এ পোকার কীড়া পাতা খেয়ে সরিষার ক্ষতি করে থাকে ।

 

এর প্রতিকার হল

১. হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা

২. পোকাসহ আক্রান্ত ডগা অপসারণ করা।

৩. ম্যালাথিয়ন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ফাইফানন ৫৭ ইসি ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. ১৫ নভেম্বরের পর সরিষা বপন করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম সরিষা বপন করুন

২. উন্নত জাতের সরিষা বপন করুন ।

 


লক্ষণ:

এ পোকা রাতের বেলা চারা মাটি বরারবর কেটে দেয়। সকাল বেলা চারা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় ।

প্রতিকার :

১। সকাল বেলা কেটে ফেলা চারার আশে পাশে মাটি খুড়ে পোকা বের করে মেরে ফেলা ।

২। কেরোসিন (২-৩ লি./ হেক্টর হারে) মিশ্রিত পানি সেচ দেয়া।

৩। পাখি বসার জন্য ক্ষেতে ডালপালা পুতে দেয়া।

৪। রাতে ক্ষেতে মাঝে মাঝে আবর্জনা জড়ো করে রাখলে তার নিচে কীড়া এসে জমা হবে, সকালে সেগুলোকে মেরে ফেলা।

৫। ক্ষেতের মাটি আলগা করে দেওয়া।

৬। এ পোকা নিশাচর, রাতের বেলা সক্রিয় থাকে- তাই রাতে হারিকেন বা টর্চ দিয়ে খুজে খুজে পোকা মেরে ফেলা

৭। সাইপারমেথ্রিন + ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ডুয়েল ৫৫ ইসি বা এসিমিক্স ৫৫ইসি বা ক্লোরসাইরিন ৫৫ ইসি  ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে বা সন্ধ্যার পর গাছের গোড়ায় স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

১. এলোপাতারি বালাইনাশক ব্যবহার করে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করবেন না।

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

১. উত্তমরুপে জমি চাষ দিয়ে পোকা পাখিদের খাবার সুযোগ করে দিন।

২. চারা লাগানোর/ বপনের পর প্রতিদিন সকালে ক্ষেত পরিদর্শন করুন।


পিপিলিকার উপস্থিতি এ পোকার উপস্থিতিকে অনেক ক্ষেত্রে জানান দেয় । এর আক্রমন বেশি হলে শুটি মোল্ড ছক্রাকের আক্রমন ঘটে এবং গাছ মরে যায় ।

 

এর প্রতিকার হল

১. হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা

২. আক্রান্ত ডগা অপসারণ করা।

৩. পরভোজী পোকা যেমন : লেডিবার্ডবিটল লালন।

৪. ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা

৫. প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকার আক্রমণ হলে এডমেয়ার ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. ১৫ নভেম্বরের পর সরিষা বপন করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম সরিষা বপন করুন

২. উন্নত জাতের সরিষা বপন করুন ।


এ রোগ হলে বয়স্ক পাতায় দাগ দেখা যায়, ক্রমেই তা কান্ড ও ফলেও দেখা যায়।

এর প্রতিকার হল:

১. কার্বেন্ডাজিম + ইপ্রোডিয়ান গ্রুপের সেল্টার ৫২.৫ডব্লিউপি  বা হিপ্রোজিম  ৫২.৫ডব্লিউপি বা হামা  ৫২.৫ ডব্লিউপি ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

২. ১৫ নভেম্বরের পর সরিষা বপন করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম সরিষা বপন করুন ।

২. উন্নত জাতের সরিষা বপন করুন ।

৩. সরিষা বপনের পূর্বে কেজি প্রতি ২.৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা কর্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বীজ শোধন করুন।


লক্ষণ

পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । পূর্ণ বয়স্করা চারা গাছের বেশি ক্ষতি করে। এরা পাতা ছোট ছোট ছিদ্র করে খায় । আক্রান্ত পাতায় অসংখ্য ছিদ্র হয় ।

 

প্রতিকার

হাত জাল দ্বারা পোকা সংগ্রহ ।

পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ।

চারা গাছ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া ।

আক্রান্ত গাছে ছাই ছিটানো

০.৫% ঘনত্বের সাবান পানি অথবা ৫ মিলি তরল সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

৫০০ গ্রাম নিম বীজের শাঁস পিষে ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা ছেঁকে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা


পাতার উল্টো পিঠের সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা পাতলা পর্দার মত করে ফেলে।এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে।

 

প্রতিকার

১. পাতায় ডিমের গাদা দেখলে তা তুলে ধ্বংস করতে হবে।

২. ডিম আথবা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারতে হবে।

৩. কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ভিটাব্রিল ৮৫ ডব্লিউপি ৩ গ্রাম বা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: কট ১০ ইসি ১ মিলি বা সিমবুশ ১০ ইসি ০.৫ মিলি./ লি হারে পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

৪. ভালভাবে পোকা দমন করতে হলে ক্ষেতের আশে পাশে বা অন্য আগাছা থাকলে তা পরিস্কার করে ফেলতে হবে।

৫.বিছা পোকা যাতে এক ক্ষেত হতে অন্য ক্ষেতে ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রতিবন্ধক নালা তৈরী করা যায়।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন


ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়। এতে পাতার বোটায়, কান্ডে ও ফলে সাদা তুলার মত বস্তু দেখা যায় ।

 

এর প্রতিকার হল :

১. প্লাবন সেচের পরিবর্তে স্প্রিংলার সেচ দেয়া।

২. আক্রান্ত ফল,পাতা ও ডগা অপসারণ করা।

৩. বীজ লাগানোর আগে গভীরভাবে চাষ দিয়ে জমি তৈরী করা ।

৪. প্রপিকোনাজলগ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ৩ বার শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. ১৫ নভেম্বরের পর সরিষা বপন করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম সরিষা বপন করুন

২. উন্নত জাতের সরিষা বপন করুন ।