লক্ষণ :

চারা ও বয়স্ক আবস্থায় এ রোগের আক্রমণ হয় ও বেশী আক্রমণে গাছ মারা যায়। বয়স্ক গাছ হলুদ রং হয়। আক্রান্ত গাছ ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে যায়।মাটির সংযোগস্থলে গোড়ায় পচন দেখা দেয়

 

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত গাছ তুলে নষ্ট বা পুড়ে ফেলা।

২. পানি নিস্কাষণের ভাল ব্যবস্থা করা।

৩. অধিক আক্রমণের ক্ষেত্রে রোভরাল ২ গ্রাম/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে মাটিসহ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করুন।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১. জমিতে কয়েকবার অন্য ফসল চাষ করে আবার মুগের চাষ করুন

২. অধিক পরিমাণে জৈব সার ব্যবহার করা।

৩. জমি চাষ দিয়ে কিছু দিন ফেলে রাখা।

৪. বপনের পূর্বে কেজি প্রতি ২.৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স বা কর্বেন্ডাজিম মিশিয়ে বীজ শোধন করুন। 


পাতা ও গাছের গায়ে সাদা পাউডারের মত দাগ দেখা যায়, যা ধীরে ধীরে সমস্ত পাতায় ছড়িয়ে পড়ে । আক্রান্ত বেশী হলে পাতা হলুদ বা কালো হয়ে মারা যায় ।

 

প্রতিকার :

১. সম্ভব হলে গাছের আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে ধ্বংস করুন।

২. ক্ষেত পরিস্কার রাখুন এবং পানি নিস্কাষনের ভাল ব্যবস্থা রাখুন।

৩. (ম্যানকোজেব+মেটালোক্সিল) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম/ লিটার হারে অথবা সালফার ছত্রাক নাশক যেমন কুমুলাস ৪ গ্রাম বা গেইভেট বা মনোভিট বা থিওভিট ২ গ্রাম অথবা কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাক নাশ যেমন: গোল্ডাজিম ০.৫ মিলি. বা এমকোজিম বা কিউবি বা চ্যামপিয়ন ২ গ্রাম/ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বিলম্বে মুগ বপন করবেন না

২. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

৩. এলোপাতারি বালাইনাশক ব্যবহার করে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করুন

২. সুষম সার ব্যবহার করুন

৩. রোগ প্রতিরোধী জাত যেমন: বারি উদ্ভাবিত/ অন্যান্য উন্নত জাতের চাষ করুন

৪. বিকল্প পোষক যেমন: আগাছা পরিস্কার রাখুন

 



ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।

২. আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা ।

৩. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ( যেমন: কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা

৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা 


লক্ষণ

কীড়া অবস্থায় পাতা মোড়ায় এবং সবুজ অংশ খায় । এটি সাধারণত কচি পাতাগুলোতে আক্রমণ করে থাকে

 

প্রতিকার

ক্ষেত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ।

পোকাসহ আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।

* ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা ( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)

আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন-২ মিঃলিঃ মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন 


ছক্রাকের আক্রমনে এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে পাতায় বৈশিষ্টপূর্ণ দাগ দেখা যায়।

এর প্রতিকার হল:

১. রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করা

২. আক্রান্ত পাতা ও ডগা অপসারণ করা।

৩. বীজ লাগানোর আগে প্রোভ্যাক্স প্রতি কেজি বীজের জন্য ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করা ।

৪. কার্বেন্ডাজিম ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন 


লক্ষণ : প্রথমে নীচের পাতাতে ছোট ছোট গোলাকার হলুদাভ দাগ পড়ে। পরবর্তীতে দাগ সমূহ মরিচার মত বাদামী বা কালচে রং এ পরিনত হয় । রোগের লক্ষণ প্রথমে নিচের পাতায় দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে সব পাতা ও কান্ডে দেখা দেয়।

 

প্রতিকারঃ

১. প্রপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাক নাশক যেমন: আকোনাজল বা ক্রিজল ১ মি.লি. বা টিল্ট-২৫০ ইসি ১ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বিলম্বে মূগ বপন করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. রোগমুক্ত জমি হতে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।

২. প্রতি কেজি মূগকালাইয়ের বীজে ২.৫-৩.০ গ্রাম নোইন মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।

৩. ফসলের পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। 


লক্ষণ

এ পোকা মুগের ফল ছিদ্র করে ক্ষতি করে

 

প্রতিকার

ক্ষেত পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখা ।

আক্রন্ত গাছ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।

* ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা (বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)

আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: রিপকর্ড ১০ ইসি বা ওস্তাদ ১০ ইসি ২ মিঃলিঃ মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন 


পাতার উল্টো পিঠের সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা পাতলা পর্দার মত করে ফেলে।এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে।

 

প্রতিকার

১. পাতায় ডিমের গাদা দেখলে তা তুলে ধ্বংস করতে হবে।

২. ডিম আথবা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারতে হবে।

৩. কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ভিটাব্রিল ৮৫ ডব্লিউপি ৩ গ্রাম বা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: কট ১০ ইসি ১ মিলি বা সিমবুশ ১০ ইসি ০.৫ মিলি./ লি হারে পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

৪. ভালভাবে পোকা দমন করতে হলে ক্ষেতের আশে পাশে বা অন্য আগাছা থাকলে তা পরিস্কার করে ফেলতে হবে।

৫.বিছা পোকা যাতে এক ক্ষেত হতে অন্য ক্ষেতে ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রতিবন্ধক নালা তৈরী করা যায়।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন 


এ রোগ হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক করা পাতা দেখা দেয়।

এর প্রতিকার হল:

·      ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা/ ডাল কেটে দেয়া অপসারণ করা

·      রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা ।

·      রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার করা ।

·      ভাইরাসের বাহক পোকা দমনেহার জন্য ডায়ামেথেয়ট, এসাটাফ, এডমেয়ার, টিডো, ইত্যাদি যে কোন একটি ১ মিলি /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন