আখ কখনও কখনও লম্বা লম্বিভাবে ফেটে যায়। অতি খরার পর হঠাৎ বৃষ্টি হলে বা সেচ দিলে অথবা জমিতে সুষম সারের ঘাটতি হলেও এমনটি হতে পারে ।

 

এর প্রতিকার হল:

১. জমিতে নিয়মিত সেচ দেয়া ।

২. মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করা।


আখ বেশি দিন ক্ষেতে থাকলে ভিতরটা ফাপা হয়ে রস শুকিয়ে যায়। অতি পক্কতার কারণে এমনটি হয়। এর প্রতিকার হল পরিপক্ক হলেই আখ কেটে ফেলা। আখ লাগানোর ১২ মাস পর যখন বৃদ্ধি থেমে যায়, উপরের পাতা মরতে থাকে, চাকু দিয়ে আখে আঘাত করলে ধাতব আওয়াজ হয় তখন আখ পরিপক্ক হয়েছে ধরা হয়।


লক্ষণ

 

আখের মাইজ মরে যায় । মরা মাইজ টানলেই সহজে উঠে আসে এবং দূর্গন্ধ ছড়ায় । গাছের গোড়ায় কীড়া ঢোকার ছিদ্র চিহ এবং বিষ্ঠা প্রভৃতি দেখা যায় ।

 

প্রতিকার

আক্রান্ত গাছ পোকাসহ তুলে ধ্বংস করা ।

* গাছের গোড়ায় হালকাভাবে মাটি দেয়া।

*পুরনো শুকানো পাতগুলো গাছ থেকে ছড়িয়ে ফেলা আগাম কর্তন অনুসরণ করা ।

*জমি আগাছামুক্ত রাখা

* কর্তনের পর মোথাগুলো চাষ দিয়ে বা কোদাল দিয়ে তুলে পুড়িয়ে ধ্বংস করা ।

* আক্রমণ বেশি হলে জমিতে কার্বোফুরান ৫ জি ৪০ কেজি/হেক্টর হারে প্রয়োগ করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. একই জমিতে পরপর আখ চাষ করবেন না ।

২. গমের জমির পাশে বা গমের সঙ্গে চাষ পরিহার করা ।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. গভীরভাবে জমি চাষ করুন

২. আগাম চাষ অনুসরণ করা ।


ক্ষতির লক্ষণ:

এটি ছত্রাকজনিত রোগ । এ রোগ হলে আখের পাতায় অসংখ্য দাগ দেখা দেয়। দাগের মাঝখানটা খড়ের ন্যায় কিন্তু কিনারা বাদামি রংয়ের হয়।

 

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা অপসারণ করে পুড়িয়ে ফেলা ।

২. কপারঅক্সিক্লোরাইড ১ গ্রাম/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. রোগাক্রান্ত জমি থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. রোগমুক্ত আনূমোদিত বীজ ব্যবহার করতে হবে

২. রোগ প্রতিরোধ জাতের চাষ করতে হবে ।

৩. আখ কাটার পর অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলুন।


এরা পাতা ও কান্ডের রস চুসে খায়। এর আক্রমন বেশি হলে গাছ মরে যায় । পুরো গাছে কালো আস্তরণ পড়ে।

 

প্রতিকার

১. আক্রান্ত গাছের বয়স্ক পাতা অপসারণ করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. মুড়ি আখ চাষ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আশ পোকা মুক্ত বীজ দিয়ে আখ চাষ করুন

২. আখ কাটার পর অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলুন ।


রোপনকৃত বীজ খন্ড খেয়ে ফেলায় গাছ গজাতে পারে না। আখ দাড়ানো অবস্থায়ও এরা আখের মূল শিকড় ও কান্ড খেয়ে ক্ষতি করে এবং গাছ মরে যায় ।

এর প্রতিকার হল:

রানীসহ উঁইপোকার দল ধ্বংস করা ।

* আকাবাঁকা পদ্ধতিতে সেট রোপন করা ।

* খাদ্য ফাঁদ ব্যবহার করা (মাটির হাড়িতে পাট কাঠি, ধৈঞ্চা জমিতে পুতে রেখে পরে তুলে উঁইপোকাগুলো মেরে ফেলা)

* সেচ দিয়ে কয়েকদিন পানি ধরে রাখা ।

* রিজেন্ট ৩ জিআর ৩৩.০ কেজি / হেক্টর হারে নালায় সেট বসানোর পর ছিটিয়ে প্রয়োগ করা এবং যথাশীঘ্র সেট ও কীটনাশক মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া। এ ক্ষেত্রে মাটিতে জোঁ থাকা বাঞ্চনীয় ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বিলম্বে আখ চাষ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম আখ চাষ করুন

২. উন্নত জাতের আখ বপন করুন ।


ক্ষতির লক্ষণ:

ইক্ষু্র বয়স যখন ৮-৯মাস হলে এ রোগের আক্রমণ দেখা যায় । আক্রান্তর গাছের পাতা নেতিয়ে পড়ে এবং উপর থেকে শুকাতে থাকে । আক্রান্ত ইক্ষু লম্বালম্বিভাবে চিড়লে কান্ডের মধ্যভাগে গিরার নিকটে গাঢ় লাল রং দেখা যায় । লাল পচা রোগের মতই উইল্ট রোগে আক্রান্ত আখের গিটের অংশে ইটের ন্যায় লাল হয় কিন্তু এক্ষেত্রে ছোপ সাদা আড়াআড়ি দাগ দেখা যায় না । রোগের প্রকোপ বেশী হলে আক্রান্ত ইক্ষুর ভিতরে ফাঁপা হয় এবং কান্ড শুকিয়ে যায় । খুব অল্প সময়ের মধ্যে আক্রান্ত জমির ইক্ষু শুকিয়ে যায় ।

 

ব্যবস্থাপনা :

১. আক্রান্ত গাছ জমি থেকে শিকড় সমেত তুলে ফেলুন।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. রোগাক্রান্ত জমি থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।

২. আক্রান্ত জমিতে পরবর্তীতে ইক্ষু চাষ না করে অন্য ফসলের আবাদ করুন ।

৩. রোগাক্রান্ত জমিতে ইক্ষুর মুড়ি চাষ করা যাবে না ।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে ব্যাভিস্টিন বা নোইন নামক ছত্রাক নাশক মিশিয়ে রোপনের আগে ৩০ মিনিট ধরে বীজ শোধন করে নিন

২.অনুমোদিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতের চাষ করতে হবে ।

৩. জমিতে যথাযথ উর্বরতা এবং রস সংরক্ষণ করতে হবে ।

৪. ইক্ষু কাটার পর মোথাসমেত সমস্ত মরা মাতা পুড়িয়ে ফেলতে হবে ও প্রখর রোদ্র দ্বারা আক্রান্ত জমির মাটি শুকানোর ব্যবস্থা নিতে হবে ।


লক্ষণ

 

প্রাথমিক অবস্থায় গাছের পাতাগুলো শুকাতে থাকে এবং পরিণতিতে আখের মাথা বা উপরিভাগ মরে যায় । কখোনো আক্রান্ত গাছের মাথা সহজেই ভেঙ্গে যায় । দ্বিতীয় পর্যায়ে আক্রমণে কান্ডের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র থাকে এবং ছিদ্রের গায়ে গুড়ার মত ময়লা এবং কীড়ার মল দেখা যায় । আক্রান্ত গাছ কখনও কখনও শিকড় গজায় এবং আখের কান্ড জড়িয়ে ফেলে এবং আনেক ক্ষেত্রে চোখ গজিয়ে গাছ বের হয় ।

 

