লক্ষণ

পূর্ণ বয়স্ক বিটল ও গ্রাব উভয়েই পাতা খায় । আক্রান্ত পাতা ঝাঁঝরা করে, পরে পাতা শুকিয়ে যায় এবং ঝরে পাড়ে ।

 

প্রতিকার

ক্ষেত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ।

গাছে ছাই ছিটানো ।(পরিমান মত শুকনা ছাই)

পরজীবী বোলতা সংরক্ষণ করা ।

ডিম ও কীড়া নষ্ট করা এবং পোকা সংগ্রহ করে মেরে ফেলা ।

শতকরা ১০ ভাগ পাতা পোকা দ্বারা আক্রান্ত হলে প্রতি লিটার পানিতে ডেনিটল/ট্রিবন-১ মিঃলিঃ বা সুমিথিয়ন-২ মিঃলিঃ বা সেভিন ২ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করা ।


ক্ষুদ্র মাকড় পাতার উল্টো দিকে বসে রস চুসে খাওয়ার কারণে পাতার আকৃতি নষ্ট হয় এবং বিবর্ণ হয়ে কুচঁকে যায় ।আক্রান্ত স্থান প্রথমে বিন্দু বিন্দু হলুদ ও পরে সাদা হয়ে যায়। গাছের বৃদ্ধি কমে যায় ।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।

২. পানি স্প্রে করে গাছকে ভেজা রাখা ।

৩. সালফার গ্রুপের মাকড়নাশক ( যেমন: কুমুলাস ) ৪ গ্রাম বা মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে পাতার নিচের পিঠ সহ স্প্রে করা।


এ ফড়িং পাতার শিরার মাঝখানের অংশ খেয়ে ফেলে। তাই সালোকসংশ্লেশনের হার কমে যায়।

প্রতিকার :

এটি সাধারণত তেমন ক্ষতিকর নয়, তবে ব্যাপক আক্রমণ হলে-

* আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা ।

* শতকরা ২৫ ভাগ পাতা ক্ষতিগ্রস্থ হলে অনুমোদিত কীটনাশক যেমন- ডায়াজিনন বা কার্বোসালফান ২ মিলি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

পিপিলিকার উপস্থিতি জাব পোকার উপস্থিতিকে অনেক ক্ষেত্রে জানান দেয়। এ পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে। এর আক্রমণ বেশি হলে শুটি মোল্ড ছত্রাকের আক্রমন ঘটে এবং গাছ মরে যায় ।

 

এর প্রতিকার হল

১. হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা

২. আক্রান্ত পাতা ও ডগা অপসারণ করা।

৩. পরভোজী পোকা যেমন : লেডিবার্ডবিটল লালন।

৪. ডিটারজেন্ট (৪ গ্রাম ১ লিটার) পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা

৫. এডমেয়ার ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

 


লক্ষণ

পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে । ফুল ও কচি ফলে আক্রমণের কারণে ফলে দাগ হয় ।

 

প্রতিকার

১. হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।

২. তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস মিশ্রিত প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।

৩. এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

২. পিয়াজ, রসুন ও দানাদার ফসলের কাছাকাছি বরবটির চাষ না করা।

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা


কচি পাতা হঠাৎ করে নেতিয়ে পড়ে । পরবর্তীতে গাছ মারা যায়।

প্রতিকার :

* আক্রান্ত গাছ সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।

বপনের পূর্বে বীজ শোধন করা (ভিটাভেক্স-২.৫ গ্রাম বা ব্যাভিষ্টিন- ২ গ্রাম বা ট্রাইকোডারমা বা ভিড়িডি (৩-৪ গ্রাম/ কেজী বীজ) দ্বারা শোধন করা ।

চারা গজানোর পর অতিরক্ত সেচ না দেওয়া ।

এ রোগের আক্রমণ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কুপ্রাভিট অথবা ৪ গ্রাম চ্যামপিয়ন মিশিয়ে স্প্রে করা ।

