এ রোগ দেখা দিলে
পুরো গাছ বা গাছের ডাল আগা থেকে শুরু করে ক্রমশ নিচের দিকে মরে যেতে দেখা যায় । এ রোগটি
ছত্রাকের আক্রমণে হয়।
এর প্রতিকার হল:
১. আক্রান্ত গাছে
সুষম মাত্রায় জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা এবং নিয়মিত সেচ প্রদান করা। সময়মত
প্রুনিং করে, আক্রান্ত অংশ অপসারণ করে গাছ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা
২. কিছুটা সুস্থ
অংশসহ আক্রান্ত অংশ কেটে পুরে ফেলা এবং কর্তিত অংশে বোর্দো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইট
জাতীয় ছত্রাক নাশক যেমন- কুপ্রাভিট ৭ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
৩. নতুন পাতা বের
হলে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ব্যাভিস্টিন বা নোইন ১ গ্রাম / লিটার হারে
পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
এ রোগের আক্রমণে পাতায় কাল দাগ পড়ে । কচি
পাতা আগা থেকে শুকিয়ে যায়। ফলের গায়ে ছোট ছোট বাদামী দাগ ক্রমে ক্রমে বড় হয়। ক্ষত সৃষ্টি
হয় এবং ফল ফেটে যায়।
প্রতিকার :
# আকান্ত ফল, পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস
করা।
# গাছের নিচে পড়া ফল, পাতা সংগ্রহ করে পুড়ে
ফেলা
# ফল মটর দানার মত আকারের হলে - প্রোপিকোনাজল
গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মিলি./ লি হারে বা কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের
ছত্রাকনাশক যেমন: নোইন ২ গ্রাম/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।
স্প্রে করার এক মাসের মধ্যে ফল খাওয়া যাবেনা
এ রোগের আক্রমনে ফলের গায়ে পানি ভেজা দাগ
পড়ে এবং আগা থেকে পচন শুরু হয়। ফলের আক্রান্ত অংশ মহিষের রং ধারণ করে কিন্তু পচা ফল
সহজে গাছ থেকে পড়ে না।
প্রতিকার :
# আক্রান্ত ফল ছাটাই করে ধ্বংস করা।
# দু একটি আক্রান্ত হলেই মেনকোজেব গ্রুপের
ছত্রাক নাশক যেমন: পেনকোজেব ২০ গ্রাম বা প্রোপিকোনাজল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: টিল্ট
৫ গ্রাম ১০ লি. পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা। স্প্রে করার এক মাসের
মধ্যে ফল খাওয়া যাবেনা
এ পোকা গাছের পাতা ও আগার রস খেয়ে ফেলে এবং
এক ধরনের মিষ্টি রস নিঃসরণ করে।এর আক্রমণ বেশি হলে শুটি মোল্ড ছত্রাকের আক্রমণ ঘটে
এবং পাতায় কালো আবরণ দেখা যায় ।
এর প্রতিকার হল:
১. অল্প আক্রমণের ক্ষেত্রে হাত দিয়ে পিশে
পোকা মেরে ফেলা
২. আক্রান্ত পাতা ও ডাল অপসারণ করা।
৩. পরভোজী পোকা যেমন : লেডিবার্ডবিটল লালন।
৪. ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা
৫. প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকার আক্রমণ হলে
ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: এডমেয়ার ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে
শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
এ রোগের আক্রমণে ফলের গায়ে উচু উচু কালো দাগ
সারিতে দেখা যায় এবং ফল পচে যায়।
প্রতিকার :
# আক্রান্ত ফল ছাটাই করে ধ্বংস করা।
# দু একটি আক্রান্ত হলেই কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের
ছত্রাক নাশক যেমন: গোল্ডাজিম বা ব্যাভিস্টিন বা নোইন ১০ লি. পানিতে ১০গ্রাম মিশিয়ে
১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা। স্প্রে করার এক মাসের মধ্যে ফল খাওয়া যাবেনা
এ রোগ দেখা দিলে গাছ মরে যেতে শুরু করে এক
সময় পুরো গাছ মরে যেতে দেখা যায় । এ রোগটি ছত্রাকের আক্রমনে হয়।
এর প্রতিকার হল:
১. আক্রান্ত গাছ বাগান থেকে অপসারণ করা, আক্রান্ত
গাছে সুষম মাত্রায় জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা এবং নিয়মিত সেচ প্রদান করা।
২. প্রথমিক লক্ষণ দেখা দিলে বোর্দো মিশ্রণ
বা কপার অক্সিক্লোরাইট জাতীয় ছত্রাক নাশক যেমন- কুপ্রাভিট ৪ গ্রাম / লি. হারে পানিতে
মিশিয়ে স্প্রে করা।
৩. নতুন পাতা বের হলে ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম
/ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
লক্ষণ:
পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে
গাছকে দুর্বল করে ফেলে। অনেক সময় ফলে আক্রমণ করার কারণে ফলে দাগ হয় ।
প্রতিকার:
#প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা
#পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা
#বাগান পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
# হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।
#তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম)
ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
#বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫
মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
রোগের জীবানু পাতায় সাদা পাউডারের আবরণ সৃষ্টি
করে । হাত দিয়ে ঘসলে পাউডার সরে যায় ।
ব্যবস্থাপনা:
১. সময়মত প্রুনিং করে গাছ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
রাখা, পানি স্প্রে করলে রোগের প্রকোপ কমানো যায় ।
২. সালফার বা মেনকোজেব বা প্রপিকোনাজল গ্রুপের
ছত্রাক নাশক যেমন: টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মিলি/ লি. বা নোইন ৫০ ডব্লিউপি ২ গ্রাম / লিঃ
বা জেনথো ৫ ইসি ১মিলি / লি. বা ওয়ানজেব ৮০ ডব্লিউপি ২ গ্রাম/ লিঃ হারে পানিতে মিশিয়ে
৫-৭ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একাট ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
পাখি ঠোকরিয়ে ঠোকরিয়ে কচি / পাকা ফল খেয়ে
ফেলে।
এর প্রতিকার হল:
১. পাখি তাড়ানোর জন্য শব্দ সৃষ্টি করা
২. সম্ভব হলে ফল কাপড় দিয়ে পেচিয়ে ঢেকে দেয়া
এ রোগের আক্রমণে ফলের গায়ে আলপিনের মাথার
মত ছোট ছোট দাগ পড়ে। অনেক দাগ একত্রিত হয়ে বড় দাগের সৃষ্টি হয়। ফলের আক্রান্ত অংশ শুকনো
ও খসখসে হয়ে যায়।
প্রতিকার:
# আক্রান্ত ফল ছাটাই করে ধ্বংস করা।
# গাছের নিচে পড়া ফল, পাতা সংগ্রহ করে পুড়ে
ফেলা
# দু একটি ফল আক্রান্ত হলেই কার্বেন্ডাজিম
গ্রুপের ছত্রাক নাশক যেমন: ব্যাভিস্টিন বা নোইন ১০ লি. পানিতে ১০গ্রাম মিশিয়ে ১৫ দিন
পরপর ২ বার স্প্রে করা। স্প্রে করার এক মাসের মধ্যে ফল খাওয়া যাবেনা
এ রোগের আক্রমনণে কচি ফল শুকিয়ে যায়। ছত্রাকের
কারণে বা শরীরবৃত্তীয় কারণে এ রোগ হয়ে থাকে ।
প্রতিকার :
# আকান্ত ফল, পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস
করা।
# গাছের নিচে পড়া ফল, পাতা সংগ্রহ করে পুড়ে
ফেলা
# সুষম সার প্রয়োগ করা এবং খরার মৌসুমে পরিমিত
সেচ দেওয়া।
