এটি কুলের জন্য তেমন ক্ষতিকর না হলেও কখনও কখনও শিকড় ও কান্ড খেয়ে ক্ষতি করে এবং গাছ মরে যায় ।

এর প্রতিকার হল:

রানীপোকাসহ উঁইপোকার ঢিবি ধ্বংস করা ।

* খাদ্য ফাঁদ ব্যবহার করা ( মাটির হাড়িতে পাট কাঠি, ধৈঞ্চা রেখে জমিতে পুতে রেখে পরে তুলে উঁইপোকাগুলো মেরে ফেলা)

* বাগানে সেচ দিয়ে কয়েকদিন পানি ধরে রাখা ।


ক্ষতির লক্ষণ

এ রোগের আক্রমণে ফলে কালচে দাগ পড়ে । ফল খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফল শুকিয়ে যায় কেখনও কখনও অনেক দাগ একত্রিত হয়ে ফল পঁচে যায়। ।

 

প্রতিকার :

# আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।

# টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।

 


ক্ষতির লক্ষণ

তুলার মত কুশন আকৃতির এ পোকা গাছের পাতা, পাতার বোঁটা, কচি ডগা এবং ফল হতে রস চুষে খেয়ে গাছের ক্ষতি করে । এরা দুভাবে ক্ষতি করে থাকে । প্রথমতঃ রস চুষে খাওয়ার ফলে গাছের জীবনীশক্তি হ্রাস পায় । দ্বিতীয়তঃ রস চুষে খাওয়ার সময় এরা গাছের রসের মধ্যে এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ অন্তঃক্ষেপ করে । ফলে আক্রান্ত পাতা, ডগা ও ফলের উপর হলদে দাগ দেখা যায় । মারাত্মকভাবে আক্রান্ত গাছের সমস্ত পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে

 

সমন্বিত ব্যবস্থাপনা

আক্রমণের মাত্রা মারাত্মক হলে সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে আক্রান্ত গাছে ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা ফেনট্রোথিয়ন ৫০ ইসি অথবা ক্লোরপইরিফস ২০ ইসি এর যে কোন একটি ১ মিলিলিটর পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায় ।


ক্ষতির লক্ষণ

ছোট আকৃতির এ পোকা গাছের পাতা, পাতার বোঁটা, কচি ডগা এবং ফল হতে রস চুষে খেয়ে গাছের ক্ষতি করে । এরা দুভাবে ক্ষতি করে থাকে । প্রথমতঃ রস চুষে খাওয়ার ফলে গাছের জীবনীশক্তি হ্রাস পায় । দ্বিতীয়তঃ রস চুষে খাওয়ার সময় এরা গাছের রসের মধ্যে এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ অন্তঃক্ষেপ করে । ফলে আক্রান্ত পাতা, ডগা ও ফলের উপর হলদে দাগ দেখা যায় । মারাত্মকভাবে আক্রান্ত গাছের সমস্ত পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে

 

সমন্বিত ব্যবস্থাপনা

 

আক্রমণের মাত্রা মারাত্মক হলে সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে আক্রান্ত গাছে ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা ফেনট্রোথিয়ন ৫০ ইসি অথবা ক্লোরপইরিফস ২০ ইসি এর যে কোন একটি ১ মিলিলিটর পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায় ।


ক্ষতির লক্ষণ

পরগাছা গাছের গায়ে জড়িয়ে থেকে গাছের পুষ্টিতে ভাগ বসায় এবং বৃদ্ধি ব্যহত করে গাছের ক্ষতি করে ।

প্রতিকার :

১. ফুল আসার আগেই পরগাছা গাছ থেকে মূল/ শিকড়সহ অপসারণ করে ধ্বংস করা।

২. ফল সংগ্রহের পর গাছ ভালভাবে ছাটাই করে পরগাছা অপসারণ করুন।

 


ক্ষতির লক্ষণ

এ রোগের আক্রমনে প্রথমে পাতার নিচে সাদা পাউডারের মত আবরন দেখা যায় যা পরবর্তী সময়ে কাল বা বাদামী রং ধারন করে। আস্তে আস্তে এ রোগ ফুল ও ফলে বিস্তার লাভ করে। এতে ফুল এবং ফল বাদামী রং ধারন করে এবং ঝড়ে পড়ে। ফলের পরিপক্ক অবস্থায় এ রোগের আক্রমন হলে ফল ফেটে যায়। ।

 

প্রতিকার :

# আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

# গাছে ফুল আসার সময় প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম সালফোলাক বা কুমুলাস মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পরপর ২-৩ বার পাতার নীচের দিকে ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।।


ক্ষতির লক্ষণ 

এরা পাতামুড়িয়ে পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। বড় গাছের জন্য বেশি ক্ষতিকর না হলেও ছোট গাছকে অনেক সময় পত্রশুন্য করে ফেলতে পারে।

প্রতিকার :

১. আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

২. গাছের নিচে পড়ে থাকা পাতা ও আবর্জনা অপসারণ করা।

৩. রাসায়নিক কীটনাশক সুপারিশকৃত নয় তবে আক্রমণ বেশী হলে প্রতিলিটার পানিতে সুমিথিয়ন 2 মিলি মিশিয়ে স্প্রে করা।

 


ক্ষতির লক্ষণ

পাতার সবুজ অংশ খেয়ে খেয়ে পাতায় সুড়ঙ্গ করে এ পোকা ক্ষতি করে থাকে । পাতায় আঁকা-বাঁকা দাগের সৃষ্টি করে । আক্রান্ত পাতা কুঁকড়ে যায়।

 

সমন্বিত ব্যবস্থাপনা

প্রতি লিটার পানিতে ১২০ মিলিলিটার নিমের খৈলের নির্যাস বা নিম তেল মিশ্রিত করে আক্রান্ত গাছে ভাল ভাবে পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করে এই পোকা দমন করা যায়।

১০-২০লিটার পানিতে ১ কেজি নিমের খৈল মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করলে এ পোকা দমন হয় ।

তামাক নির্যাস ও সাবান গোলা পানি স্প্রে করে দিলেও এ পোকা দমন হয় ।

আক্রমণ বেশি হলে এ পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা ফেনথোয়েট ৫০ ইসি ২ মিলিলিটার হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।


এ পোকা গাছের কচি পাতা কেটে কেটে খায় । গাছের আগা / ডালের কচি পাতা খাওয়ার ফলে গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়।

 

এর প্রতিকার হল:

 

১. গাছের নিচের পড়ে থাকা পাতা অপসারণ করা

২. গাছের গোড়ায় মাটি থেকে এক ফুট উপরে আঠালে পদার্থ দ্বারা বেস্টনি তৈরি করা যাতে পোকা গাছ বেয়ে উঠতে না পারে।

৩. নতুন পাতা বের হবার পর কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ভিটাব্রিল বা সেভিন ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

মাঝে মাঝে বাগানের মাটি চাষ দিয়ে দিন। এতে মাটিতে জীবন চক্রের কোন স্তর বসবাস করে এমন পোকা মারা যাবে।

১. ফল সংগ্রহের পর গাছ ভালভাবে ছাটাই করে দিন।


লক্ষণ:

এ পোকা ফলের মাংসল অংশ খেয়ে ভিতরে ঢোকে এবং বীজকে আক্রমণ করে। এতে ফল নষ্ট হয় এবং খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায় ।

 

প্রতিকার:

বাগান নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ।

* আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা ।

* আক্রমণ বেশি হলে ২ মিলি লেবাসিড বা সুমিথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ইসি সবিক্রন বা কট ১০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।


পাতার উল্টো পিঠের সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা পাতলা পর্দার মত করে ফেলে।এরা পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে।

 

প্রতিকার

১. পাতায় ডিমের গাদা দেখলে তা তুলে ধ্বংস করতে হবে।

২. ডিম আথবা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারতে হবে।

৩. ডায়াজিনন বা সাইপারমেথ্রিন গুপের কীটনাশক যেমন: রাইসন ৬০ ইসি বা রিপকর্ড ১০ ইসি বা সিমবুশ ১০ ইসি প্রতি লিটার পানির সাথে ০.৫ মিঃ লিঃ বা প্রতি ১২ লিটার পানির সাথে ৬ মিঃ লিঃ ঔষধ মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।


ক্ষতির লক্ষণ

মাকড়ের আক্রমণে পাতাগুলো নিচের দিকে কোকড়ানো হয় । পাতার নিচে বাদামী হালকা মখমলের মত আবরণ দেখা যায় ।

 

প্রতিকার:

১. আক্রান্ত পাতাগুলি সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলা ।

২. জৈব কীটনাশক নিমবিসিডিন (০.৪%)স্প্রে করা ।

৩. আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম থিওভিট বা রনভিট বা ২ মিলি ডেনিটল মিশিয়ে স্প্রে করা ।


এরা পাতা, ফল ও ডালের রস চুষে নেয় ফলে গাছ দুর্বল হয়। পোকার আক্রমণে পাতা, ফল ও ডালে সাদা সাদা তুলার মত দেখা যায়। অনেক সময় পিপড়া দেখা যায়। এর আক্রমণে অনেক সময় পাতা ঝরে যায় এবং ডাল মরে যায়।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

২. গাছের গোড়ার মাটি থেকে 15-20 সেমি উপরে স্বচ্ছ পলিথিন দ্বারা মুড়ে দিতে হবে যাতে মিলিমাগ গাছে উঠতে না পারে।

৩. সম্ভব হলে হাত দিয়ে ডিম ব বাচ্চার গাদা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।

৪. জৈব বালাইনাশক নিমবিসিডিন (0.4%) ব্যবহার করা।

৫. আক্রমণ বেশী হলে প্রতিলিটার পানিতে 2 মিলি রগর টাফগর, সানগর বা সুমিথিয়ন 2 মিলি মিপসিন বা সপসিন মিশিয়ে স্প্রে করা।

 


ক্ষতির লক্ষণ

এ রোগের আক্রমনে পাতায় ও ফলে লালচে মরিচার মত একধরনের উচু দাগ দেখা যায়। একধরণের সবুজ শৈবালের আক্রমণে এ রোগ হয়।

 

প্রতিকার :

# আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

# সুষম সার প্রয়োগ ও পরিচর্যার মাধ্যমে গাছের বৃদ্ধি ঠিক রাখা ।

# কপার বা কুপ্রাভিট ১০ লি. পানিতে ২০ গ্রাম মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।

 


ক্ষতির লক্ষণ

এ রোগের আক্রমনে পাতায় , ফলে ও কান্ডে কাল ময়লা জমে। মিলিবাগ বা খোসা পোকার আক্রমন এ রোগ ডেকে আনে।

 

প্রতিকার :

# আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

# টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।