আমের চারা বা ছোট গাছে এর আক্রমন বেশি হয়।
এর আক্রমনে গাছের শাখার মাথায় বা গিটে গুচ্ছ পাতা বের হয়।
এর প্রতিকার হল
১. আক্রান্ত ডাল অপসারণ করা
২. চারা গাছে হলে সম্পূর্ণ গাছ অপসারণ করা
।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সহনশীল জাত যেমনঃ বারি আম ১, বারি আম ২
, ল্যাংড়া, ফজলী ইত্যাদি জাতের চাষ করুন। ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
আমের এ রোগ দেখা দিলে পুরো গাছ বা গাছের ডাল আগা থেকে শুরু করে ক্রমশ নিচের দিকে মরে যেতে দেখা যায় । আমের এ রোগটি ছত্রাকের আক্রমনে হয়।
এর প্রতিকার হল:
১. সময়মত প্রুনিং করে, আক্রান্ত অংশ অপসারণ করে গাছ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, আক্রান্ত গাছে সুষম মাত্রায় জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা এবং নিয়মিত সেচ প্রদান করা।
২. কিছুটা সুস্থ অংশসহ অক্রান্ত অংশ কেটে পুরে ফেলা এবং কর্তিত অংশে বোর্দো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইট জাতীয় ছত্রাক নাশক যেমন- সানভিট ৫০ ডব্লিউপি বা কপার ব্লু ৫০ ডব্লিউপি ৪ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
৩. নতুন পাতা বের হলে ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম / লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
আমের কান্ড বা মোটা ডালের কিছু জায়গা থেকে
প্রথমে হালকা বাদামী বা গাঢ় বাদামী আঠা বা রস বের হতে দেখা যায় । বেশি আক্রান্ত হলে
পুরো ডালটি এমনকি পুরো গাছটি মারা যায়।
এর প্রতিকার হল:
১. আক্রান্ত গাছে সুষম মাত্রায় জৈব সার ও
রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা এবং নিয়মিত সেচ প্রদান করা।
২. আঠা ঝড়া দেখামাত্র কিছুটা সুস্থ অংশসহ
বাকল / ছাল তুলে ফেলা এবং কর্তিত অংশে বোর্দো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইট জাতীয় ছত্রাক
নাশক যেমন- কুপ্রাভিট ৭ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
৩. নতুন পাতা বের হলে ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম
/ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
এটি আমের জন্য তেমন ক্ষতিকর না হলেও কখনও কখনও শিকড় ও কান্ডের ক্ষতি করে।
এর প্রতিকার হল:
- রানীপোকাসহ উঁইপোকার ঢিবি ধ্বংস করা ।
- খাদ্য ফাঁদ ব্যবহার করা (মাটির হাড়িতে পাট কাঠি, ধৈঞ্চা রেখে জমিতে পুতে রেখে পরে তুলে উঁইপোকাগুলো মেরে ফেলা)
- গাছে উঁইপোকার মাটি সরিয়ে দিয়ে পোকা মেরে ফেলা সম্ভব হলে পানি দিয়ে ধুইয়ে গাছ পরিস্কার করে দেয়া ।
- অতি আক্রমণের ক্ষেত্রে ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ডারসবান ২০ ইসি ৫ মিলি./ লি হারে পানিতে মিশিয়ে কান্ডে ও গোড়ার মাটিতে স্প্রে করা অথবা কার্বারিল গ্রুপের সেভিন বা সিনারিল ৮৫ এসপি ইসি ৫ মিলি./ লি হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন, মাঝে মাঝে বাগানের মাটি চাষ দিয়ে দিন। এতে মাটিতে জীবন চক্রের কোন স্তর বসবাস করে এমনে পোকা মারা যাবে।
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
আমের এনথ্রাকনোজ হলে কচি পাতায় অনিয়মিত দাগ দেখা যায় । আমের মুকুল কাল হয়ে যায়, আমের গুটি ঝড়ে যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. সময়মত প্রুনিং করে গাছ ও বাগান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা
২. গাছের নিচে ঝড়ে পড়া পাতা, মুকুল বা আমের গুটি অপসারণ করা।
৩. ম্যানকোজেব গ্রুপের ডাইথেন এম ৪৫ বা ইন্ডোফিল এম ৪৫ ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ৩-৪ বার স্প্রে করা অথবা পাইরাক্লোস্ট্রাবিন + মেটিরাম গ্রুপের ছত্রাকনাশক ক্যাবরিও টপ প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম বা সেল্টিমা ১০ এসপি প্রতি লিটার পানিতে ২ মি লি হারে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিষ্কার করে দিন
২. পরিষ্কারকরার পর একাট ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
এ পোকার আক্রমণ
হলে গাছের কোন কোন ডাল মরে পাতা শুকিয়ে যায়।
এর প্রতিকার হল:
১. গর্ত পরীক্ষা
করে পোকা মেরে ফেলা
২. গর্তের ভেতর
প্যারাডাইক্লোরোবেনজিন ঢেলে দিয়ে গর্তের মুখ মাটি দিয়ে বন্ধ করে দেয়া ।
৩. সিরিঞ্জ দিয়ে
গরম পানি গর্তের ভেতর ইনজেক্ট করেও পোকা মারা যায় ।
৪. চিকন ধাতব তার
গর্তের ভিতর ঢুকিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে মারা
এটি একটি শরীরতাত্বিক
রোগ । বাতাসে কোন কোন গ্যাস বিশেষত কার্বন মনো অক্সাইডের ঘনত্ব বেড়ে গেলে এ রোগ দেখা
যায় । আমের আগার অংশ কাল হয়ে যায়, যায় এবং ভেতরের ভক্ষণযোগ্য অংশ নরম হয়ে নষ্ট হয়ে
যায়।
এর প্রতিকার হল
১. রোরাক্স অথবা
কস্টিক সোডা ৬ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ইট ভাটার কাছাকাছি
আম বাগান করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. ইট ভাটায় উচু
চিমনি ব্যবহার করার ব্যবস্থা নিন
৪. ইট ভাটা থেকে
কমপক্ষে ৫ কি.মি দূরে আমবাগান স্থাপন করুন
ক্ষতির লক্ষণ
তুলার মত কুশন
আকৃতির এ পোকা আম গাছের পাতা, পাতার বোঁটা, কচি ডগা এবং ফল হতে রস চুষে খেয়ে গাছের
ক্ষতি করে । এরা দু’ভাবে ক্ষতি করে থাকে । প্রথমতঃ রস চুষে খাওয়ার ফলে গাছের জীবনীশক্তি
হ্রাস পায় । দ্বিতীয়তঃ রস চুষে খাওয়ার সময় এরা গাছের রসের মধ্যে এক প্রকার বিষাক্ত
পদার্থ অন্তঃক্ষেপ করে । ফলে আক্রান্ত পাতা, ডগা ও ফলের উপর হলদে দাগ দেখা যায় । মারাত্মকভাবে
আক্রান্ত গাছের সমস্ত পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে
সমন্বিত ব্যবস্থাপনা
১. প্রাথমিক অবস্থায়
হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা
২. ব্রাশ দিয়ে
ঘসে পোকা মাটিতে ফেলে মেরে ফেলা ।
৩. ইমিডাক্লোপ্রিড
গ্রুপের কীটনাশক যেমন : ইমিটাফ বা টিডো বা অ্যাডমায়ার ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে
স্প্রে করা।
এ পোকা কচি পাতায়
আক্রমন করার ফলে পাতায় বিভিন্ন ধরনের গল তৈরী হয়। অনেক সময় পাতা শুকিয়ে মারা যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. আক্রান্ত পাতা
অপসারণ করা ২. নতুন পাতা বের হবার পর ফেনিট্রিথিয়ন ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে
স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
সাদা সাদা অসংখ্য
পোকা একসাথে থাকে কখনও কখনও বিচ্ছিন্ন ভাবেও থাকে।এরা রস চুষে খায় এবং এক ধরনের আঠালো
মিষ্টি রস নিঃস্বরণ করে যা খাবার জন্য পিপিলিকার আগমন ঘটে। এর আক্রমণ বেশি হলে শুটি
মোল্ড ছত্রাকের আক্রমণ ঘটে এবং আক্রান্ত অংশ এমনকি পুরো গাছ মরে যায় ।
এর প্রতিকার হল:
১. প্রাথমিক অবস্থায়
হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা
২. ব্রাশ দিয়ে
ঘসে পোকা মাটিতে ফেলে মেরে ফেলা ।
৩. ইমিডাক্লোপ্রিড
গ্রুপের কীটনাশক যেমন : ইমিটাফ বা টিডো বা অ্যাডমায়ার ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে
স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একাট ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
4. ফেব্রুয়ারি-
মার্চ মাসের দিকে গাছের গোড়ায় আঠাযুক্ত ফিতা বা প্লাস্টিকের মসৃণ ফিতা পেচিয়ে বা ফানেল
স্থাপন করুন তাতে পোকা গাছ বেয়ে উপরে উঠতে পারবে না।
লক্ষণ:
পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে
গাছকে দুর্বল করে ফেলে। অনেক সময় ফলে আক্রমণ করার কারণে ফলে দাগ হয় ।
প্রতিকার:
#প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা
#পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা
#বাগান পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
# হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।
#তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম)
ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
#বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫
মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
আমের স্ক্যাব রোগ হলে কচি আমের গুটি আক্রান্ত
হয় ঝড়ে যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. সময়মত প্রুনিং করে গাছ ও বাগান পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন রাখা
২. গাছের নিচে ঝড়ে পড়া পাতা, মুকুল বা আমের
গুটি অপসারণ করা।
৩. কার্বেন্ডাজিম বা ম্যানকোজেব ২ গ্রাম
/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ৩-৪ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একাট ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে ন্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
আমের পাউডারি মিলডিউ রোগ হলে পাতায় ও মুকুলে
পাউডারের মত বস্তু লেগে থাকতে দেখা যায় । আমের এ রোগটি ছত্রাকের আক্রমণে হয় । এর আক্রমনে
মুকুল ঝড়ে গিয়ে শুধু দন্ডটি দাড়িয়ে থাকে ।
প্রতিকার:
১. সময়মত প্রুনিং করে গাছ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
রাখা
২. সালফার বা মেনকোজেব বা প্রপিকোনাজল গ্রুপের
ছত্রাক নাশক যেমন: টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মিলি/ লি. বা নোইন ৫০ ডব্লিউপি ২ গ্রাম / লিঃ
বা জেনথো ৫ ইসি ১মিলি / লি. বা ওয়ানজেব ৮০ ডব্লিউপি ২ গ্রাম/ লিঃ হারে পানিতে মিশিয়ে
৫-৭ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একাটি ছত্রাক নাশক ও
একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
এ রোগে আক্রান্ত
হলে পাতা, কান্ড ও ফলে প্রথমে হলুদ দাগ পড়ে পরে তা বাদামী হয় । পাতার কিনারা শুকিয়ে
যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. আক্রান্ত ডাল
বা পাতা অপসারণ করা ২. ডাইথেন এম ৪৫ বা রিদোমিল গোল্ড ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে
স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
এ পোকা রাতের বেলা
গাছের কচি পাতা কেটে দেয় । গাছের নিচে কাচি দিয়ে কাটার মত পাতা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
অনেক সময় মারাত্বক আক্রমণে গাছে ফল আসেনা
এর প্রতিকার হল
১. গাছের নিচের পড়ে থাকা পাতা অপসারণ করা
২. নতুন পাতা বের
হবার পর ফেনিট্রথিয়ন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: সুমিথিয়ন ৫০ ইসি বা ইথিয়ন ৫০ ইসি ২ মি.লি.
/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে গাছের গোড়াসহ মাটি ভিজিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
4. মাঝে মাঝে বাগানের
মাটি চাষ দিয়ে দিন। এতে মাটিতে জীবন চক্রের কোন স্তর বসবাস করে এমনে পোকা মারা যাবে।
আমের পাতায় কাল কোণাকৃতির দাগ দেখা যায় ।
কচি কান্ড ও ফলেও দাগ দেখা যায় ।
এর প্রতিকার হল:
১. বাগান পরিচর্যার সময় গাছ ক্ষতিগ্রস্থ না
করা
২. জীবানুমুক্ত বীজ বা কলম রোপন করা।
৩. কপার অক্সিক্লোরাইড ২.৫ গ্রাম / লি. হারে
পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ৩-৪ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একাট ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
এটি কচি পাতায় আক্রমণ করে ফলে পাতা শুকিয়ে
যায় এবং মারা যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. বাগান পরিস্কার রাখা
২. শীতের শেষের দিকে গাছে ইমিডাক্লোরোপ্রিড
১ মি.লি./ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে পাতার নিচের দিকে স্প্রে করা।
রোগ বা পোকার আক্রমণে বা দীর্ঘ খরা হলে বা শুষ্ক ও গরম হাওয়ার ফলে শারীরবৃত্তীয় কারণে অথবা মাটিতে সারের ঘাটতি হলেও ফল ঝড়ে যেতে পারে ।
ব্যবস্থাপনা:
১. খরা মৌসুমে
নিয়মিত সেচ দেওয়া
২. গুটি বাধার
পরপরই ম্যাগনল ০.৫ মি.লি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা
৩. বর্ষার আগে
ও পরে বছরে দুইবার গাছের বয়স অনুযায়ী সুষম সার প্রয়োগ করা।
৪. প্রতি বছর গাছ
প্রতি ৫০ গ্রাম হারে ডলোচুন প্রয়োগ করা ( গাছের বয়স অনুযায়ী পরিমান বাড়াতে হবে)।
৫. পর্যাপ্ত জৈব
সার প্রয়োগ করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
দীর্ঘ খরা হলে বা শুষ্ক ও গরম হাওয়ার ফলে
শারীরবৃত্তীয় কারণে অথবা মাটিতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও ফল ফেটে যেতে পারে ।
এর ব্যবস্থাপনা হল:
১. খরা মৌসুমে নিয়মিত সেচ দেওয়া
২. গুটি বাধার পরপরই ম্যাগনল ০.৫ মি.লি/ লি.
হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা
৩. বর্ষার আগে ও পরে বছরে দুইবার গাছের বয়স
অনুযায়ী সুষম সার প্রয়োগ করা।
৪. প্রতি বছর গাছ প্রতি ৫০ গ্রাম হারে ডলোচুন
প্রয়োগ করা ( গাছের বয়স অনুযায়ী পরিমান বাড়াতে হবে)।
৫. পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ করা।
আমে ছোট ছিদ্রকরে
কীড়া ভেতরে প্রবেশ করে । আমের শাঁস ও পরে আমের আটি খেয়ে থাকে এবং এক থরনের সাদা ফেনার
মত বের হয়ে আসে যা পরবর্তীতে কাল হয়ে যায় । আনেক সময় আম ফেটে যায় এবং ঝড়ে যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. ঝড়ে পড়া ফল
সংগ্রহ করে ধ্বংস করা
১. ফেনথিয়ন বা
ফেনিট্রথিয়ন ৫০ ইসি ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
এটি আমের মারাত্বক
রোগ । গাছ থেকে আম পাড়ার পর পাকার সময় বোটার গোড়ায় বাদামী দাগ দেখা দেয় এবং তা ক্রমেই
গোলাকার হয়ে বোটার চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে ।আক্রান্ত আম ২/৩ দিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. রৌদ্রজ্জল দিনে
আম পাড়া
২. পাড়ার সময় যেন
আম আঘাত প্রাপ্ত না হয় তা নিশ্চিত করা।
৩. আম পাড়ার পর
তা দ্রুত গাছের নিছ থেকে সরিয়ে ফেলা ।
৪. আম পাড়ার পরপরই
তা ৫৫ ডিগ্রি সেঃ তাপমাত্রার গরম পানিতে অথবা প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে ব্যাভিস্টিন
মিশিয়ে পাঁচ মিনিট ডুবিয়ে রেখে সংরক্ষণ করলে এ রোগের আক্রমন কম হয় ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না ।
২. আম পেড়ে তা
দীর্ঘ সময় ধরে গাছের নিচে ফেলে রাখবেন না ।
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একাট ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
এ পোকা ফল পরিপক্ক হওয়ার সময় অভিপজিটর ঢুকিয়ে
তাতে ডিম পারে। ।এ ডিম ফুটে কীড়া বের হয়ে ফলের মাংসল অংশ খেতে থাকে এবং ফল ভেতরে পঁচে
যায় ।
এর প্রতিকার হল:
১. ফল ব্যাগিং করা বা পলিথিন দিয়ে প্যাচানো
২. নষ্ট ফল বাগান থেকে অপসারণ করা।
৩. বিষটোপ ব্যবহার করা ( ১০০ গ্রাম পাকা আমের
রস + ৫ গ্রাম ভিটাব্রিল + ১০০ মিলি পানি মিশিয়ে বিষটোপ তৈরি করতে হবে।)
৪. বেইট ট্র্যাপ স্থাপন করা ও ফেরোমন ফাদ
( যেমন: ব্যাকট্রো-ডি ৮০ টি লিউর/ হেক্টর হারে) ব্যবহার করা।
৫. ফেনিট্রথিয়ন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: সুমিথিয়ন
২.৪ মিলি/ লি হারে বা টাফগার ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে
করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
সাদা সাদা অসংখ্য
পোকা একসাথে থাকে কখনও কখনও বিচ্ছিন্ন ভাবেও থাকে।এরা রস চুষে খায় এবং এক ধরনের আঠালো
মিষ্টি রস নিঃস্বরণ করে যা খাবার জন্য পিপিলিকার আগমন ঘটে। এর আক্রমণ বেশি হলে শুটি
মোল্ড ছত্রাকের আক্রমণ ঘটে এবং আক্রান্ত অংশ এমনকি পুরো গাছ মরে যায় । এর প্রতিকার
হল ১. প্রাথমিক অবস্থায় হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা ২. ব্রাশ দিয়ে ঘসে পোকা মাটিতে
ফেলে মেরে ফেলা ।৩. ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন : ইমিটাফ বা ২ মি.লি. /
লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একাট ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
4. ফেব্রুয়ারি-
মার্চ মাসের দিকে গাছের গোড়ায় আঠাযুক্ত ফিতা বা প্লাস্টিকের মসৃণ ফিতা পেচিয়ে বা ফানেল
স্থাপন করুন তাতে পোকা গাছ বেয়ে উপরে উঠতে পারবে না।
এ রোগের আক্রমনণ
গাছের শাখার মাথায় গুচ্ছ মুকুল বের হয়। অনেক সময় এত ঘন হয়ে মুকুল বের হয় যে মুকুল থেকে
কোন ফল হয়না।
প্রতিকার হল
১. আক্রান্ত ডাল
বা মুকুল অপসারণ করা ২. ৫০% মুকুল আপসারণ করলে অনেক সময় বাকি মুকুলগুলোতে ফল ধরে।
২. ল্যাফথলিন ২.৫
গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. সহনশীল জাত
যেমনঃ বারি আম ১, বারি আম ২ , ল্যাংড়া, ফজলী ইত্যাদি জাতের চাষ করুন। ১.১. ফল সংগ্রহ
শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল
পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
4. মুকুলে বিকৃতি
রোগ হয় এমন গাছে মুকুল আসার ৩ মাস আগে ন্যাপথালিক এসিটিক এসিড শতকরা ০.০২ ভাগ হারে
স্প্রে করুন।
ক্ষতির লক্ষণ
এ রোগের আক্রমণে
পাতায় , ফলে ও কান্ডে লালচে মরিচার মত একধরনের উচু দাগ দেখা যায়। একধরণের সবুজ শৈবালের
আক্রমণে এ রোগ হয়।
প্রতিকার :
# আক্রান্ত পাতা
ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।
# কপার বা কুপ্রাভিট
১০ লি. পানিতে ২০ গ্রাম মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একাট ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
আমের শুটি মোল্ড রোগ হলে অনেক সময় পিপীলিকার
উপস্থিতি দেখা যায় । আমের হোপার বা মিলিবাগ এর আক্রমণ বেশি হলে শুটি মোল্ড ছত্রাকের
আক্রমণূ ঘটে, পাতায় কাল ময়লা জমে এবং এক পর্যায়ে গাছের ডালের ডগা মরে যায় ও পাতা ঝড়ে
যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. আক্রান্ত ডাল ও পাতা কেটে ফেলা
২. সময়মত প্রুনিং করে গাছ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
রাখা
৩. সাইপারমেথ্রিন বা ইমিডাক্লোরোপ্রিড ১ মি.লি.
