মিঃলি মারসাল ২০ ইসি ১মিঃলিঃ ডায়ামেথয়েট
৪০ ইসি ২মিঃলিঃ মিশিয়ে স্প্রে করা।
মোজাইক আক্রান্ত
পাট গাছের সংগৃহীত বীজ বপনের ফলে এ রোগ হয়ে থাকে। গাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে পাতায় হলদে
সবুজ ছিট দাগ পড়ে, আক্রান্ত গাছের বাড় কমে যায় এবং আঁশের পরিমাণ শতকরা ৫০% পর্যন্ত
কমে যাওয়ার আশংকা থাকে। পরাগায়ণের মাধ্যমে এবং হোয়াইট ফ্লাই (সাদা মাছি) নামক এক প্রকার
ক্ষুদ্র মাছি দ্বারা এ রোগ বিস্তার লাভ করে। সাদা মাছি আক্রান্ত গাছের রস খেয়ে সুস্থ
গাছের পাতার রস খাওয়ার সময় এ জীবাণু সুস্থ গাছে সংক্রমিত হয়।
প্রতিকার
জমিতে আক্রান্ত
চারা দেখা মাত্র তা তুলে ফেলতে হবে। কোন ক্রমেই হলদে সবুজ ছিট পড়া আক্রান্ত গাছ জমিতে
রাখা যাবে না। সুস্থ গাছের জন্য মাঝে মাঝে পাট ক্ষেতে ডায়াজিনন বা হেমিথ্রিন গ্রুপের
কীটনাশক প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১৫ মিলি পরিমাণ ঔষধ মিশ্রণ তৈরী করে ৩০-৪০ দিন বয়সের
গাছে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার ছিটানো উচিত। পাট গাছের মাঝামাঝি বয়সের বাড়ন্তকালে যদি এ
রোগ ব্যাপকভাবে দেখা দেয় তা হলে ঐ ক্ষেতের পাট গাছ থেকে আঁশ সংগ্রহ করা চলতে পারে।
কিন্তু বীজ সংগ্রহ করা একেবারেই নিষিদ্ধ। আক্রান্ত গাছের বীজ সংগ্রহ করে বপন করলে পরবর্তী
বছর ব্যাপকভাবে এ রোগ দেখা দেবে।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত
থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ্য ও রোগমুক্ত
বীজ ব্যবহার করুন
লক্ষণ
এক সাথে অনেক পোকা
পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে । ফলে পাতা জালের মত হয়ে যায়। বড় পোকা পাতায় বড় বড় ছিদ্র
করেও ক্ষতি সাধন করে ।
প্রতিকার
১. পোকাসহ গাছের
আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা
২. ফেরোমন ফাঁদ
স্থাপন করা
৩. প্রাকৃতিক শত্রুদের
রক্ষা করা
৪. ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন
রাখা ।
৫. তামাকের গুড়া
(১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে
ব্যবহার করা ।
৬. বেশি পোকা
দেখা দিলে ইমিডাক্লোরপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে
পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ
পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ
পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন