লক্ষণ
এ রোগে আকান্ত হলে প্রথমে গাছ আগা থেকে মরা
শুরু হয় এবং ক্রমশ তা নিচের দিকে অগ্রসর হয় এবং এক সময় পুরো গাছ মারা যায় ।
প্রতিকার
* আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা ।
* রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি
টিল্ট ২৫০ ইসি ১০-১২ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. প্রোভেক্স বা হোমাই বা বেনলেট ১% দ্বারা
বীজ শোধন করা ।
লক্ষণ
এ রোগ হলে গাছের
পাতা সাদাটে হয়ে যায় এবং পাতায় সাদাটে হলুদ-সবুজের মোজাইকের মত ছোপ ছোপ দেখা যায়
প্রতিকার
*১. ক্ষেত থেকে
আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
২. ভাইরাসমুক্ত
বীজ বা চারা ব্যবহার করা
৩. জাব পোকা ও
সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড ১ মি.লি. / লি. হারে
পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার
পর ১৫ দিনের মধ্যে সেইমিস্টি মরিচ খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে
বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার
করা
লক্ষণ
এ রোগে আক্রান্ত পাতা, কান্ড ও ফলে বাদামী
কলো দাগ দেখা যায় । পরে দাগগুলো বড় হয় এবং মরিচ পচে যায় ।
প্রতিকার
* আক্রান্ত পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট
করা ।
* রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি
টিল্ট ২৫০ ইসি ১০-১২ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. প্রোভেক্স বা হোমাই বা বেনলেট ১% দ্বারা
বীজ শোধন করা ।
লক্ষণ:
ছত্রাকের আক্রমণে মিস্টি মরিচের চারার গোড়া
পঁচে যায়। চারা নেতিয়ে পড়ে ।
প্রতিকার :
১. বেডে চারা উৎপাদন করা বা সবজি বীজ বপন
করা ।
২. পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করা।
৩. শতাংশ প্রতি ৭- ১০ কেজি ট্রাইকো- কম্পোস্ট
ব্যবহার করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করুন
লক্ষণ
পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে
দুর্বল করে ফেলে ।
প্রতিকার
গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা
প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা
পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা
ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।
তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম)
ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার
২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন
না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ
সাদা মাছি দ্বারা ভাইরাস ছড়ায় । কচি পাতার
গায়ে টেউয়ের মত ভাজের সৃষ্টি হয় ।
প্রতিকার
• আক্রান্ত গাছ
সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।
রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার
করা ।
ভাইরাসের বাহক পোকা দমনেহার জন্য ডায়ামেথেয়ট,
এসাটাফ, এডমেয়ার, টিডো, ইত্যাদি যে কোন একটি ১ মিলি /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে
করা) ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করুন
এ রোগ হলে গাছের পাতা হলদে হয়ে শুকিয়ে যায়,
ধীরে ধীরে গাছ ঢলে পড়ে এবং মারা যায়।
এর প্রতিকার হল:
১। আক্রান্ত গাছ তুলে ক্ষেত পরিস্কার করা
২। চ্যাম্পিয়ন ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে
মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১। আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
২। একই জমিতে পর পর বার বার মরিচ চাষ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১। চাষের পূর্বে জমিতে শতাংশ প্রতি ১ কেজি
ডলোচুন প্রয়োগ করে জমি তৈরী করুন
২। প্রতি লিটার পানিতে ৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা
ভিরিডি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে চারা শোধন করে নিন।
লক্ষণ
এর আক্রমণে পাতা কুঁকড়ে যায়। পোকা গাছের কচি
পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।
প্রতিকার
·
গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা
·
প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা
·
পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা
·
ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
·
হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।
·
তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া
(৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
·
বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল
০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ তুলে
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ
পোকার কীড়া কচি ফল ও ডগা ছিদ্র করে ও ভিতরে
কুরে কুরে খায় । এরা ফুলের কুঁড়িও খায়
প্রতিকার
•ক্ষেত পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন রাখা ।
• আক্রান্ত ডগা
ও ফল সংগ্রহ করে নষ্ট করা
• চারা রোপনের ১৫
দিন পর থেকে ক্ষেত ঘন ঘন পর্যাবেক্ষন করা ।
• জৈব বালাইনাশক
ব্যবহার যেমন নিমবিসিডিন ৩ মিঃলিঃ / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্পে করা ।
• শতকরা ১০ ভাগের
বেশি ক্ষতি হলে যে কোন একটি বালাইনাশক ব্যবহার করা । যেমন রিপকর্ড ১ মিঃলিঃ বা ডেসিস
০.৫মিলি বা ফাসটেক ০.৫ মিঃলিঃ বা সবিক্রন -২ মিঃলিঃ বা সুমিথিয়ন-২ মিঃলিঃ বা ডায়াজিনন
২ মিঃলিঃ /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্পে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ
পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । পূর্ণ
বয়স্করা চারা গাছের বেশি ক্ষতি করে । এরা পাতা ছোট ছোট ছিদ্র করে খায় । আক্রান্ত পাতায়
অসংখ্য ছিদ্র হয় ।
প্রতিকার
·
হাত জাল দ্বারা পোকা সংগ্রহ ।
·
পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ।
·
চারা গাছ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া ।
·
আক্রান্ত গাছে ছাই ছিটানো
·
০.৫% ঘনত্বের সাবান পানি অথবা ৫ মিলি
তরল সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
·
৫০০ গ্রাম নিম বীজের শাঁস পিষে ১০
লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা ছেঁকে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া
যেতে পারে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করুন
এ রোগ হলে গাছের পাতা সবুজ থাকা অবস্থায় গাছ
শুকিয়ে যায়। গাছ ঢলে পড়ে এবং মারা যায়।
এর প্রতিকার হল:
১। আক্রান্ত গাছ তুলে ক্ষেত পরিস্কার করা
২। চ্যাম্পিয়ন ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে
মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১। আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
২। একই জমিতে পর পর বার বার মরিচ চাষ করবেন
না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১। চাষের পূর্বে জমিতে শতাংশ প্রতি ১ কেজি
ডলোচুন প্রয়োগ করে জমি তৈরী করুন
২। প্রতি লিটার পানিতে ৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা
ভিরিডি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে চারা শোধন করে নিন।
লক্ষণ
এর আক্রমণে পাতা কুঁকড়ে উল্টানো নোকার মত হয়ে
যায়। পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।
এর প্রতিকার হল:
১. ক্ষেত থেকে মাকড় বা ডিমসহ আক্রান্ত গাছ তুলে
ফেলা/ ডাল কেটে দেয়া অপসারণ করা
২. জমিতে পরিমিত পরিমানে জৈবসার প্রয়োগ করা ।
৩. পানি স্প্রে করা বা স্প্রিংলার সেচ দেয়া
৪. মাকড় নাশক বা সালফার যেমন: থিওভিট/ কুমুলাস/
ভার্টিমেক বা ইনসাফ ইত্যাদি যে কোন একটি ২ মিলি বা ২ গ্রাম /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে
স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন
না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা
লক্ষণ
এক সাথে অনেক পোকা পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে
। ফলে পাতা জালের মত হয়ে যায়। এ পোকা পাতা খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।
প্রতিকার
১. পোকাসহ গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা
২. ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা
৩. প্রাকৃতিক শত্রুদের রক্ষা করা
৪. ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
৫. তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম)
ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
৬. বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫
মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই মরিচ তুলে
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
ক্ষতির লক্ষণ
এ রোগের আক্রমনে পাতায় , ফলে ও কান্ডে কাল
ময়লা জমে । জাব পোকা বা সাদা মাছির আক্রমন এ রোগ ডেকে আনে।
প্রতিকার :
# জাব পোকা বা সাদা মাছি দমণের ব্যবস্থা গ্রহণ
করা
# আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।
# টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে
১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা