এ রোগের আক্রমণে ফলের গায়ে ছোট ছোট বাদামী দাগ ক্রমে ক্রমে বড় হয়। ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং অনেক সময় ফল ফেটে যায়।

 

প্রতিকার :

  • আক্রান্ত ফল, পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।
  • গাছের নিচে পড়া ফল, পাতা সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলা
  • ফল মটর দানার মত আকারের হলে-কার্বেন্ডাজিম  +ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক টিল্ট ২৫০ ইসি ১ লি. পানিতে ০.৫ মি.লি. মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা অথবা স্ট্রোবিউলরিন + ট্রায়াজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক ক্যাবরিডটপ ৩ গ্রাম/লিটার বা নো ব্লাস্ট  ১ লিটার পানিতে ১ মিলি বা নাটিভো ৭৫ ডব্লিউপি ০.৭ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। স্প্রে করার এক মাসের মধ্যে ফল খাওয়া যাবেনা।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন

২. পরিষ্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন

৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।

এ পোকার আক্রমণ হলে গাছের কান্ডে ছিদ্র দেখা যায় । এছাড়া কান্ডে মালার মত ঝুল লেগে থাকে বা ঝুলতে থাকে ।

 

এর প্রতিকার হল:

১. গর্ত পরীক্ষা করে পোকা মেরে ফেলা

২. গর্তের ভেতর প্যারাডাইক্লোরোবেনজিন ঢেলে দিয়ে গর্তের মুখ মাটি দিয়ে বন্ধ করে দেয়া ।

৩. সিরিঞ্জ দিয়ে গরম পানি গর্তের ভেতর ইনজেক্ট করেও পোকা মারা যায় ।

৪. চিকন ধাতব তার গর্তের ভিতর ঢুকিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে মারা

৫. একটি কটন বাডের এক মাথা কেরোসিন বা পেট্রোলের মধ্যে ভিজিয়ে গর্তের ভিতর ঢুকিয়ে গর্তের মুখ বন্ধ করে দিলেও পোকা মারা যায়।


রোগের জীবানু মুকুলে, কচি ফলে এবং নতুন ডগায় সাদা পাউডারের আবরণ সৃষ্টি করে । দৃশ্যমান সাদা পাউডার প্রকৃতপক্ষে ছত্রাকজালিকা এবং বীজ অনুর সমষ্টি । জীবানু মুকুল থেকে অতিরিক্ত খাদ্য রস শোষণ করার ফলে আক্রান্ত মুকুল শুকিয়ে যায় ।

 

ব্যবস্থাপনা:

পানি স্প্রে করলে রোগের প্রকোপ কমানো যায় । মুকুলে সাদা পাউডারের আবরণ দেখা দিলেই ম্যাকভিট ৮০ ডিএফ/ম্যাকসালফার ৮০ ডব্লিউপি প্রতি লিটার পানিতে ২গ্রাম হারে স্প্রে করতে হবে ।


ক্ষতির লক্ষণ

পরগাছা গাছের গায়ে জড়িয়ে থেকে গাছের পুষ্টিতে ভাগ বসায় এবং বৃদ্ধি ব্যহত করে গাছের ক্ষতি করে ।

প্রতিকার :

১. ফুল আসার আগেই পরগাছা গাছ থেকে মূল/ শিকড়সহ অপসারণ করে ধ্বংস করা।

২. আক্রান্ত ডাল আপসারণ করা।


রোগের জীবানু মুকুলে, কচি ফলে এবং নতুন ডগায় সাদা পাউডারের আবরণ সৃষ্টি করে । হাত দিয়ে ঘসলে পাউডার সরে যায় । দৃশ্যমান সাদা পাউডার প্রকৃতপক্ষে ছত্রাকজালিকা এবং বীজ অনুর সমষ্টি । জীবানু মুকুল থেকে অতিরিক্ত খাদ্য রস শোষণ করার ফলে আক্রান্ত মুকুল শুকিয়ে যায় ।

 

ব্যবস্থাপনা:

পানি স্প্রে করলে রোগের প্রকোপ কমানো যায় । মুকুলে সাদা পাউডারের আবরণ দেখা দিলেই ম্যাকভিট ৮০ ডিএফ/ম্যাকসালফার ৮০ ডব্লিউপি প্রতি লিটার পানিতে ২গ্রাম হারে স্প্রে করতে হবে ।


