লক্ষণ:
পূর্ণ বয়স্ক বিটল ও গ্রাব উভয়েই পাতা খায়
। আক্রান্ত পাতা ঝাঁঝরা করে, পরে পাতা শুকিয়ে যায় এবং ঝরে পাড়ে ।
প্রতিকার
- ·
ক্ষেত পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখা।
- ·
গাছে পরিমান মত ছাই ছিটানো ।
- ·
পরজীবী বোলতা সংরক্ষণ করা ।
- ·
ডিম ও কীড়া নষ্ট করা এবং পোকা সংগ্রহ
করে মেরে ফেলা ।
- · শতকরা ১০ ভাগ পাতা পোকা দ্বারা আক্রান্ত
হলে প্রতি লিটার পানিতে ডেনিটল/ট্রিবন-১ মিঃলিঃ বা সুমিথিয়ন-২ মিঃলিঃ বা সেভিন ২ গ্রাম
মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
২. একই জমিতে বার বার বাঙ্গি বা কুমড়া জাতীয়
ফসল চাষ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাছা পরিস্কার করুন
স্ত্রী মাছি কচি গাছে ওভিপজিটর ঢুকিয়ে ডিম
পাড়ে। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মত তরল পদার্থ বেড়িয়ে আসে, গাছের আক্রান্ত অংশ পঁচে
যায় এবং পঁচা অংশের উপরের অংশটি মরে শুকিয়ে যায় ।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত ফল বা ফুল সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা
বা পুড়ে ফেলা।
২. কচি ফল কাগজ বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া
।
৩. প্রথম ফুল আসা মাত্র কুমড়া জাতীয় ফসলের
ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা। প্রতি ১০ শতাংশের জন্য ৩ টি হারে ।
৪.আম বা খেজুরের রসে সামান্য বিষ মিশিয়ে তা
বোতলে রেখে জানালা কেটে দিয়ে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
৫. পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০
গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে তাতে সামান্য বিষ ( যেমন- সপসিন ০.২৫ গ্রাম ) মিশিয়ে তা দিয়ে
বিষটোপ তৈরী করে মাটির পাত্রে করে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
৬. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ১ মি.লি.
/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা। বিষটোপ ও ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. উত্তমরুপে জমি চাষ দিয়ে পোকার পুত্তলি
পাখিদের খাবার সুযোগ করে দিন।
এ রোগ হলে পাতায় পানি ভেজা দাগ দেখা যায়।
ব্যাপক আক্রমনে পাতা পচে যায়। কান্ড ফেটে লালচে আঠা বের হয়।
এর প্রতিকার হল:
১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
২. ম্যানকোজেব অথবা ম্যানকোজেব + মেটালক্সিল
যেমন: রিদোমিল গোল্ড ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে
করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
রোগমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা
লক্ষণ
পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে
গাছকে দুর্বল করে ফেলে । ফুল ও কচি ফলে আক্রমণের কারণে ফলে দাগ হয় ।
প্রতিকার
১. হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।
২. তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া
(৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
৩. এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে
শিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
২. পিয়াজ, রসুন ও দানাদার ফসলের কাছাকাছি
বাঙ্গি চাষ না করা।
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করুন
পাতা ও গাছের গায়ে সাদা পাউডারের মত দাগ দেখা
যায়, যা ধীরে ধীরে সমস্ত পাতায় ছড়িয়ে পড়ে । আক্রান্ত বেশী হলে পাতা হলুদ বা কালো হয়ে
মারা যায় ।
প্রতিকার :
১. সম্ভব হলে গাছের আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে
ধ্বংস করুন।
২. ক্ষেত পরিস্কার রাখুন এবং পানি নিস্কাষনের
ভাল ব্যবস্থা রাখুন।
৩. (ম্যানকোজেব+মেটালোক্সিল) গ্রুপের ছত্রাকনাশক
যেমন: রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম/ লিটার হারে অথবা সালফার ছত্রাক নাশক যেমন কুমুলাস ৪ গ্রাম
বা গেইভেট বা মনোভিট বা থিওভিট ২ গ্রাম অথবা কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাক নাশ যেমন:
গোল্ডাজিম ০.৫ মিলি. বা এমকোজিম বা কিউবি বা চ্যামপিয়ন ২ গ্রাম/ লিটার হারে পানিতে
মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
২. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
৩. এলোপাতারি বালাইনাশক ব্যবহার করে পরিবেশ
ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করুন
২. সুষম সার ব্যবহার করুন
৩. রোগ প্রতিরোধী জাত যেমন: বারি উদ্ভাবিত/
অন্যান্য উন্নত জাতের চাষ করুন
৪. বিকল্প পোষক যেমন: আগাছা পরিস্কার রাখুন
ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে
ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা
পুড়ে ফেলা।
২. আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা ।
৩. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ( যেমন:
কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
আক্রান্ত পাতায় গায়ে হলদে থেকে বাদামী রংগের
