এ রোগ দেখা দিলে কান্ডে পানি ভেজা কালো দাগ দেখা যায় ।

এর প্রতিকার হল:

১. পানি নিস্কাষনের ভাল ব্যবস্থা করা।

২. কার্বন্ডাজিম + ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন- ম্যানসার ৭৫ ডব্লিউপি বা কম্পানিয়ন ৭৫ ডব্লিউপি ২ গ্রাম / লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে  ১০ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করা ।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

 

১. একই জমিতে বার বার তিল চাষ করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

 

১. রোগসহনশীল চাতের চাষ করুন।

২. মিশ্র ফসল চাষ করুন।

 


এ রোগ হলে গাছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য পাতা দেখা দেয়।

 এর প্রতিকার হল

১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা

২. এক ধরণের পাতা ফড়িং এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য একতারা বা মিপসিন ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।


ছত্রাক শিকড়ে আক্রমণ করলে গাছ নেতিয়ে পড়ে এবং গাছ মারা যায় ।

এর প্রতিকার হল:

 

১. পানি নিস্কাষনের ভাল ব্যবস্থা করা

২. কাসুগামাইসিন + ট্রাইসাইক্লাজল জাতীয় ছত্রাক নাশক যেমন- কাইসিন ৮০ ডব্লিউজি ২ গ্রাম / লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

১. একই জমিতে বার বার তিল চাষ করবেন না।

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

 

১. রোগসহনশীল জাতের চাষ করুন।

২. মিশ্র ফসল চাষ করুন।


লক্ষণ

পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে । ফুল ও কচি ফলে আক্রমণের কারণে ফলে দাগ হয় ।

 

প্রতিকার

 

১. হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।

২. তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।

৩. এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

অতি বিলম্বে বা অতি অগ্রিম তিল চাষ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

ক্ষেত আগাছা মুক্ত রাখুন


ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এ রোগ হয়। এ রোগ হলে পাতায় ছোট ছোট পানি ভেজা অনিয়ত দাগ যায় । দাগগুলো ক্রমেই বড় হয়। পাতা শুকিয়ে যায় এবং কুঁকড়ে যায়। পাতা পুড়ে যাওয়ার মত হয়।

এর প্রতিকার হল:

১. আক্রান্ত গাছ অপসারণ করা

২. কপার অক্সিক্লোরাইট জাতীয় ছত্রাক নাশক যেমন- কুপ্রাভিট ৭ গ্রাম / লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

 

১. একই জমিতে বার বার তিল চাষ করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

 

১. রোগসহনশীল চাতের চাষ করুন

২. আগাম তিল চাষ করুন

৩. বপনের আগে ৫২ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রার গরম পানিতে বীজ ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে বীজ শোধন করুন।


লক্ষণ

 

কীড়া অবস্থায় পাতা মোড়ায় এবং সবুজ অংশ খায় । এটি সাধারণত কচি পাতাগুলোতে আক্রমণ করে থাকে

 

প্রতিকার

 

ক্ষেত পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখা ।

আক্রন্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।

* ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা ( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)

আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন-২ মিঃলিঃ মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন


পাতার উল্টো পিঠের সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা পাতলা পর্দার মত করে ফেলে।এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে।

 

প্রতিকার

১. পাতায় ডিমের গাদা দেখলে তা তুলে ধ্বংস করতে হবে।

২. ডিম আথবা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারতে হবে।

৩. কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ভিটাব্রিল ৮৫ ডব্লিউপি ৩ গ্রাম বা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: কট ১০ ইসি ১ মিলি বা সিমবুশ ১০ ইসি ০.৫ মিলি./ লি হারে পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

৪. ভালভাবে পোকা দমন করতে হলে ক্ষেতের আশে পাশে বা অন্য আগাছা থাকলে তা পরিস্কার করে ফেলতে হবে।

৫.বিছা পোকা যাতে এক ক্ষেত হতে অন্য ক্ষেতে ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রতিবন্ধক নালা তৈরী করা যায়।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

 

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

 

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন


লক্ষণ

একসাথে অনেক পোকা পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে । ফলে পাতা জালের মত হয়ে যায়। এ পোকা পাতা খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।

 

প্রতিকার

 

১. পোকাসহ গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা।

২. ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা।

৩. পোকার প্রাকৃতিক শত্রুদের রক্ষা করা

৪. ক্ষেত পরিষ্কার /পরিচ্ছন্ন রাখা ।

৫. তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।

৬. বেশি পোকা দেখা দিলে ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের মটার ৪৮ ইসি বা ডারসবান ২০ ইসি ২ মি.লি./লি হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. অতি ঘন করে তিল বপন করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা

৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা

লক্ষণ:

এ পোকা পূর্ণ বয়স্ক ও নিস্ফ উভয় অবস্থায় ক্ষতি করে । দুধ আসা অবস্থায় ক্ষতি বেশী করে । ফলের গায়ে দাগ হয় ও ফলন কম হয় ।

 

ব্যবস্থাপনা:

আক্রমণ বেশি হলে যে কোন একটি বালাইনাশক ব্যবহার করা যেমন: ম্যালাথিয়ন ২ মিলি বা ক্লোরপাইরিফস (ডার্সবান) বা ডাইমেথোয়েট (টাফগর) বা কারবারিল (সেভিন) ২ গ্রাম /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

 পরবর্তীতে যা যা করবেন না

অতি বিলম্বে বা অতি অগ্রিম তিল চাষ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

ক্ষেত আগাছা মুক্ত রাখুন


এ পোকা চারা অবস্থায় আক্রমণ করলে একাধিক পাতা একত্রিত করে পাতা খায়। অনেক সময় কান্ড ছিদ্র করে খায়। এরা ফুল এমনকি ফলও ছিদ্র করে খেয়ে ক্ষতি সাধন করে।

 

প্রতিকার

১. পোকাসহ গাছের আক্রান্ত অংশ তুলে ধ্বংস করতে হবে।

২. ডিম আথবা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারতে হবে।

৩. ম্যালাথিয়ন বা কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ভিটাব্রিল ৮৫ ডব্লিউপি ৩ গ্রাম বা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: কট ১০ ইসি ১ মিলি বা সিমবুশ ১০ ইসি ০.৫ মিলি./ লি হারে পানিতে মিশিয়ে বীজ বপনের ৪৫ দিন ও ৬০ দিন পর দুইবার স্প্রে করতে হবে।

৪. ভালভাবে পোকা দমন করতে হলে ক্ষেতের আশে পাশে বা অন্য আগাছা থাকলে তা পরিস্কার করে ফেলতে হবে।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

 

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

 

১. জমি তৈরি করার সময় মাটি গভীরভাবে চাষ করে পোকার পিউপা বের করে পাখির খাবার ব্যবস্থা করে দিন