এ রোগে আক্রান্ত হলে পাতায় প্রথমে হলুদ দাগ পড়ে পরে তা বাদামী হয় । পাতা শুকিয়ে যায় ।


এর প্রতিকার হল

১. আক্রান্ত ডাল বা পাতা অপসারণ করা ।

২. হেক্সাকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক কনটাফ ৫ ইসি বা কনজা ৫ ইসি বা হেক্সাগোল্ড ৫ ইসি  ১ মি. লি./ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না ।

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন।

২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন।

৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।

ক্ষতির লক্ষণ

এরা পাতামুড়িয়ে পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। বড় গাছের জন্য বেশি ক্ষতিকর না হলেও ছোট গাছকে অনেক সময় পত্রশুন্য করে ফেলতে পারে।


প্রতিকার :

১. আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

২. গাছের নিচে পড়ে থাকা পাতা ও আবর্জনা অপসারণ করা।

৩. রাসায়নিক কীটনাশক সুপারিশকৃত নয় তবে আক্রমণ বেশী হলে প্রতিলিটার পানিতে সুমিথিয়ন 2 মিলি মিশিয়ে স্প্রে করা।


ক্ষতির লক্ষণ

লিচু পাতার সবুজ অংশ খেয়ে খেয়ে পাতায় সুড়ঙ্গ করে এ পোকা ক্ষতি করে থাকে । পাতায় আঁকা-বাঁকা দাগের সৃষ্টি করে । আক্রান্ত পাতা কুঁকড়ে যায় ।

 

সমন্বিত ব্যবস্থাপনা

প্রতি লিটার পানিতে ১২০ মিলিলিটার নিমের খৈলের নির্যাস বা নিম তেল মিশ্রিত করে আক্রান্ত গাছে ভাল ভাবে পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করে এই পোকা দমন করা যায় ।

১০-২০লিটার পানিতে ১ কেজি নিমের খৈল মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করলে এ পোকা দমন হয় ।

তামাক নির্যাস ও সাবান গোলা পানি স্প্রে করে দিলেও এ পোকা দমন হয় ।

আক্রমণ বেশি হলে এ পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা ফেনথোয়েট ৫০ ইসি ২ মিলিলিটার হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।


এ পোকা গাছের কচি পাতা কেটে কেটে খায় । গাছের আগা / ডালের কচি পাতা খাওয়ার ফলে গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়।

 

এর প্রতিকার হল:

 

১. গাছের নিচের পড়ে থাকা পাতা অপসারণ করা

২. গাছের গোড়ায় মাটি থেকে এক ফুট উপরে আঠালে পদার্থ দ্বারা বেস্টনি তৈরি করা যাতে পোকা গাছ বেয়ে উঠতে না পারে।

৩. নতুন পাতা বের হবার পর কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ভিটাব্রিল বা সেভিন ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন, মাঝে মাঝে বাগানের মাটি চাষ দিয়ে দিন। এতে মাটিতে জীবন চক্রের কোন স্তর বসবাস করে এমনে পোকা মারা যাবে।

২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন

৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।


এ রোগ ছত্রাকের আক্রমণে হয়ে থাকে। এতে পাতায় বাদামী থেকে কালো দাগ হয়।কচি পাতা আক্রান্ত হলে পাতা কুঁচকে যায়।

 

প্রতিকার :

# আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

# গাছের বয়স অনুযায়ী সুষম সার প্রয়োগ করা।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন

২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন

৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।


লক্ষণ:

এ পোকা ফলের বোঁটার কাছে ছিদ্র করে ভিতরে ঢোকে এবং বীজকে আক্রমণ করে । পরে ছিদ্রের মুখে বাদামী রংয়ের এক প্রকার করাতের গুড়ার মত মিহি গুড়া উৎপন্ন করে । এতে ফল নষ্ট এবং বাজার মূল্যে কমে যায় ।

 

প্রতিকার:

লিচু বাগান নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ।

 আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা ।

 লিচু গাছ তলায় শুকানো খড়ে আগুন দিয়ে তাতে ধুপ দিয়ে ধোঁয়া দিতে হবে । এতে এ পোকা মথ বা কীড়া বিতড়িত হবে । ফলে লিচুর মধ্যে ডিম পারবে না ।

 বোম্বাই জাতে এ পোকার আক্রমণ বেশি হয় তাই আক্রমণ প্রবণ এলাকায় চায়না ৩ জাত রোপন করা ।

 আক্রমণ বেশি হলে সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের রিপকোর্ড ১০ ইসি বা রেলেথ্রিন ১০ ইসি  বা সাইপেরিন ১০ ইসি ১ মিলি/লি.পানিতে মিশিয়ে অথবা কার্বাসালফান গ্রুপের মারশাল ২০ ইসি ২ মিলি/লি. পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।


ফল ঝরা লিচুর সাধারণ সমস্যা । আবহাওয়া শুষ্ক হলে বা গাছে হরমোনের অভাব থাকলে ফল ঝরে পড়তে পারে । গুটি অবস্থায় ফল ঝরতে পারে । ফল বাদামী থেকে কাল রং ধারণ করে ।

 

ব্যবস্থাপনা:

 

শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করলে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে ।

* ফল মটর দানা এবং মার্বেল আকার অবস্থায় ম্যাগণল প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।

* গুটি বাধার পর ম্যাকচিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৩-৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে ।

 


দীর্ঘ খরা হলে বা শুষ্ক ও গরম হাওয়ার ফলে শারীরবৃত্তীয় কারণে অথবা মাটিতে বোরন বা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও লিচু ফেটে যেতে পারে ।

এর ব্যবস্থাপনা হল:

১. খরা মৌসুমে নিয়মিত সেচ দেওয়া

২. গুটি বাধার পরপরই সলুবর বোরণ ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করা

৩. বর্ষার আগে ও পরে বছরে দুইবার গাছের বয়স অনুযায়ী সুষম সার প্রয়োগ করা।

৪. প্রতি বছর গাছ প্রতি ৫০ গ্রাম হারে ডলোচুন প্রয়োগ করা।

৫. পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োহ করা।

দীর্ঘ খরা হলে বা শুষ্ক ও গরম হাওয়ার ফলে শারীল বৃত্তীয় কারণে লিচু শুকিয়ে যেতে পারে ।

এর ব্যবস্থাপনা হল:

১. খরা মৌসুমে সপ্তাহে ২ বার নিয়মিত সেচ দেওয়া

২. বিকাল বেলা গাছে পানি স্প্রে করা

৩. পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ করা।


লক্ষণ : পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা মাকড় কচি পাতায় আক্রমণ করে ও পাতার রস চুষে খায়। এর ফলে পাতায় বাদামী রংয়ের মখমলের মত ইরিনিয়াম নামক এক ধরনের আবরণ তৈরী হয়।পাতা ভিতরের দিকে কুঁকড়িয়ে যায় শেষে আক্রান্ত পাতা শুকাতে থাকে।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে মাটিতে পুতে ফেলা

২. জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেমন: নিমবিসিডিন (0.4%) হারে ব্যবহার করা।

৩. মধ্য ভাদ্র হতে কার্তিক মাস এবং মাঘের শেষ হতে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত গাছে ২-৩ বার অনুমোদিত মাকড়নাশক যেমন: থিওভিট বা কুমুলাস বা রনভিট ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন

২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন

৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।

এ রোগের আক্রমনে পাতায় , ফলে ও কান্ডে কালো ময়লা জমে। মিলিবাগ বা স্কেল পোকার আক্রমণ এ রোগ ডেকে আনে।

 

প্রতিকার :

# আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

# মিলিবাগ বা স্কেল পোকার আক্রমণ এ রোগ ডেকে আনে তাই এদের দমনের জন্য এডমায়ার ১ মি.লি / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

# টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন।

২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন।

৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।


ক্ষতির লক্ষণ

 

এরা পাতা ও ডালের রস চুষে নেয় ফলে গাছ দুর্বল হয়। পোকার আক্রমণে পাতা, ফল ও ডালে সাদা সাদা তুলার মত দেখা যায়। অনেক সময় পিপড়া দেখা যায়। এর আক্রমণে অনেক সময় পাতা ঝরে যায় এবং ডাল মরে যায়।

প্রতিকার :

১. আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

২. ব্রাশ দিয়ে ঘসে পোকা আক্রান্ত অংশ থেকে দূর করা

৩. সম্ভব হলে হাত দিয়ে ডিম বা বাচ্চার গাদা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।

৪. সাবান মিশ্রিত পানি স্প্রে করা।

৫. আক্রমণ বেশী হলে প্রতিলিটার পানিতে 2 মিলি রগর বা টাফগর বা সানগর বা সুমিথিয়ন বা 2 গ্রাম মিপসিন বা সপসিন মিশিয়ে স্প্রে করা।