# ফল মটর দানার মত আকারের হলে - টিল্ট ২৫০
ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা। স্প্রে করার এক মাসের
মধ্যে ফল খাওয়া যাবেনা।
এ পোকা ফল ছিদ্র করে ফলের ভিতরে ঢুকে ফলের
মাংসল অংশ খেতে থাকে এবং ফল ভেতরে পঁচে যায় ।
এর প্রতিকার হল:
১. ফল ব্যাগিং করা বা পলিথিন দিয়ে প্যাচানো
২. নষ্ট ফল বাগান থেকে অপসারণ করা।
৩. টাফগার ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে
শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
লক্ষণ : কীড়া পেঁয়ারা গাছের কান্ড ছিদ্র করে
এবং আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গ করে বাকল খেতে থাকে । ছিদ্রের মুখে কালচে বাদামী চা পাতির গুড়োর
মত দানা দানা কীড়ার মল দেখা যায় । ফলে গাছে খাদ্য ও পানি চালাচল ব্যাহত হয় ।
প্রতিকার :
• ছিদ্রমুখের মল পরিস্কার করে পেট্রোল/কেরোসিন তেল বা ক্লোরোফর্মে এক টুকরো
তুলো ভিজিয়ে ছিদ্রের মুখে ডুকিয়ে ছিদ্রের মুখ নরম কাদা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে । এতে
কীড়া মারা যাবে ।
• আক্রান্ত গাছের কান্ডে প্রতি লিটার পানিতে ৩মিলি লিটার পরিমাণ নিমবিসিডিন
মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।
•আলোক ফাঁদে এ পোকার মথকে আকৃষ্ট করে মেরে ফেলা যায় ।
•ক্ষেত ও গাছের গোড়ার আগাছা পরিস্কার রাখতে হবে ।
এ পোকা ফল পরিপক্ক হওয়ার সময় অভিপজিটর ঢুকিয়ে
তাতে ডিম পারে। ।এ ডিম ফুটে কীড়া বের হয়ে ফলের মাংসল অংশ খেতে থাকে এবং ফল ভেতরে পঁচে
যায় ।
এর প্রতিকার হল:
১. ফল ব্যাগিং করা বা পলিথিন দিয়ে প্যাচানো
২. নষ্ট ফল বাগান থেকে অপসারণ করা।
৩. বিষটোপ ব্যবহার করা (১০০ গ্রাম নরম করা
কলা + ৫ গ্রাম ভিটাব্রিল + ১০০ মিলি পানি মিশিয়ে বিষটোপ তৈরি করতে হবে।)
৪. বেইট ট্র্যাপ স্থাপন করা ও ফেরোমন ফাঁদ
(ব্যাকট্রো- ডি হেক্টর প্রতি ৮০ টি লিউর) ব্যবহার করা।
৫. ফেনিট্রথিয়ন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: সুমিথিয়ন
২.৪ মিলি/ লি হারে বা টাফগার ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে
করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
এরা পাতা ও ডালের রস চুষে নেয় ফলে গাছ দুর্বল
হয়। পোকার আক্রমনে পাতা, ফল ও ডালে সাদা সাদা তুলার মত দেখা যায়। অনেক সময় পিপড়া দেখা
যায়। এর আক্রমণে অনেক সময় পাতা ঝরে যায় এবং ডাল মরে যায়।
প্রতিকার :
১. আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।
২. গাছের গোড়ার মাটি থেকে 15-20 সেমি উপরে
স্বচ্ছ পলিথিন দ্বারা মুড়ে দিতে হবে যাতে মিলিমাগ গাছে উঠতে না পারে।
৩. সম্ভব হলে হাত দিয়ে ডিম ব বাচ্চার গাদা
সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।
৪. জৈব বালাইনাশক নিমবিসিডিন (0.4%) ব্যবহার
করা।
৫. আক্রমণ বেশী হলে প্রতিলিটার পানিতে 2 মিলি
রগর টাফগর, সানগর বা সুমিথিয়ন 2 মিলি মিপসিন বা সপসিন মিশিয়ে স্প্রে করা।
ক্ষতির লক্ষণ
এ রোগের আক্রমণে পাতায় ও ফলে লালচে মরিচার
মত একধরনের উচু দাগ দেখা যায়। একধরণের শৈবালের আক্রমণে এ রোগ হয়।
প্রতিকার :
# আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।
# গাছের নিচে ঝরে পড়া পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস
করা।