/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে হোপার বা মিলিবাগ দমন করা
৪. সালফার ছত্রাক নাশক ৪ গ্রাম / লি. হারে
পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
এ পোকা গাছকে আংশিক
বা সম্পুর্ণ পাতাশুন্য করে ফেলে। আনেক সময় মারাত্বক আক্রমনে গাছে ফল আসেনা
এর প্রতিকার হল
১. পোকা সহ পাতা
সংগ্রহ করে পিশে পোকা মেরে ফেলা
২. সুমিথিয়ন ২
মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
আমের শোষক পোকা
বা হোপার আকান্ত গাছের কাছে গেলে চটচট শব্দ পাওয়া যায় এবং পোকা গায়ে এসে পড়ে। শোষক
পোকা কচি পাতা ও মুকুল থেকে রস চুষে খায় । আকান্ত মুকুল শুকিয়ে বাদামী হয়ে যায় এবং
ঝড়ে পড়ে । এতে ফল ধরেনা এমনকি ধরলেও সদ্য গঠিত আমের গুটি থেকে রস শুষে খাওয়ার কারণে
তা ঝড়ে যায়। এরা এক ধরনের আঠালো মধুরস ঝড়ায়, ফলে শুটি মোল্ড ছক্রাকের আক্রমন ঘটে এবং
আক্রান্ত অংশ কাল হয়ে যায় ।
এর প্রতিকার হল
০. আকান্ত গাছ
খুব ঘন হলে কিছু ডালপালা ছাটিয়ে আলো চলাচলের ব্যবস্থা করা
১. পরিস্কার পানি
স্প্রে করে দিলে পোকার আক্রমণের ব্যপকতা কমে
২. নিম্বিসিডিন
০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা অথবা
মকুল আসার আগে
আগে একবার এর ১০-১৫ দিন পর অর্থাৎ মুকুল আসার ১০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় বার এবং ফল গুটি
গুটি হলে তৃতীয়বার অনুমোদিত কীটনাশক যেমন: রিপকর্ড বা ফাইটার ১ মি.লি./ লি. হারে পানিতে
মিশিয়ে স্প্রে করা ।
3. আকান্ত গাছ
খুব ঘন হলে কিছু ডালপালা ছাটিয়ে আলো চলাচলের ব্যবস্থা করা
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
এরা পাতা ও ডালের রস চুষে নেয় ফলে গাছ দুর্বল
হয়। পোকার আক্রমনে পাতা, ফল ও ডালে সাদা সাদা তুলার মত দেখা যায়। অনেক সময় পিপড়া দেখা
যায়। এর আক্রমণে অনেক সময় পাতা ঝরে যায় এবং ডাল মরে যায়।
প্রতিকার :
১. আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।
২. অল্প আক্রমণের ক্ষেত্রে তুলায় সমান্য অ্যালকোহল
লাগিয়ে সেটি দিয়ে ঘষে গাছ পরিস্কার করা
৩. সম্ভব হলে হাত দিয়ে ডিম ব বাচ্চার গাদা
সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।
৪. জৈব বালাইনাশক নিমবিসিডিন (0.4%) ব্যবহার
করা।
৫. আক্রমণ বেশী হলে প্রতিলিটার পানিতে 2 মিলি
রগর টাফগর, সানগর বা সুমিথিয়ন 2 মিলি মিপসিন বা সপসিন মিশিয়ে স্প্রে করা।
এ পোকা আক্রমনের ফলে গাছে নতুন পাতা বা কুঁড়ি
বের না হয়ে সবুজ শক্ত ও সুচালো এক ধরনের গল বের হয় এবং আমের ফলন কমে যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. আক্রান্ত পাতা/ কুঁড়ি অপসারণ করা ২. ফেনিট্রিথিয়ন
২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
প্রতিকার : বর্ষার আগে ও পরে বছরে দুইবার
গাছের বয়স অনুযায়ী সুষম সার প্রয়োগ করা।