লক্ষণ

এ পোকা ফল ছিদ্র করে ক্ষতি করে । এ ছাড়া প্রথম দিকে এরা পাতা খেয়ে ক্ষতি করে

 

প্রতিকার

• ক্ষেত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ।

আক্রন্ত গাছ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।

  ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা ( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)

আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: রিপকর্ড ১০ ইসি বা রেলোথ্রিন ১০ ইসি ২ মিঃলিঃ মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করা ।


কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না


পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন

ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।

২. আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা ।

৩. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ( যেমন: কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

এ পোকা গাছের পাতা ও আগার রস খেয়ে ফেলে এবং এক ধরনের মিষ্টি রস নিঃসরণ করে। এর আক্রমন বেশি হলে শুটি মোল্ড ছত্রাকের আক্রমন ঘটে এবং পাতায় কালো আবরণ দেখা যায় ।

 

এর প্রতিকার হল:

১. অল্প আক্রমনের ক্ষেত্রে হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা।

২. আক্রান্ত পাতা ও ডাল অপসারণ করা।

৩. পরভোজী পোকা যেমন: লেডিবার্ড বিটল লালন।

৪. ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

৫. প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকার আক্রমণ হলে ইমাডোক্লোরপ্রিড গ্রুপের এডমেয়ার ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. ক্ষেত অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না


এ রোগ হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক করা পাতা দেখা দেয়।

 

এর প্রতিকার হল

 

১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা/ ডাল কেটে দেয়া।

২. জাব পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা এছাড়া আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা।

৩. নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করা।

৪. ৫০ গ্রাম সাবানের গুড়া ১০ লিটার পানিতে গুলে পাতার নিচে সপ্তাহে ২/৩ বার ভাল করে স্প্রে করা। সাথে ৫ কৌটা গুল (তামাক গুড়া) পানিতে মিশিয়ে দিলে ফল ভাল পাওয়া যায়।

৫. সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসাবে অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করা। যেমন এডমায়ার ২০ এস এল বা ইমিটাফ ২০ এস এল ০.৫ মিলি বা ০.২৫ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা