লক্ষণ

বয়স্ক পাতায় রোগের লক্ষণ প্রথম দেখা যায় । আক্রান্ত পাতায় উপর কাল বা বাদামী রংয়ের বৃত্তাকার দাগ পড়ে । ক্ষত স্থানটি অনেকগুলি ছোট বড় বৃত্তের সমষ্টি । পাতার মত কান্ডেও বৃত্তাকার দাগ দেখা যায় ।

 

প্রতিকার

পরিমিত ও সময়মত সুষম সার ও সেচ প্রয়োগ করা এবং আলু রোপনের ২৫-৩০ দিন পর পর প্রতিরোধ হিসেবে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম মেনকোজেব /প্রপিনেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ডাইথেন এম ৪৫ বা ইন্ডোফিল এম ৪৫ বা এন্ট্রাকোল ৭ দিন পর পর স্প্রে করা । 

 ধ্বসা দেখার সাথে সাথে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ম্যানকোজেব +মেটালেক্সিল গ্রুপের রিডোমিল গোল্ড ৬৮ ডব্লিউপি বা সান্ডেমিল ৭২ ডব্লিউপি বা মেটারিল৭২ ডব্লিউপি অথবা ম্যানকোজেব + সাইমোক্সানিল গ্রুপের সানোক্সানিল৭২ ডব্লিউপি বা মাইক্রো ৭২ ডব্লিউপি বা এক্সাটামিল ৭২ ডব্লিউপি স্প্রে করা । 

  

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

২. একই জমিতে বার বার আলু চাষ করবেন না ।



পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. সুস্থ, সবল ও রোগ সহনশীল জাত চাষ করা ।

২. সম্ভব হলে ট্রু পটেটো সীড ব্যবহার করা বা প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম প্রোভেক্স ২০০ ডব্লিউপি বা ম্যাপভেক্স ৭৫ ডব্লিউপি দিয়ে বীজ আলুতে স্প্রে করা।

৩. নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করুন।

৪. সুষম সার প্রয়োগ করুন


লক্ষণ:

এ রোগ হলে পাতা হলুদ হয়ে যায় । অধিক আক্রমণে গাছে মরে যায় ।

 

প্রতিকার:

*ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।

* ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতি জীবানুমুক্ত রাখা।

* আক্রান্ত গাছ আপসারণ করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

 

১. একই জমিতে বার বার আলু চাষ করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা


লক্ষণ:

এ পোকা রাতের বেলা চারা মাটি বরারবর কেটে দেয়। সকাল বেলা চারা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় ।

প্রতিকার :

১। সকাল বেলা কেটে ফেলা চারার আশে পাশে মাটি খুরে পোকা বের করে মেরে ফেলা ।

২। কেরোসিন (২-৩ লি./ হেক্টর হারে) মিশ্রিত পানি সেচ দেয়া।

৩। পাখি বসার জন্য ক্ষেতে ডালপালা পুতে দেয়া।

৪। রাতে ক্ষেতে মাঝে মাঝে আবর্জনা জড়ো করে রাখলে তার নিচে কীড়া এসে জমা হবে, সকালে সেগুলোকে মেরে ফেলা।

৫। ক্ষেতের মাটি আলগা করে দেওয়া।

৬. এ পোকা নিশাচর, রাতের বেলা সক্রিয় থাকে- তাই রাতে হারিকেন বা টর্চ দিয়ে খুজে খুজে পোকা মেরে ফেলা

৭।ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ডারসবান ৫ মিলি./লি হারে অথবা (ক্লোরপাইরিফস+ সাইপারমেথ্রিন) গ্রুপের কীটমাশক যেমন: বাইপোলার ৫০ ইসি বা হাইড্রো বা সেতারা ৫৫ ইসি ২ মি.লি. / লি. হারে অথবা ল্যাম্ডা সাইহ্যালোথ্রিন গ্রুপের কীটমাশক যেমন: ক্যারাটে বা ফাইটার বা রিভা ২.৫ ইসি ১.৫ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে বা সন্ধ্যার পর গাছের গোড়ায় স্প্রে করা।


লক্ষণ

পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।

 

প্রতিকার

পোকাসহ গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা

প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা

পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা

ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।

হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।

তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।

প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা


এ রোগ হলে গাছের পাতা হলদে হয়ে শুকিয়ে যায়, ধীরে ধীরে গাছ ঢলে পড়ে এবং মারা যায়।

এর প্রতিকার হল:

১। আক্রান্ত গাছ তুলে ক্ষেত পরিস্কার করা

২। চ্যাম্পিয়ন ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।


লক্ষণ:

আক্রান্ত আলু নরম হয়ে পচে যায়। পচা আলু থেকে এক ধরণের গন্ধও বের হয় ।

প্রতিকার :

১. প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত গাছ/ আলু সংগ্রহ করে নষ্ট করা ।

২. পানি নিষ্কাষণের ভাল ব্যবস্থা করা ।


লক্ষণ

নাইট্রোজেন ঘাটতি হলে শালগমের পুরাতন পাতার শিরার মধ্যবর্তী অংশ হলুদ হয়ে যায়। পাতা কিনারা থেকে শুকাতে শুরু করে আস্তে আস্তে কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হয় ।

