ক্ষতির লক্ষণ
ছোট আকৃতির এ পোকা গাছের পাতা, পাতার বোঁটা,
কচি ডগা এবং ফল হতে রস চুষে খেয়ে গাছের ক্ষতি করে । এরা দু’ভাবে ক্ষতি করে থাকে । প্রথমতঃ রস চুষে খাওয়ার ফলে গাছের জীবনীশক্তি হ্রাস
পায় । দ্বিতীয়তঃ রস চুষে খাওয়ার সময় এরা গাছের রসের মধ্যে এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ
অন্তঃক্ষেপ করে । ফলে আক্রান্ত পাতা, ডগা ও ফলের উপর হলদে দাগ দেখা যায় । মারাত্মকভাবে
আক্রান্ত গাছের সমস্ত পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে
সমন্বিত ব্যবস্থাপনা
• আক্রমণের মাত্রা
মারাত্মক হলে সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে আক্রান্ত গাছে ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা ফেনট্রোথিয়ন
৫০ ইসি অথবা ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি এর যে কোন একটি ১ মিলিলিটর পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে
এ পোকা দমন করা যায় ।
এ পোকা গাছের পাতা ও আগার রস খেয়ে ফেলে এবং
এক ধরনের মিষ্টি রস নিঃসরণ করে।এর আক্রমণ বেশি হলে শুটি মোল্ড ছত্রাকের আক্রমণ ঘটে
এবং পাতায় কালো আবরণ দেখা যায় ।
এর প্রতিকার হল:
১. অল্প আক্রমনের ক্ষেত্রে হাত দিয়ে পিশে
পোকা মেরে ফেলা
২. আক্রান্ত পাতা ও ডাল অপসারণ করা।
৩. পরভোজী পোকা যেমন : লেডিবার্ডবিটল লালন।
৪. ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা
৫. প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকার আক্রমণ হলে
এডমেয়ার ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
এ রোগে আক্রান্ত হলে পাতায় প্রথমে হলুদ দাগ
পড়ে পরে তা বাদামী হয় । পাতা শুকিয়ে যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. আক্রান্ত ডাল বা পাতা অপসারণ করা ২. ডাইথেন
এম ৪৫ বা রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
লক্ষণ:
পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা মাকড় কচি পাতায় আক্রমণ
করে ও পাতার রস চুষে খায়। এর ফলে পাতায় বাদামী রংয়ের মখমলের মত ইরিনিয়াম নামক এক ধরনের
আবরণ তৈরী হয়।পাতা ভিতরের দিকে কুঁকড়িয়ে যায় শেষে আক্রান্ত পাতা শুকাতে থাকে।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে মাটিতে পুতে
ফেলা
২. জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেমন: নিমবিসিডিন
(0.4%) হারে ব্যবহার করা।
৩. মধ্য ভাদ্র হতে কার্তিক মাস এবং মাঘের
শেষ হতে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত গাছে ২-৩ বার অনুমোদিত মাকড়নাশক যেমন: ওমাইট ২ মিলি অথবা
থিওভিট বা কুমুলাস বা রনভিট ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
এ পোকা ফল ছিদ্র করে ফলের ভিতরে ঢুকে ফলের
মাংসল অংশ খেতে থাকে এবং ফল খাবার অনুপযোগী হয়ে যায় ।
এর প্রতিকার হল:
১. নষ্ট ফল বাগান থেকে অপসারণ করা।
২. টাফগর ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে
শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন
২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
এ রোগের আক্রমণে পাতায় , ফলে ও কান্ডে কাল
ময়লা জমে। মিলিবাগ বা সাদা মাছির আক্রমণ এ রোগ ডেকে আনে।
প্রতিকার :
# আক্রান্ত পাতা ও ডাল ছাটাই করে ধ্বংস করা।
# মিলিবাগ বা সাদা মাছির আক্রমণ এ রোগ ডেকে
আনে তাই এদের দমনের জন্য এডমায়ার ১ মি.লি / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
# টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে
১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।
ক্ষতির লক্ষণ
এ রোগের আক্রমনে ফলে ছোট বা মাঝারি আকারের
কাল দাগ পড়ে ।
প্রতিকার :
গাছের পাতা শুকনো থাকা আবস্থায় বাগানের পরিচর্যা
করা ও বাগান পরিচ্ছন্ন রাখা।
# টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে
১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।