প্রতিকার

আক্রান্ত গাছ পোকাসহ তুলে ধ্বংস করা ।

* পোকামুক্ত বীজখন্ড রোপন করা ।

* পুরনো শুকানো পাতগুলো গাছ থেকে ছড়িয়ে ফেলা ও আগাম কর্তন অনুসরণ করা ।

*জমি আগাছামুক্ত রাখা

* কর্তনের পর মোথাগুলো চাষ দিয়ে কোদাল দিয়ে তুলে পুড়িয়ে ধ্বংস করা ।

আক্রমণ বেশি হলে প্রতি হেক্টর জমিতে কার্বোফুরান ৫ জি ৪০ কেজি হারে প্রয়োগ করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. একই জমিতে পরপর আখ চাষ করবেন না ।

২. গমের জমির পাশে বা গমের সঙ্গে চাষ পরিহার করা ।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. গভীরভাবে জমি চাষ করুন

২. আগাম চাষ অনুসরণ করা ।


এরা ডিগ পাতার মোড়কের ভেতরে ও বাইরে রস চুসে খায়। এর আক্রমন বেশি হলে পাতায় কালচে বাদামী দাগ দেখা যায় । গাছে পিপীলিকা উপস্থিতি দেখা যায়।

এর প্রতিকার হল

১. আক্রান্ত গাছের উপরিভাগ পোকাসেহ কেটে অপসারণ করা। ২. আক্রান্ত গাছের কুচকিতে অর্থাৎ পাতার গোড়ায় নিম্ফ ও পূর্ণবয়স্ক পোকা লুকিয়ে থাকে। তাই সেখানে হাত দিয়ে চেপে ধরে পোকা মারা যায়

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. মুড়ি আখ চাষ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আধুনিক জাতের আখ চাষ করুন

২. আখ কাটার পর অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলুন ।


ক্ষতির লক্ষণ:

 

ইক্ষুর বয়স ৩/৪ মাস থেকেই এ রোগ দেখা দেয় । আক্রান্ত গাছের মাথা কাল চাবুকের মত কয়েক ফুট লম্বা একটা শীষ বের হয় । আক্রান্ত গাছ সাধারণতঃ খর্বাকৃতির হয়ে থাকে । কান্ড পেন্সিলের মত চিকন ও শক্ত হয় এবং বাড়তে পারে না । আক্রান্ত গাছের পাতাগুলো সরু, খাট ও খাড়া হয় এবং হালকা সবুজ র্ং ধারণ করে । সাধারণতঃ মুড়ি ইক্ষুতে এ রোগের আক্রমণ বেশি পরিলক্ষিত হয়

 

প্রতিকার :

# আক্রান্ত গাছের ঝড় শিকড় সমেত তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. রোগাক্রান্ত জমিতে মুড়ি ইক্ষুর চাষ বন্ধ করতে হবে

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. রোগমুক্ত আনূমোদিত বীজ ব্যবহার করতে হবে

২. আগাম চাষ করা আগাম চাষ অনুসরণ করা ।


ক্ষতির লক্ষণ:

আখের নিচের পাতায় কালচে লাল থেকে লাল রঙ্গের দাগ দেখা যায়। পরবর্তীতে পাতার নিচে পঁচন শুরু হয়। এবং টান দিলে উঠে আসে। খোলের নিচে ছত্রাকের কাল গুটি গুটি অংশ দেখতে পাওয়া যায় ।

 

প্রতিকার :

# রোগাক্রান্ত গাছ থেকে আক্রান্ত পাতা ও খোল আপসারণ করে মাটিতে পুতে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে ।

# জমিতে পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা নিতে হবে ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. রোগাক্রান্ত জমিতে মুড়ি ইক্ষুর চাষ বন্ধ করতে হবে

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. রোগমুক্ত আনূমোদিত বীজ ব্যবহার করতে হবে

