লক্ষণ:
আক্রান্ত গাছের মূল পাতা ও ফুলের দন্ড মাটির
কাছাকাছি স্থানে পঁচে যায়।আক্রান্ত স্থানে ছত্রাকের তুলারমত অংশ দেখা যায় । গাছ নেতিয়ে
পড়ে ও মারা যায়।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত গাছের অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা
।
২. কপার অক্সিক্লোরাইড ২ গ্রাম/প্রতি লিটার
পানি মিশিয়ে স্প্রে করা ।
এক ধরনের অজ্ঞাত পোকা দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত দিয়ে
ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে ফুলের পাপড়ী ও বৃতি পঁচিয়ে ফুল নষ্ট করে ফেলে ।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত গাছের অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা
।
২. কপার অক্সিক্লোরাইড ২ গ্রাম/প্রতি লিটার
পানি মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না :
১. বাগানে কাজ করার সময় গাছে কোনরকম ক্ষত
না করা।
পরবর্তীতে যা যা করবেন :
১. বাগান পরিস্কার রাখুন
২. সুষম সার ব্যবহার করা
এ রোগ হলো পাতার মধ্যশিরাসহ পাতায় লম্বাটে
দাগ পড়ে এবং পাতা পঁচে যায় । এক পর্যায়ে গাছ মারা যায়। একধরণের কৃমি এ রোগের জন্য দায়ী
এর প্রতিকার হল
১. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ যেমন: কন্দ
লাগানোর আগে হাতে যতটুকু সহ্য হয় তত তাপমাত্রায় পানি গরম করে তাতে কন্দগুলো ১০ মিনিট
যাবত শোধন করা।
ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে
পাতায় বৈশিষ্টপূর্ণ দাগ দেখা যায়। একাধিক দাগ একত্রিত হয়ে পাতা নষ্ট হয়ে যায় ।
প্রতিকার :
*আক্রান্ত পাতা ও ডগা অপসারণ করে মাটিতে পুতে
ফেলা বা পুড়ে ফেলা।
• কার্বেন্ডাজিম
গ্রুপের ছত্রাক নাশক (যেমন: ব্যাভিস্টিন/ নোইন ইত্যাদি ) ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে
মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
পাতায় দাগ দেখা যায়। আস্তে আস্তে পাতা পুড়ে
যায় এবং ছত্রাকের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় ।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত গাছের অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা
।
২. কার্বেন্ডাজিম বা মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক
যেমন: ডাইথেন এম-৪৫ বা নোইন ২ গ্রাম/ প্রতি লিটার হারে পানি মিশিয়ে স্প্রে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন :
১. বাগান পরিস্কার রাখুন
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ:
আক্রান্ত গাছের পাতা ও ফুলে হলদে বাদামি দাগ
দেখা যায়।থ্রিপসের আক্রমণে সৃষ্ট ক্ষত থেকে এ রোগ হয়ে থাকে।
প্রতিকার :
১. থ্রিপস দমনের জন্য হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা
।
২. কপার অক্সিক্লোরাইড ২ গ্রাম/প্রতি লিটার
পানি মিশিয়ে স্প্রে করা ।
সাদা সাদা অসংখ্য পোকা একসাথে থাকে কখনও কখনও
বিচ্ছিন্ন ভাবেও থাকে।এরা এক ধরনের আঠালো মিষ্টি রস নিঃস্বরণ করে যা খাবার জন্য পিপিলিকার
আগমন ঘটে। এর আক্রমণ বেশি হলে শুটি মোল্ড ছত্রাকের আগমন ঘটে এবং আক্রান্ত অংশ এমনকি
পুরো গাছ মরে যায় ।
এর প্রতিকার হল
১. প্রাথমিক অবস্থায় হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে
ফেলা
২. ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন:
টিডো বা এডমায়ার ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই
ব্যবস্থা নিন