মাদার মাটি শোধন করা (ফরমালিন দ্বারা)

মাদার ট্রাইকোডারমা ভিড়িডি ৩০ গ্রাম ৫০০ গ্রাম গোবরের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।


ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।

২. আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা ।

৩. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ( যেমন: কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।


লক্ষণ

কীড়া অবস্থায় পাতা মোড়ায় এবং সবুজ অংশ খায় । এটি সাধারণত কচি পাতাগুলোতে আক্রমণ করে থাকে

 

প্রতিকার

ক্ষেত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ।

আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।

* ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা ( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)

আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন-২ মিঃলিঃ মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করা ।


ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে পাতায় বৈশিষ্টপূর্ণ দাগ দেখা যায়। দাগের কেন্দ্র বাদামি বা সাদাটে এবং কিনারা কালচে ও হলুদ।

প্রতিকার :

*আক্রান্ত পাতা ও ডগা অপসারণ করে মাটিতে পুতে ফেলা বা পুড়ে ফেলা।

কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাক নাশক (যেমন: ব্যাভিস্টিন/ নোইন ইত্যাদি ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১.বপনের পূর্বে বীজ শোধন করা (ভিটাভেক্স-২.৫ গ্রাম বা ব্যাভিষ্টিন- ২ গ্রাম প্রতি কেজি বীজ) বা ট্রাইকোডারমা ভিড়িডি ( ৩-৪ গ্রাম/ কেজি বীজ) দ্বারা শোধন করা ।

২. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করুন

২. ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যাক্ত অংশ ধ্বংস করুন


এ পোকা ফল ও বীজ ছিদ্র করে নষ্ট করে ।

 

এর প্রতিকার হল:

১. প্রতিদিন পোকাসহ আক্রান্ত ফুল বা ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।

২. গাছের নিচে ঝরে পড়া ফুল, ফল ও পাতা সংগ্রহ করে মাটির নিচে পুতে ফেলা।

৩. সপ্তাহে একবার ডিম নষ্টকারী পরজীবী যেমন: ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ হেক্টর প্রতি ১ গ্রাম হারে এবং কীড়া নষ্টকারী পরজীবী যেমন: ব্রাকন হেবিটর হেক্টর প্রতি ১ বাংকার বা ৮০০-১২০০ টি পর্যায়ক্রমিকভাবে অবমুক্তায়িত করা।

৪. জৈব বালাইনাশক যেমন: এমএনপিভি ০.২ গ্রাম/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করা বা বাইকাউ ২ মিলি/ লি. হারে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

৫. অথবা আক্রমণ বেশি হলে সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: রিপকর্ড বা সিমবুশ ১ মি.লি. / লি. হারে বা এমামেকটিন বেনজোয়েড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: প্রোক্লেইম বা সাহাম ১ গ্রাম/ লি হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা

৩. বালাইনাশক ব্যবহারের আগে বালাইনাশকের গায়ে আটা লেবেল ভালভাবে পড়ুন।

 

আপনার ফসলের সমস্যাটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিকটস্থ উপজেলা কৃষি অফিস বা উপ সহকারি কৃষি অফিসারের সংগে যোগাযোগ করুন


এ রোগ হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক করা পাতা দেখা দেয়।

এর প্রতিকার হল

১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা/ ডাল কেটে দেয়া

২. জাব পোকা এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।


ছক্রাকের আক্রমনে এ রোগ হয়। এতে পাতায় ও ফলে মরিচারমত দাগ দেখা যায় ।

 

এর প্রতিকার হল :

১. আক্রান্ত ফল,পাতা ও ডগা অপসারণ করা।

২. প্রপিকোনাজলগ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ৩ বার শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১.রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করা

২. বীজ লাগানোর আগে প্রোভ্যাক্স প্রতি কেজি বীজের জন্য ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করা ।