পূর্ণবয়স্ক বিটল কলা গাছের গোড়ায় শিকড়ের উপর ডিম পাড়ে । ডিম ফুটে গ্রাব (বাচ্চা) বের হয় এবং ভেতরে ঢুকে যায় । ক্রমেই এটি উপর দিকে উঠে ও কান্ডের মাঝে কুরে কুরে খায় ও আক্রান্ত অংম পচে যায় । আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে ডগার পাতা শুকিয়ে যায় এবং কোন কলা হয় না এবং গাছ মরে যায়

প্রতিকার :

১. বাগান পরিস্কার রাখা।

২. আক্রান্ত গাছ গোড়াসহ তুলে নষ্ট করা ।

৩. আক্রমণ বেশি হলে দানাদার বালাইনা্শক কার্বোফুরান ৫জি বা ডায়াজিনন ৬০ইসি অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করা (১০গ্রাম/গাছ)।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

২. এ পোকা আক্রান্ত ক্ষেত থেকে চারা সংগ্রহ না করা ।

৩. একই বাগানের বার বার কলা চাষ না করা ।

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১. কলা রোপনের আগে গোড়া পরিস্কার করা ।

২. আক্রান্ত জমিতে ২-৩ বছর কলা আবাদ না করে অন্য ফসল আবাদ করা যেতে পারে।

সতর্কতা বার্তা:

 

১. বালাই নাশক প্রয়োগের পূর্বে অবশ্যই বোতলের গায়ের লেখা ভালভাবে পড়ে নিন ।

২. এলোপাথারি বালাই নাশকের ব্যবহার পরিবেশ ও জনস্বাস্থের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।


এ রোগের আক্রমণে কলার উপর ছোট ছোট বাদামী দাগ পড়ে।দাগগুলো পরে বড় হয় এবং কাল শক্ত গুটলির মত ক্ষত সৃষ্টি হয়। দাগের আকার ক্রমশ বড় হয় এবং বাদামি বর্ণ ধারণ করে ।

প্রতিকার :

১. বাগান পরিস্কার রাখা।

২. সুষম সার ব্যবহার করা।

৩. বাগানে এর আগে এ রোগের ঘটনা থাকলে গাছে কার্বেন্ডাজিম (যেমন: এমকোজিম ৫০ ডব্লিউপি) ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।


লক্ষণ :

গাছের পাতায় বড় গোলাকার দাগ পড়ে, ফলন কমে যেতে পারে ।

 

প্রতিকার

 

রোগাক্রান্ত পাতা বা পাতার অংশ কেটে পুড়িয়ে ফেলা । রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে ম্যানকোজেব ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১.কলা সংগ্রহের পর পর পাতা পুড়িয়ে ফেলা ।

২. সঠিক দূরত্বে গাছ লাগাতে হবে যেন সব গাছ পর্যাপ্ত আলো বাতাস পায় ।

 


লক্ষণ

পাতায় হলুদাভ সবুজদাগের মিশ্রণ থাকে, ফলন ব্যাপকভাবে কমে যায় ।

 

প্রতিকার :

১. আকান্ত গাছ দেখামাত্র গোড়াসহ তুলে পুড়ে বা পুতে ফেলা।

২. বাগানের আগাছা দমন করা।

৩. ভাইরাসের বাহক পোকা (জাবপোকাও থ্রিপস) দমনের জন্য অনুমোদিত বালাইনাশক (এসাটাফ, টিডো, এডমায়ার) প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি হারে মিশিয়ে ব্যবহার করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১.সুস্ত সবল চারা রোপন করা।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার করা।

 


লক্ষণ :

এ রোগের কারণে কলা গাছের বৃদ্ধি হ্রাস পায় এবং পাতা গুচ্ছাকারে বের হয়। পাতা আকরে খাটো, অপ্রস্থ এবং উপরের দিকে খাড়া থাকে। কচি পাতার কিনারা উপরের দিকে বাকানো এবং হলুদ রংয়ের হয়। পাতার শিরার মধ্যে ঘন সবুজ দাগ পড়ে।

 

প্রতিকার :

১. আকান্ত গাছ দেখামাত্র গোড়াসহ তুলে পুড়ে বা পুতে ফেলা।

২. ভাইরাসের বাহক পোকা (জাবপোকাও থ্রিপস) দমনের জন্য অনুমোদিত বালাইনাশক (এসাটাফ, টিডো, এডমায়ার) প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি হারে মিশিয়ে ব্যবহার করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১.সুস্ত সবল চারা রোপন করা।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার করা।


এর আক্রমণে পাতার ও ফলের উপর সরু লম্বা দাগ পড়ে। এর আক্রমণে ফলের খাদ্যমান ও উৎপাদন তেমন ব্যহত হয়না কিন্তু বাজার মূল্য কিছুটা কমে যায়।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা কেটে নষ্ট করা বা পুড়ে ফেলা।

২. বাগানে আঠাযুক্ত বোর্ড স্থাপন করা।

৩. বাগানে আলোর ফাঁদ স্থাপন করা।

৪. আক্রান্ত গাছে ৫ গ্রাম সাবানের গুড়া প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন পাতার নিচ দিয়ে স্প্রে করা।

৫. ইমিডাক্লোরোপ্রিড ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।


লক্ষণ :

এ রোগে প্রথমে বয়স্ক পাতার কিনারা হলুদ হয় এবং পরে কচি পাতাও হলুদ রং ধারণ করে। পরবর্তিতে পাতা বোটার কাছে ভেঙ্গে নিচের দিকে ঝুলে পড়ে এবং গাছ মারা যায়। কোন কোন সময় গাছ লম্বা লম্বিভাবে ফেটেও যায়। ভিতরের লক্ষণ- ভাসকুলার বান্ডল হলদে বাদামী রং হয়।

 

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত গাছগোড়া সহ উঠিয়ে পুড়ে ফেলা।

২. ফাঁকা স্থানে নতুন রোগমুক্ত চারা রোপন করা।

৩. বাগান পরিস্কার রাখা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করবেন না

২. আকান্ত জমিতে অন্তত ৪ বছর কলা চাষ করবেন না ।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. চারা লাগানোর পূর্বে গর্তে ১% ফরমালিন ও ৫০ ভাগ পানি দ্বারা ভিজিয়ে দেয়া এবং ১০-১২ দিন পর চারা রোপন করা।

২. শস্য পর্যায় অনুসরন করা।


এ রোগের আক্রমণে পুরানা পাতার উপর হলুদ দাগ পড়ে। দাগের আকার ক্রমশ বড় হয় এবং বাদামি বর্ণ ধারণ করে ।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা কেটে নষ্ট করা বা পুড়ে ফেলা।

২. সুষম সার ব্যবহার করা।

৩. আক্রান্ত গাছে কার্বেন্ডাজিম ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর স্প্রে করা।