লক্ষণ :
এ পোকার আক্রমণে শীর্ষ পাতা শুকিয়ে য়ায়। ত্রিভুজের
মত নকশা করে পাতা কাটে । পূর্ণ বয়স্ক পোকা গাছের মাথায় আক্রমণ করে ও কান্ড ছিদ্র করে
ঢুকে ভিতরের কোষ কলা খেতে থাকে।
প্রতিকার :
# গোবরা বা কমপোষ্টের পিট গাছের নিচ থেকে
সরানো।
# ছিদ্রে শিক ঢুকিয়ে খুচিয়ে পোকা মারা।
# আক্রান্ত গাছের নিচে মাটির চাড়িতে পচা খৈইল
পানিতে গুলে বা ভেরেন্ডা বীজের গুড়া পানিতে জাল দিয়ে দ্রবণ তৈরী করে দিলে পোকা তার
ভিতরে মারা যায় ।
# প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম সেভিন বা ২
মিলি সুমিথিয়ন মিশিয়ে স্প্রে করা।
শুটি মোল্ড রোগ হলে অনেক সময় পিপীলিকার উপস্থিতি
দেখা যায় । হোপার বা মিলিবাগ এর আক্রমন বেশি হলে শুটি মোল্ড ছক্রাকের আক্রমন ঘটে, পাতায়
কাল ময়লা জমেএবং এক পর্যায়ে গাছের ডালের ডগা মরে যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. আক্রান্ত ডাল ও পাতা কেটে ফেলা
২. সময়মত প্রুনিং করে গাছ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
রাখা
৩. সাইপারমেথ্রিন বা ইমিডাক্লোরোপ্রিড ১ মি.লি.
/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে হোপার বা মিলিবাগ দমন করা
৪. সালফার ছত্রাক নাশক ৪ গ্রাম / লি. হারে
পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি
কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন
৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
ক্ষতির লক্ষণ
ছোট আকৃতির এ পোকা গাছের কচি পাতা হতে রস
চুষে খেয়ে গাছের ক্ষতি করে । এরা দু’ভাবে ক্ষতি করে থাকে । প্রথমতঃ রস চুষে খাওয়ার ফলে গাছের জীবনীশক্তি হ্রাস
পায় । দ্বিতীয়তঃ রস চুষে খাওয়ার সময় এরা গাছের রসের মধ্যে এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ
অন্তঃক্ষেপ করে । ফলে আক্রান্ত পাতা, ডগা ও ফলের উপর হলদে দাগ দেখা যায় । মারাত্মকভাবে
আক্রান্ত গাছের সমস্ত পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে
সমন্বিত ব্যবস্থাপনা
•সম্ভব হলে পোকাসহ
আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা
• হাত দিয়ে পিশে
বা ব্রাশ দিয়ে ঘষে পোকা নিচে ফেলে মেরে ফেলা
• আক্রমণের মাত্রা
মারাত্মক হলে সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে আক্রান্ত গাছে ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা ফেনট্রোথিয়ন
৫০ ইসি অথবা ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি এর যে কোন একটি ১ মিলিলিটর পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে
এ পোকা দমন করা যায় ।