এ রোগ দেখা দিলে পুরো গাছ বা গাছের ডাল আগা থেকে শুরু করে ক্রমশ নিচের দিকে মরে যেতে দেখা যায় । এ রোগটি ছত্রাকের আক্রমণে হয়।

এর প্রতিকার হল:

আক্রান্ত গাছে সুষম মাত্রায় জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা এবং নিয়মিত সেচ প্রদান করা।

১. সময়মত প্রুনিং করে, আক্রান্ত অংশ অপসারণ করে গাছ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা

২. কিছুটা সুস্থ অংশসহ অক্রান্ত অংশ কেটে পুরে ফেলা এবং কর্তিত অংশে বোর্দো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইট জাতীয় ছত্রাক নাশক যেমন- কুপ্রাভিট ৭ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

৩. নতুন পাতা বের হলে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ব্যাভিস্টিন ডিএফ বা এমকোজিম ৫০ ডব্লিউপি বা আরবা ৫০ ডব্লিউপি বা নোইন ৫০ ডব্লিউপি বা গিলজিম ৫০ ডব্লিউপি ১ গ্রাম / লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করা ।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন

২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন

৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।


ক্ষতির লক্ষণ

এ পোকা কীড়া অবস্থায় বেশি ক্ষতি করে থাকে । এই পোকার কীড়া রাতের বেলা করমচার গাছের কচি পাতায় আঁকা-বাঁকা দাগের সৃষ্টি করে । আক্রান্ত পাতা কুঁকড়ে যায় ।

 

সমন্বিত ব্যবস্থাপনা

 

* শীতের সময় বিশেষ করে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আক্রান্ত পাতা ছাঁটাই করে পুড়িয়ে দিতে হয় ।

প্রতি লিটার পানিতে ১২০ মিলিলিটার নিমের খৈলের নির্যাস বা নিম তেল মিশ্রিত করে আক্রান্ত গাছে ভাল ভাবে পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করে এই পোকা দমন করা যায় ।

১০-২০লিটার পানিতে ১ কেজি নিমের খৈল মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করলে এ পোকা দমন হয় ।

তামাক নির্যাস ও সাবান গোলা পানি স্প্রে করে দিলেও এ পোকা দমন হয় ।

আক্রমণ বেশি হলে এ পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: রাইসন ৬০ ইসি বা ফেনথোয়েট গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ভাইসান ৫০ ইসি বা সিডিয়াল ৫০ এল ২ মিলিলিটার হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে অথবা উল্লেখিত গ্রুপের অন্য নামে প্রাপ্য কীটনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে ।

ক্ষতির লক্ষণ

এ রোগের আক্রমণে পাতায় , ফলে ও কান্ডে কাল ময়লা জমে। মিলিবাগ বা সাদা স্কেল পোকার আক্রমণ এ রোগ ডেকে আনে।

 

প্রতিকার :

# আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

# টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।


ক্ষতির লক্ষণ

ছোট আকৃতির এ পোকা করমচার গাছের পাতা, পাতার বোঁটা, কচি ডগা এবং ফল হতে রস চুষে খেয়ে গাছের ক্ষতি করে । এরা দুভাবে ক্ষতি করে থাকে । প্রথমতঃ রস চুষে খাওয়ার ফলে গাছের জীবনীশক্তি হ্রাস পায় । দ্বিতীয়তঃ রস চুষে খাওয়ার সময় এরা গাছের রসের মধ্যে এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ অন্তঃক্ষেপ করে । ফলে আক্রান্ত পাতা, ডগা ও ফলের উপর হলদে দাগ দেখা যায় । মারাত্মকভাবে আক্রান্ত গাছের সমস্ত পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে

 

সমন্বিত ব্যবস্থাপনা

সম্ভব হলে পোকাসহ আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা

হাত দিয়ে পিশে বা ব্রাশ দিয়ে ঘষে পোকা নিচে ফেলে মেরে ফেলা

আক্রমণের মাত্রা মারাত্মক হলে সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে আক্রান্ত গাছে ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা ফেনট্রোথিয়ন ৫০ ইসি অথবা ক্লোরপইরিফস ২০ ইসি এর যে কোন একটি ১ মিলি/ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায় ।