লক্ষণ
পূর্ণ বয়স্ক ও
বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । চারা গাছ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এরা পাতার রস খায় । আক্রান্ত
পাতা বিবর্ণ হয় । পাতা হলুদ হতে তামা রং হয় এবং পরে শুকিয়ে যায় ।
প্রতিকার
হাত জাল দ্বারা
পোকা সংগ্রহ ।
পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
চাষাবাদ ।
ফাঁদ শস্য যেমন
সূর্যমুখীর ক্ষেতের চারদিকে বেগুন লাগানো ।
আক্রান্ত গাছে
ছাই ছিটানো
০.৫% ঘনত্বের সাবান
পানি অথবা ৫ মিলি তরল সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
ক্ষেতে মাকড়সা
সংরক্ষণ করা (১টি মাকড়সা গড়ে দিনে ২-১৫টি জ্যাসিড শিকার করে খায় ।
৫০০ গ্রাম নিম
বীজের শাঁস পিষে ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা ছেঁকে জ্যাসিড আক্রান্ত ক্ষেতে
স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে ।
পোকা দমনের জন্য
প্রতি লিটার পানিতে ডায়মেথোয়েট ৪০ ইসি (রগর, টাফগর, সানগর, পারফেকথিয়ন)১মিঃলিঃ এডমায়ার
১ মিঃলিঃ মেটাসিস্টক্স ১ মিঃলিঃ সবিক্রন ১মিঃলিঃ, এসাটাফ- ১.৫ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে
করা যেতে পারে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন
করা
২. সুষম সার ব্যবহার
করা
৩. সঠিক দুরত্বে
চারা রোপন করুন
বয়স্ক পাতায় এ
রোগ প্রথম দেখা যায়। আক্রান্ত পাতায় গায়ে সাদা বা হলদে থেকে বাদামী রংগের তালির মত
দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে অন্যান্য পাতায় ছড়িয়ে পড়ে ।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত গাছের
অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা ।
২. রিডোমিল ঘোল্ড
২ গ্রাম/প্রতি লিটার পানি মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার
পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফসল সংগ্রহ করবে না
২. আক্রান্ত গাছ
থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন
করা
২. সুষম সার ব্যবহার
করা
৩. রোগ প্রতিরোধী
জাত চাষ করূন
৪. বিকল্প পোষক
যেমন: আগাছা পরিস্কার রাখা
ক্ষুদ্র কীড়া পাতার
দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা
শুকিয়ে ঝড়ে যায়।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত পাতা
সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।
২. আঠালো হলুদ
ফাঁদ স্থাপন করা ।
৩. সাইপারমেথ্রিন
গ্রুপের কীটনাশক (যেমন: কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
লক্ষণ
পূর্ণ বয়স্ক ও
বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । পূর্ণ বয়স্করা চারা গাছের বেশি ক্ষতি করে । এরা পাতা ছোট ছোট
ছিদ্র করে খায় । আক্রান্ত পাতায় অসংখ্য ছিদ্র হয় । এরা ফুলের পাপড়ীও ক্ষতিগ্রস্ত করে
।
প্রতিকার
১. হাত জাল দ্বারা
পোকা সংগ্রহ করে মেরে ফেলা ।
২.পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
চাষাবাদ ।
৩. সম্ভব হলে ক্ষেত
জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া ।
৪. আক্রান্ত গাছে
ছাই ছিটানো
৫. ০.৫% ঘনত্বের
সাবান পানি অথবা ৫ মিলি তরল সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
৬. ৫০০ গ্রাম নিম
বীজের শাঁস পিষে ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা ছেঁকে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে
করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন
করা
২. সুষম সার ব্যবহার
করা
কীড়া পাতার সবুজ
অংশ খেয়ে ফেলে। তাই পাতা ছিদ্র হয়ে যায়।
প্রতিকার :
১. পোকাসহ আক্রান্ত
পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।
২. সাইপারমেথ্রিন
গ্রুপের কীটনাশক ( যেমন: কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার
পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফসল সংগ্রহ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন
করা
২. সুষম সার ব্যবহার
করা
৩. সঠিক দুরত্বে
চারা রোপন করা
সাদা সাদা অসংখ্য
পোকা একসাথে থাকে কখনও কখনও বিচ্ছিন্ন ভাবেও থাকে।এরা এক ধরনের আঠালো মিষ্টি রস নিঃস্বরণ
করে যা খাবার জন্য পিপিলিকার আগমন ঘটে। এর আক্রমন বেশি হলে শুটি মোল্ড ছত্রাকের আক্রমন
ঘটে এবং আক্রান্ত অংশ এমনকি পুরো গাছ মরে যায় ।
এর প্রতিকার হল
১.প্রাথমিক অবস্থায়
হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা
২. পোকাসহ আক্রান্ত
অংশ অপসারণ করা
৩. আইসোপ্রোকার্ব
গ্রুপের কীটনাশক যেমন: মিপসিন ২.৬ গ্রাম / লি. হারে বা ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক
যেমন: অ্যাডমায়ার বা ইমিটাফ বা টিডো ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ
পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ
পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন
লক্ষণ
এক সাথে অনেক পোকা
পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে । ফলে পাতা জালের মত হয়ে যায়। এ পোকা পাতা খেয়ে গাছকে দুর্বল
করে ফেলে ।
প্রতিকার
১. পোকাসহ গাছের
আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা
২. ফেরোমন ফাঁদ
স্থাপন করা
৩. প্রাকৃতিক শত্রুদের
রক্ষা করা
৪. ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন
রাখা ।
৫. তামাকের গুড়া
(১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে
ব্যবহার করা ।
৬. বেশি পোকা
দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন
করা
২. সুষম সার ব্যবহার
করা
৩. সঠিক দুরত্বে
চারা রোপন করা
ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়। এতে পাতার বোটায়, কান্ডে ও ফলে পচন ও সাদা তুলার মত বস্তু দেখা যায় ।
এর প্রতিকার হল :
১. স্প্রিংকলার
সেচের পরিবর্তে প্লাবন সেচ দেয়া।
২. আক্রান্ত ফল,পাতা
ও ডগা অপসারণ করা।
৩. বীজ লাগানোর
আগে গভীরভাবে চাষ দিয়ে জমি তৈরী করা । ৪. প্রপিকোনাজলগ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: টিল্ট
২৫০ ইসি ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ৩ বার শেষ বিকেলে স্প্রে
করা।
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. দেরিতে সূর্যমুখী বপন করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম সরিষা
বপন করুন
২. উন্নত জাতের
সরিষা বপন করুন ।
লক্ষণ
এ রোগ হলে পাতায় ছোট ছোট দাগ পড়ে। দাগগুলো
পানি ভেজা বলয় দ্বারা ঘেরা থাকে । অধিক আক্রমণে পাতা শুকিয়ে যায়।
প্রতিকার
*ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
* ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতি জীবানুমুক্ত রাখা।
* রিডোমিলগোল্ড ১ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে
স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত জমিতে পুনরায় সূর্যমূখীর চাষ
করবেন না ।
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা