ক্ষতির লক্ষণ

 

পাতার ছোট সুড়ঙ্গকারি পোকা কীড়া অবস্থায় বেশি ক্ষতি করে থাকে । এই পোকার কীড়া রাতের বেলা গাছের কচি পাতায় গর্ত খুঁড়ে আঁকা-বাঁকা দাগের সৃষ্টি করে । আক্রান্ত পাতা কুঁকড়ে যায় ।

 

সমন্বিত ব্যবস্থাপনা

 

* শীতের সময় বিশেষ করে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আক্রান্ত পাতা ছাঁটাই করে পুড়িয়ে দিতে হয় ।

প্রতি লিটার পানিতে ১২০ মিলিলিটার নিমের খৈলের নির্যাস বা নিম তেল মিশ্রিত করে আক্রান্ত গাছে ভাল ভাবে পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করে এই পোকা দমন করা যায় ।

১০-২০লিটার পানিতে ১ কেজী নিমের খৈল মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করলে এ পোকা দমন হয় ।

তামাক নির্যাস ও সাবান গোলা পানি স্প্রে করে দিলেও এ পোকা দমন হয় ।

আক্রমণ বেশি হলে এ পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা ফেনথোয়েট ৫০ ইসি ২ মিলিলিটার হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন

২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন

৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।


সাদা সাদা অসংখ্য পোকা একসাথে থাকে কখনও কখনও বিচ্ছিন্ন ভাবেও থাকে।এরা রস চুষে খায় এবং এক ধরনের আঠালো মিষ্টি রস নিঃস্বরণ করে যা খাবার জন্য পিপিলিকার আগমণ ঘটে। এর আক্রমণ বেশি হলে শুটি মোল্ড ছক্রাকের আক্রমণ ঘটে এবং আক্রান্ত অংশ এমনকি পুরো গাছ মরে যায় ।

প্রতিকার হল:

১. প্রাথমিক অবস্থায় হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা

২. ব্রাশ দিয়ে ঘসে পোকা মাটিতে ফেলে মেরে ফেলা ।

৩. ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন : ইমিটাফ ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 ফেব্রুয়ারি- মার্চ মাসের দিকে গাছের গোড়ায় আঠাযুক্ত ফিতা বা প্লাস্টিকের মসৃণ ফিতা পেচিয়ে বা ফানেল স্থাপন করুন তাতে পোকা গাছ বেয়ে উপরে উঠতে পারবে না।

১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন

২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন

৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।


ক্ষতির লক্ষণ

 

এ রোগের আক্রমণে পাতায় ও ফলে লালচে মরিচার মত একধরনের উচু দাগ দেখা যায়। একধরণের শৈবালের আক্রমণে এ রোগ হয়।

 

প্রতিকার :

# আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

# গাছের নিচে ঝরে পড়া পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।

# সুষম সার প্রয়োগ ও পরিচর্যার মাধ্যমে গাছের বৃদ্ধি ঠিক রাখা ।

# বোর্দ্দো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইড বা কপার হাইড্রোক্সাইড গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: সানভিট বা কুপ্রাভিট ১০ লি. পানিতে ২০ গ্রাম মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।

 

 

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১.ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন

২. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন

৩. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।