ছোট ছোট দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে একাধিক দাগ একত্রিত হয়ে বড় দাগ হয় পাতায় ছড়িয়ে পড়ে
এবং পাতা পুড়ে যাওয়ার মত হয় ।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত গাছের অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা
।
২. রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম/প্রতি লিটার পানি
মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
রোগমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা
স্ত্রী মাছি কচি ফলের নিচের দিকে ওভিপজিটর
ঢুকিয়ে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মত তরল পদার্থ বেড়িয়ে আসে যা শুকিয়ে বাদামী
রং ধারন করে । ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে ফলের শাস খেতে শুরু করে এবং ফল বিকৃত হয়ে যায়
এবং হলুদ হয়ে পঁচে ঝড়ে যায়।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত ফল বা ফুল সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।
২. কচি ফল কাগজ বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া ।
৩. প্রথম ফুল আসা মাত্র কুমড়া জাতীয় ফসলের ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা। প্রতি ১০ শতাংশের
জন্য ৩ টি হারে ।
৪.আম বা খেজুরের রসে সামান্য বিষ মিশিয়ে তা বোতলে রেখে জানালা কেটে দিয়ে ক্ষেতের মাঝে
মাঝে স্থাপন করা।
৫. পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০ গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে তাতে সামান্য
বিষ ( যেমন- সপসিন ০.২৫ গ্রাম ) মিশিয়ে তা দিয়ে বিষটোপ তৈরী করে মাটির পাত্রে করে ক্ষেতের
মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
৬. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
বিষটোপ ও ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ
(এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. উত্তমরুপে জমি চাষ দিয়ে পোকার পুত্তলি পাখিদের খাবার সুযোগ করে দিন।
লক্ষণ
পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । পূর্ণ
বয়স্করা চারা গাছের বেশি ক্ষতি করে । এরা পাতা ও ফলের পাপড়ি ছোট ছোট ছিদ্র করে খায়
। আক্রান্ত পাতায় অসংখ্য ছিদ্র হয় ।
প্রতিকার
হাত জাল দ্বারা পোকা সংগ্রহ ।
পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ।
চারা গাছ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া ।
আক্রান্ত গাছে ছাই ছিটানো
০.৫% ঘনত্বের সাবান পানি অথবা ৫ মিলি তরল
সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
৫০০ গ্রাম নিম বীজের শাঁস পিষে ১০ লিটার পানিতে
১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা ছেঁকে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে
।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
২. একই জমিতে বার বার বাঙ্গি বা কুমড়া জাতীয়
ফসল চাষ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাছা পরিস্কার করুন
আক্রান্ত পাতায় হালকা বাদামী থেকে ধুসর ছাই
রংগের দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে দাগ বড় হয় ও মধ্য শিরার দিকে অগ্রসর হলে অনেকটা ইংরেজি
ভি অক্ষরের মত আকার ধারণ করে। দাগের কিনারা হলদে থাকে ।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত গাছের অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা
।
২. রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম/প্রতি লিটার পানি
মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
২. একই জমিতে বার বার বাঙ্গি বা কুমড়া জাতীয়
ফসল চাষ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. রোগমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা
২. বপনের পূর্বে ৫০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রার
গরম পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে বীজ শোধন করুন
৩. ফসল সংগ্রহের পর অবশিষ্ট অংশ ধ্বংস করুন
এ রোগ হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক
করা পাতা দেখা দেয়।
এর প্রতিকার হল:
১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
২. জাপ পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই
এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: এডমায়ার ১ মি.লি. / লি. হারে
পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
২. একই জমিতে বার বার বাঙ্গি বা কুমড়া জাতীয়
ফসল চাষ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাছা পরিস্কার করুন
ক্ষতির ধরণ # পামকিন বিটলের পূর্ণবয়স্কপোকা
চারা গাছের পাতায় ফুটো করে এবং পাতার কিনারা থেকে খাওয়া শুরু করে সম্পূর্ণ পাতা খেয়ে
ফেলে। # এ পোকা ফুল ও কচি ফলেও আক্রমণ করে।
এর প্রতিকার হল
১. চারা আক্রান্ত হলে হাত দিয়ে পূর্ণবয়স্ক
পোকা ধরে মেরে হাত দিয়ে মেরে ফেলা
২. ক্ষেত সব সময় পরিষ্কার রাখা।
৩.কেরোসিন মিশ্রিত ছাই গাছে ছিটানো;
৪. ক্ষেতের আশপাশের বিকল্প পোষক অর্থাৎ কুমড়াজাতীয়