২. আগাম চাষ করা আগাম চাষ অনুসরণ করা ।

৩. আখ কাটার পর পরিত্যক্ত অংশ ঐ জমিতেই পুড়িয়ে ফেলতে হবে ।


লক্ষণ

 

প্রাথমিভাবে গাছের ৩য়-৪র্থ পাতা উপর দিক থেকে শুকাতে থাকে । মাইজ পাতা মরে যায় । মরা মাইজ টানলে সহজে উঠে আসে না । পরবর্তীকালে আক্রান্ত গাছের সব পাতাগুলো ক্রমশঃ হলুদ হয়ে শুকিয়ে যায় ।

 

প্রতিকার

আক্রান্ত গাছ মাটির নীচ থেকে পোকাসহ তুলে ধ্বংস করা ।

* সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সেচ দিয়ে পানি কয়েক দিন ধরে রাখা ।

* পুরনো শুকানো পাতগুলো গাছ থেকে ছড়িয়ে ফেলা আগাম কর্তন অনুসরণ করা ।*

কর্তনের পর মোথাগুলো চাষ দিয়ে কোদাল দিয়ে তুলে পুড়িয়ে ধ্বংস করা ।

আক্রমণ বেশি হলে প্রতি হেক্টর জমিতে কার্বোফুরান ৫ জি ৪০ কেজি হারে প্রয়োগ করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. একই জমিতে পরপর আখ চাষ করবেন না ।

২. অধিক আক্রান্ত এলাকায় মুড়ি আখ চাষ স্থগিত রাখা ।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. গভীরভাবে জমি চাষ করুন

২. ফ্সল চক্র অনুসরণ করা বা একই জমিতে পরপর আখ চাষ না করা ।


লক্ষণ:

কীড়া ও পূর্ণবয়স্ক উভয়ই আখের পাতা খেয়ে ক্ষতি সাধন করে ।

 

ব্যবস্থাপনা:

আলোর ফাঁদের সাহায্যে পূর্নবয়স্ক মথ ধরে মেরে ফেলতে হবে ।

* শতকরা ২৫ ভাগ পাতার ক্ষতি হলে কার্বারিল (ভিটাব্রিল) ২৭ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে প্রয়োগ করতে হবে ।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বিলম্বে আখ চাষ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম আখ চাষ করুন

২. উন্নত জাতের আখ বপন করুন ।


ক্ষতির লক্ষণ:

 

এটি ছত্রাকজনিত রোগ । এ রোগ হলে আখের পাতায় লম্বাটে লালচে বা বাদামী দাগ দেখা দেয়। দাগের মাঝখানটা লালচে বা বাদামী কিন্তু কিনারা খড়ের ন্যায় রঙ্গের হয়।

 

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা অপসারণ করে পুড়িয়ে ফেলা ।

২. কপারঅক্সিক্লোরাইড ১ গ্রাম/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

 

 

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. রোগাক্রান্ত জমি থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. রোগমুক্ত আনূমোদিত বীজ ব্যবহার করতে হবে

২. রোগ প্রতিরোধ জাতের চাষ করতে হবে ।

৩. আখ কাটার পর অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলুন।


এরা ডিগ পাতার ভেতরে ও বাইরে রস চুসে খায়। এর আক্রমন বেশি হলে পাতা হলদে হয়ে যায় এবং পরে মরে যায় । গাছে সাদা পাউডারি আস্তরণ পড়ে।

এর প্রতিকার হল

১. আক্রান্ত গাছের বয়স্ক পাতা অপসারণ করা।

২. জমিতে সেচ দেওয়া

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. মুড়ি আখ চাষ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আশ পোকা মুক্ত বীজ দিয়ে আখ চাষ করুন