 

প্রতিকার

* মাটির ধরন ও ফসল বিন্যাসঅনুসারে সুষম সার প্রয়োগ করা

* মধ্যম মানের উর্বর জমির ক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি ৬০০ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ নিশ্চিত করা।


লক্ষণ

পাতার উপর ফ্যাকাসে অথবা ফিকে সবুজ রংয়ের গোলাকার অথবা এলোমেলো পানি ভেজা দাগ পড়ে । কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘলা আবহাওয়ায় দাগ সংখ্যা ও আকার দ্রুত বাড়তে থাকে । বাদামী থেকে কালচে রং ধারণ করে । রোগের আক্রমণ বেশী হলে গাছের কান্ডেও রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় । রোগের লক্ষণ দেখা দেয়ার ৩-৪ দিনের মধ্যে গাছ ঝলসে যায় ও দ্রুত মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে ।

 

প্রতিকার

*পরিমিত সার ব্যবহার করা , সকালে সেচ প্রয়োগ করা ও উত্তম নিষ্কাষণ ব্যবস্থা রাখা।

* সারির দুই পাশে বেশি করে মাটি তুলে দেয়া। রোগের অনুকুল পূর্বাভাস (কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘলা আবহাওয়ায় ) পাওয়া মাত্র প্রতিরোধক হিসাবে (ম্যানকোজেব + মেটালেক্সিল) জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন: রিডোমিল গোল্ড বা করমি বা মেটারিল বা ম্যানকোসিল বা ক্রেজি প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করা

*রোগের আক্রমণ বেশী হলে প্রতি লিটার পানিতে-২ গ্রাম সিকিউর মিশিয়ে স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায় ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

২. একই জমিতে বার বার আলু চাষ করবেন না ।

৩. অতিরিক্ত নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ করবেন না

৪.শেষ বিকালে সেচ দিবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১. সুস্থ, সবল ও রোগ সহনশীল জাত চাষ করা ।

২. সম্ভব হলে ট্রু পটেটো সীড ব্যবহার করা

৩. নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করুন।

৪. সুষম সার প্রয়োগ করুন

 পাতা ও গাছের গায়ে সাদা পাউডারের মত দাগ দেখা যায়, যা ধীরে ধীরে সমস্ত পাতায় ছড়িয়ে পড়ে । আক্রান্ত বেশী হলে পাতা হলুদ বা কালো হয়ে মারা যায় ।

 

প্রতিকার :

১. সম্ভব হলে গাছের আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে ধ্বংস করুন।

২. ক্ষেত পরিস্কার রাখুন এবং পানি নিস্কাষনের ভাল ব্যবস্থা রাখুন।

৩. (ম্যানকোজেব+মেটালোক্সিল) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম/ লিটার হারে অথবা সালফার ছত্রাক নাশক যেমন কুমুলাস ৪ গ্রাম বা গেইভেট বা মনোভিট বা থিওভিট ২ গ্রাম অথবা কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাক নাশ যেমন: গোল্ডাজিম ০.৫ মিলি. বা এমকোজিম বা কিউবি বা চ্যামপিয়ন ২ গ্রাম/ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

২. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

৩. এলোপাতারি বালাইনাশক ব্যবহার করে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করুন

২. সুষম সার ব্যবহার করুন

৩. রোগ প্রতিরোধী জাত যেমন: বারি উদ্ভাবিত/ অন্যান্য উন্নত জাতের চাষ করুন

৪. বিকল্প পোষক যেমন: আগাছা পরিস্কার রাখুন

 

আপনার ফসলের সমস্যাটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিকটস্থ উপজেলা কৃষি অফিস বা উপ সহকারি কৃষি অফিসারের সংগে যোগাযোগ করুন

 


ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা বা পুড়ে ফেলা।

২. আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা ।

৩. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ( যেমন: কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।


লক্ষণ

পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । পূর্ণ বয়স্করা চারা গাছের বেশি ক্ষতি করে । এরা পাতা ছোট ছোট ছিদ্র করে খায় ।

 

প্রতিকার

·     হাত জাল দ্বারা পোকা সংগ্রহ করে মেরে ফেলা ।

·     পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ।

·     চারা গাছ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া ।

·     আক্রান্ত গাছে ছাই ছিটানো

·     ০.৫% ঘনত্বের সাবান পানি অথবা ৫ মিলি তরল সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

·     ৫০০ গ্রাম নিম বীজের শাঁস পিষে ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা ছেঁকে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা

৩. বিকল্প পোষক যেমন: আগাছা পরিস্কার রাখা


ক্ষতির লক্ষণ

এ রোগের আক্রমণে আলুর গা এবড়ো থেবড়ো হয়ে যায়, দাগ পড়ে এবং আলুর গায়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। ।

 

প্রতিকার :

রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করা।

  • জমিতে অতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহার না করা।

  • জমিতে শতাংশ প্রতি ১৮০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করা।
  • জমিতে শেষ চাষের সময় প্রতি বিঘায় ২ কেজি স্টেবল ব্লিচিং পাউডার দেওয়া।