সবজি নষ্ট করা;
৫. গাছের গোড়ার মাটি কুপিয়ে কিড়া উন্মুক্ত
করে দেওয়া এবং ডাল পুঁতে পাখি বসার জায়গা করে দেওয়া;
৬. চারা বের হওয়ার পর থেকে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত
মশারির জাল দিয়ে চারাগুলো ঢেকে রাখলে এ পোকার আক্রমণ থেকে গাছ বেঁচে যায়;
৭.এক কেজি মেহগনি বীজ কুচি করে কেটে ৫ লিটার
পানিতে ৪-৫ দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ছেঁকে ২০ গ্রাম সাবান গুঁড়া এবং ৫ গ্রাম সোহাগা
মিশিয়ে ২০ মিনিটে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা হলে ৫ গুণ পানি স্প্রে করুন;
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
লক্ষণ
এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ।
সাদা মাছি দ্বারা ভাইরাস ছড়ায় । আক্রান্ত গাছ খর্বাকৃতি হয় । পাতার গায়ে টেউয়ের মত
ভাজের সৃষ্টি হয়, কুঁচকে যায় । বয়স্ক পাতা পুরু ও মচমচে হয়ে যায় । অতিরিক্ত শাখা প্রশাখা
বের হয় ও ফুল ফল ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।
প্রতিকার
• আক্রান্ত গাছ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।
রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ
করা ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন
জাত ব্যবহার করা ।
ভাইরাসের বাহক পোকা দমনেহার
জন্য ডায়ামেথেয়ট, এসাটাফ, এডমেয়ার, টিডো, ইত্যাদি যে কোন একটি ১ মিলি /লিটার হারে পানিতে
মিশিয়ে স্প্রে করা) ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের
মধ্যে সেই ফল খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাছা পরিস্কার করুন
২. রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করুন
লক্ষণ:
পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । চারা
গাছ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এরা পাতার রস খায় । আক্রান্ত পাতা বিবর্ণ হয় ।পাতা কুকড়ে
যায়।
প্রতিকার:
# হাত জাল দ্বারা পোকা সংগ্রহ করে মেরে ফেলা।
# পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ।
# ক্ষেতে হলুদ রংএর আঠালো ফাঁদ লাগানো ।
# আক্রান্ত গাছে ছাই ছিটানো
# ০.৫% ঘনত্বের সাবান পানি অথবা ৫ মিলি তরল
সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
# ৫০০ গ্রাম নিম বীজের শাঁস পিষে ১০ লিটার
পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা ছেঁকে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যেতে
পারে ।
পোকা দমনের জন্য সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসাবে
প্রতি লিটার পানিতে ডায়মেথোয়েট ৪০ ইসি ( রগর/ টাফগর/ সানগর/ পারফেকথিয়ন ) ১মিঃলিঃ বা
এডমায়ার ১ মিঃলিঃ বা মেটাসিস্টক্স ১ মিঃলিঃ বা সবিক্রন ১মিঃলিঃ বা এসাটাফ- ১.৫ গ্রাম
মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
# ফসলের অবশিষ্টাংশ ধ্বংস করে ফেলা।
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করুন
ছত্রাকের আক্রমনে এ রোগ হয়। এতে ফলে সাদা
তুলার মত বস্তু দেখা যায় এবং ফল পচে যায়।
এর প্রতিকার হল :
১. প্লাবন সেচের পরিবর্তে স্প্রিংলার সেচ
দেয়া।
২. আক্রান্ত ফল অপসারণ করা।
৩. ফলের নিচে খড় বা পলিথিন বিছিয়ে ফলকে মাটির
সংস্পশে না আসার ব্যবস্থা করা । ৪. প্রপিকোনাজলগ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: টিল্ট ২৫০
ইসি ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ৩ বার শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
রোগমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা ও বীজ লাগানোর
আগে গভীরভাবে চাষ দিয়ে জমি তৈরী করা
বয়স্ক পাতায় এ রোগ প্রথম দেখা যায়। আক্রান্ত
পাতার গায়ে সাদা বা হলদে থেকে বাদামী রংগের তালির মত দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে অন্যান্য
পাতায় ছড়িয়ে পড়ে ।
প্রতিকার :
১. সম্ভব হলে গাছের আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে
ধ্বংস করা ।
২. ক্ষেত পরিস্কার রাখুন এবং পানি নিস্কাষনের
ভাল ব্যবস্থা রাখুন। ৩. (ম্যানকোজেব+মেটালোক্সিল) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: পুটামিল
বা রিডোমিল গোল্ড অথবা (ম্যানকোজেব+ ফেনামিডন) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: সিকিউর ২ গ্রাম/
লিটার হারে অথবা সালফার গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: কুমুলাস ২ কেজি/ হেক্টর হারে বা গেইভেট
বা মনোভিট বা ম্যাকভিট ২ মিলি. / লি হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
২. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
৩. এলোপাতারি বালাইনাশক ব্যবহার করে পরিবেশ
ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
০. প্রথম বার লক্ষণ দেখা যেতেই ব্যবস্থা নিন
১. আগাম বীজ বপন করুন
২. সুষম সার ব্যবহার করুন
৩. রোগ প্রতিরোধী জাত যেমন: বারি উদ্ভাবিত/
অন্যান্য উন্নত জাতের চাষ করুন
৪. বিকল্প পোষক যেমন: আগাছা পরিস্কার রাখুন