২. আখ কাটার পর অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেরুন ।


পিপিলিকার উপস্থিতি এ পোকার উপস্থিতিকে অনেক ক্ষেত্রে জানান দেয় । এরা পাতা ও কান্ডের রস চুসে খায়। এর আক্রমন বেশি হলে শুটি মোল্ড ছক্রাকের আক্রমন ঘটে এবং গাছ মরে যায় । এর প্রতিকার হল ১. হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা ২. আক্রান্ত পাতা অপসারণ করা। ৩. পরভোজী পোকা যেমন : লেডিবার্ডবিটল লালন। ৪. ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ৫. প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকার আক্রমণ হলে এডমেয়ার ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বিলম্বে আখ চাষ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম আখ চাষ করুন

২. উন্নত জাতের আখ বপন করুন ।


ক্ষতির লক্ষণ:

 

আক্রান্ত গাছের পাতাগুলোতে মুড়িয়ে যেতে দেখা যায় । মোড়ানো পাতার ভেতরে থেকে থ্রিপস পাতার রস চুষে খায়। ফলে পাতা শুকিয়ে যায়।

 

প্রতিকার :

# বৃষ্টি হলে এমনিতেই কমে যায়। এছাড়া পোকাসহ আক্রান্ত পাতা অপসারণ করলে আক্রমণের ব্যপকতা কমে যায়।


লক্ষণ

 

পূর্ণ বয়স্ক ও বচ্চা উভয়ই পাতা কান্ড ও ডগার রস চুষে খায় । আক্রান্ত পাতা অসংখ্য সাদা সাদা পোকায় ঢেকে যায়। এদের আক্রমণে সুটি মোল্ড রোগের সৃষ্টি হয়

 

প্রতিকার

 

আক্রান্ত ডগা, পাতা ও ডাল দেখা মাত্রা তা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।

* হাতে নেকড়া পেঁচিয়ে পিসে পোকা মেরে ফেলা

* আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন বা সুমিথিয়ন ২ মিঃলি মারসাল ২০ ইসি ১মিঃলিঃ ডায়ামেথয়েট ৪০ ইসি ২মিঃলিঃ মিশিয়ে স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বিলম্বে আখ চাষ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম আখ চাষ করুন

২. উন্নত জাতের আখ বপন করুন ।


এরা ডিগ পাতার মোড়ানে অংশে খেকে কচি পাতা খায়। এর আক্রমন বেশি হলে পাতায় ছোট ছোট এবরো থেবরো গোল গোল দাগ দেখা যায় ।

এর প্রতিকার

 ১. ক্ষেত থেকে আগাছা ও ঝোপ ঝাড় অপসারণ করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. একই জমিতে বার বার আখ চাষ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আধুনিক ও বালাই সহনশীল জাত চাষ করুন

২. আখ কাটার পর অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলুন ।

 


লক্ষণ:

কীড়া ও পূর্ণবয়স্ক উভয়ই আখেরপাতায় পাশ থেকে খেতে থাকে ।

 

ব্যবস্থাপনা:

*আলোর ফাঁদের সাহায্যে পূর্নবয়স্ক মথ ধরে মেরে ফেলতে হবে ।

* আক্রান্ত ক্ষেত সেচ দিয়ে ডুবিয়ে দিয়ে

*এবং পাখির খাওয়ার জন্য ডালপালা পুঁতে দিয়ে ও এদের সংখ্যা কমানো যায় । শতকরা ২৫ ভাগ পাতার ক্ষতি হলে কার্বারিল (ভিটাব্রিল) ২৭ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫ মিশিয়ে শতক জমির জন্য এই হারে প্রয়োগ করতে হবে ।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বিলম্বে আখ চাষ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম আখ চাষ করুন

২. উন্নত জাতের আখ বপন করুন ।


ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।

২. আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা ।

৩. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ( যেমন: কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।


ক্ষতির লক্ষণ:

এটি ছত্রাকজনিত রোগ । এ রোগ হলে আখের পাতায় মাঝে মাঝে রক্তের ফোটার ন্যায় লাল দাগ দেখা দেয়। দাগের মাঝখানটা কালো হয়।