# সুষম সার প্রয়োগ ও পরিচর্যার মাধ্যমে গাছের
বৃদ্ধি ঠিক রাখা ।
# বোর্দ্দো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইড
বা কপার হাইড্রোক্সাইড গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: সানভিট বা কুপ্রাভিট ১০ লি. পানিতে
২০ গ্রাম মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
এ রোগের আক্রমণে পাতায় , ফলে ও কান্ডে কাল
ময়লা জমে। মিলিবাগ বা সাদা মাছির আক্রমণ এ রোগ ডেকে আনে।
প্রতিকার :
# আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।
# মিলিবাগ বা সাদা মাছির আক্রমণ এ রোগ ডেকে
আনে তাই এদের দমনের জন্য এডমায়ার ১ মি.লি / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
# প্রোপিকোনাজল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: টিল্ট
২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।
এ পোকা গাছকে অংশিক
বা সম্পুর্ণ পাতাশুন্য করে ফেলে। আনেক সময় মারাত্বক আক্রমনে গাছে ফল আসেনা। এর প্রতিকার
হল ১. পোকা সহ পাতা সংগ্রহ করে পিশে পোকা মেরে ফেলা ২. সুমিথিয়ন ২ মি.লি. / লি. হারে
পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন
রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ
হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা
ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার
পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান
পরিদর্শন করুন।
লক্ষণ : এরা পাতার রস চুষে খায় ফলে গাছ দুর্বল
হয়ে পড়ে। পাতায় অসংখ্য সাদা বা হলদেটে দাগ হয় । সাদা তুলার মত বস্তু ও সাদা পাখাযুক্ত
মাছি দেখা যায় ।
প্রতিকার :
১. সাদা আঠাযুক্ত বোর্ড স্থাপন বা আলোর ফাঁদ
ব্যবহার করা।
২. আক্রান্ত পাতা তুলে ধ্বংস করা।
৩. 50 গ্রাম সাবানের গুড়া 10 লিটার পানিতে
গুলে পাতার নিচে সপ্তাহে 2/3 বার ভাল করে স্প্রে করা। সাথে 5 কৌটা গুল (তামাক গুড়া)
পানিতে মিশিয়ে দিলে ফল ভাল পাওয়া যায়।
৪. সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসাবে অনুমোদিত বালাইনাশক
ব্যবহার করা। যেমন এডমায়ার 0.5 মিলি বা 0.25 মিলি ইমিটাফ বা 2 মিলি টাফগর/রগব/সানগর
প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
এরা পাতা ও ডালের রস চুষে নেয় ফলে গাছ দুর্বল
হয়। পোকার আক্রমণে পাতা, ফল ও ডালে সাদা সাদা তুলার মত দেখা যায়। অনেক সময় পিপড়া দেখা
যায়। এর আক্রমণে অনেক সময় পাতা ঝরে যায় এবং ডাল মরে যায়।
প্রতিকার :
১. আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।
২. অল্প আক্রমণের ক্ষেত্রে তুলায় সমান্য অ্যালকোহল
লাগিয়ে সেটি দিয়ে ঘষে গাছ পরিস্কার করা
৩. সম্ভব হলে হাত দিয়ে ডিম ব বাচ্চার গাদা
সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।
৪. জৈব বালাইনাশক নিমবিসিডিন (0.4%) ব্যবহার
করা।
৫. আক্রমণ বেশী হলে প্রতিলিটার পানিতে 2 মিলি
রগর টাফগর, সানগর বা সুমিথিয়ন 2 মিলি মিপসিন বা সপসিন মিশিয়ে স্প্রে করা।
ক্ষতির লক্ষণ
এ রোগের আক্রমনে ফলে ছোট বা মাঝারি আকারের
কাল দাগ পড়ে ।
প্রতিকার :
গাছের পাতা শুকনো থাকা আবস্থায় বাগানের পরিচর্যা
করা ও বাগান পরিচ্ছন্ন রাখা।
# টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে
১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।