 

প্রতিকার :

১. নিচের দিকের আক্রান্ত পাতা অপসারণ করে পুড়িয়ে ফেলা ।

২. কপারঅক্সিক্লোরাইড ১ গ্রাম/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. রোগাক্রান্ত জমি থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. রোগমুক্ত আনূমোদিত বীজ ব্যবহার করতে হবে

২. রোগ প্রতিরোধ জাতের চাষ করতে হবে ।


ক্ষতির লক্ষণ:

জমিতে আখ রোপনের পর তা গজায়না বরং পঁচে যায়। গজালেও তা টিকেনা চারা মরে যায়। রোপন করা আখ কাটলে আনারসের মত গন্ধ পাওয়া যায়।

 

ব্যবস্থাপনা :

১. আক্রান্ত গাছ জমি থেকে শিকড় সমেত তুলে ফেলুন।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. রোগাক্রান্ত জমি থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।

২. অতি ভেজা বা অতি শুকনা জমিতে ও ঠান্ডা আবহাওয়ায় আখ রোপন করবেন না।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১.অনুমোদিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতের চাষ করতে হবে ।

২. জমিতে যথাযথ পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করতে হবে ।

৩. বীজ তলায় চারা তৈরী করে চারা মূল জমিতে রোপন করুন।

৪. প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে ব্যাভিস্টিন বা নোইন নামক ছত্রাক নাশক মিশিয়ে রোপনের আগে ৩০ মিনিট ধরে বীজ শোধন করে নিন

 


আখে বোরনের অভাব জনিত লক্ষণ প্রকাশ পায় কচি পাতায় সাধারণভাবে অপরিনত পাতা বিবর্ণ হয় এবং পাতার অগ্রভাগ কুঞ্চিত হয় । কান্ডের শীর্ষস্ত ভাজক কলা মারা যায় । কচি আখের পাতা ভংগুর হতে পারে এবং এটি বিশেষত: পাতার কিনারা বরাবর ঘটে । কচি গাছের কুশির সংখ্যা অস্বাভাবিক হয়ে গুচ্ছ রূপ দারণ করে । পাতা বিকৃত হয় এবং পাতার কিনারার কাছাকাছি জায়গায় স্বচ্ছ ক্ষত বা পানির থলি লক্ষ্য করা যায় ।

এর প্রতিকার হল: মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করুন।


ক্ষতির লক্ষণ:

গাঢ় সবুজ রং এর পাতা মধ্যে হালকা হালকা ফ্যাকাশে বা হলুদে রং এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ছোট ছোট টানা টানা দাগই এ রোগের প্রধান লক্ষণ । তবে ইহা পাতা লম্বলম্বি দিকে সমস্ত পাতা জুড়ে সমভাবে বিস্তৃত থাকে । পুরানো পাতার চেয়ে কচি পাতায় এ রোগের লক্ষণ অধিক পরিস্কার বোঝা যায় এবং কান্ডের উপরিভাগে ছোট ছোট চিঁর ধরে ।

 

প্রতিকার :

১. জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে ।

২. জমিতে সুষম সার ব্যবহার করতে হবে ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. রোগাক্রান্ত জমিতে মুড়ি ইক্ষুর চাষ বন্ধ করতে হবে

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. রোগমুক্ত আনূমোদিত বীজ ব্যবহার করতে হবে

২. রোগ প্রতিরোধ জাতের চাষ করতে হবে ।


ক্ষতির লক্ষণ:

 

পাতার মধ্যশিরায় লাল দাগের সৃষ্টি হয় এ অবস্থায় একে মধ্যশিরার রেড রট বলে । পত্রফলকে ছোপ লাল দাগ দেখা যায় তখন একে ল্যামিনা রেড রট বলা হয় । পরিপক্ক বয়সে আক্রমণে ৩য় বা ৪র্থ পাতা প্রথমে হলুদাভ রং ধারণ করে । পরবর্তীতে অন্যান্য পাতাও হলদে হয়ে শুকিয়ে যায় । আক্রান্ত ইক্ষু লম্বালম্বি চিড়লে কান্ডের অভ্যন্তরে লম্বালম্বি লাল দাগ দেখা যায় এবং দাগের মাঝে মাঝে আড়াআড়িভাবে সাদা দাগ দৃশ্যমান হয় । এই দাগই এ রোগের বৈশিষ্ট্য সুচক চিহ । আক্রান্ত গাছ থেকে এক ধরনের মদের ন্যায় গন্ধ বের হয় । পরবর্তীতে আক্রান্ত আখ অভ্যন্তরে ফাঁপা হয় । লাল পচা রোগা্ক্রান্ত আখ কিছু দিনের মধ্যে মারা যায় ও শুকিয়ে যায় ।

 

প্রতিকার :

# রোগাক্রান্ত গাছ দেখা গেলে তুলে মাটিতে পুতে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে ।

# জমিতে পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা নিতে হবে ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. রোগাক্রান্ত জমিতে মুড়ি ইক্ষুর চাষ বন্ধ করতে হবে

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. রোগমুক্ত আনূমোদিত বীজ ব্যবহার করতে হবে

২. আগাম চাষ করা আগাম চাষ অনুসরণ করা ।

৩. ৫৪ সেঃ তাপমাত্রায় আর্দ্র গরম বাতাসে ৪ ঘন্টাকাল বীজ শোধন করে লাগাতে হবে ।।

৪. আখ কাটার পর পরিত্যক্ত অংশ ঐ জমিতেই পুড়িয়ে ফেলতে হবে ।


লক্ষণ

 

আক্রান্ত গাছের পাতা সাদা হয়ে যা । অনেক সময় অঙ্কুরোদগম এর পরেই কচি পাতা সাদা রং ধারন করে । আক্রান্ত গাছের কুশি হয় বয়স্ক গাছের ডগার মধ্যস্থ পাতাও সাদা হয় । আক্রান্ত গাছের গড়ন খর্বাকৃতির হয় । ঝাড়-বৃদ্ধি খুব কম এবং অধিক কুশি হয় । বয়স্ক ইক্ষুর চোখ গুলো ফুটে যায় এবং সম্পূর্ণ সাদা বা সবুজ সাদা মিশ্রিত পার্শ্ব কুশিবের হয় । ইক্ষুর ফলন মারাত্মক ভাবে কমে যায় ।

 

প্রতিকার

সুস্থ সবল রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে ।

* ৫৪ সেঃ তাপমাত্রায় আর্দ্র গরম বাতাসে বীজ ৪ ঘন্টাকাল শোধণ করে রোপণ করতে হবে ।

* রোগাক্রান্ত ইক্ষুর ঝাড় শিকড়সহ তুলে ফেলতে হবে ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত ইক্ষুর ঝাড় থেকে বীজ ব্যবহার করা যাবে না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম আখ চাষ করুন

২. উন্নত জাতের আখ বপন করুন ।

 


ক্ষতির লক্ষণ:

 

আক্রান্ত গাছের পাতাগুলোতে সাদা সাদা দাগ দেখা যায় ।

 

প্রতিকার :

# আক্রান্ত পাতা অপসারণ করলে আক্রমণের ব্যপকতা কমে যায়।


ক্ষতির লক্ষণ:

এ রোগের আক্রমনে পাতায় , ফলে ও কান্ডে কাল ময়লা জমে। মিলিবাগ বা সাদা মাছির আক্রমন এ রোগ ডেকে আনে।

 

প্রতিকার :

# আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

# টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. একই জমিতে পরপর আখ চাষ করবেন না ।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. গভীরভাবে জমি চাষ করুন

২. আগাম চাষ করা আগাম চাষ অনুসরণ করা ।