লক্ষণ

বয়স্ক পাতায় রোগের লক্ষণ প্রথম দেখা যায় । আক্রান্ত পাতায় উপর কাল বা বাদামী রংয়ের বৃত্তাকার দাগ পড়ে ।

 

প্রতিকার

পরিমিত ও সময়মত সুষম সার ও সেচ প্রয়োগ করা এবং পাতায় ২/১টি দাগ দেখার সাথে সাথে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম আইপ্রোডিয়ন বা মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: রোভরাল বা ডাইথেন এম ৪৫ স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

২. একই জমিতে বার বার ঢেড়ঁশের চাষ করবেন না ।

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. সুস্থ, সবল ও রোগ সহনশীল জাত চাষ করা ।

২. প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম আইপ্রোডিয়ন বা মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: রোভরাল গ্রাম বা ডাইথেন এম ৪৫ মিশিয়ে বীজ শোধন করা

৩. নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করুন।

৪. সুষম সার প্রয়োগ করুন


লক্ষণ:

আক্রান্ত চারার গোড়ার চারদিকে দাগ দেখা যায় । শিকড় পচে যায়, চারা নেতিয়ে পড়ে গাছ মারা যায় । স্যাতস্যাতে মাটি ও মাটির উপরিভাগ শক্ত হলে রোগের প্রকোপ বাড়ে । রোগটি মাটিবাহিত বিধায় মাটি, আক্রান্ত চারা ও পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে ।

 

প্রতিকার

১. আক্রান্ত গাছ অপসারণ করা

২. কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ব্যাভিস্টিন ২ গ্রাম / লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে গোড়ার মাটিসহ ভিজিয়ে দেওয়া।


লক্ষণ

পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই পাতা কান্ড ও ডগার রস চুষে খায়্ । আক্রান্ত স্থান কালো ঝুলের মত দেখায় আক্রান্ত পাতা ঝরে পড়ে ।

 

প্রতিকার

আক্রান্ত ডগা, পাতা ও ডাল দেখা মাত্রা তা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।

আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন বা সুমিথিয়ন ২ মিঃলি মারসাল ২০ ইসি ১মিঃলিঃ ডায়ামেথয়েট ৪০ ইসি ২মিঃলিঃ মিশিয়ে স্প্রে করা ।


লক্ষণ

পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।

 

প্রতিকার

·     গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা

·     প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা

·     পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা

·     ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।

·     হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।

·     তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।

·     প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা


লক্ষণ

পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । চারা গাছ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এরা পাতার রস খায়। আক্রান্ত পাতা বিবর্ণ হয় । পাতা হলুদ হতে তামা রং হয় এবং পরে শুকিয়ে যায় ।

 

প্রতিকার

·     হাত জাল দ্বারা পোকা সংগ্রহ ।

·     পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ।

·     ফাঁদ শস্য যেমন ঢেঁড়স ক্ষেতের চারদিকে বেগুন লাগানো ।

·     আক্রান্ত গাছে ছাই ছিটানো

·     ০.৫% ঘনত্বের সাবান পানি অথবা ৫ মিলি তরল সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

·     ক্ষেতে মাকড়সা সংরক্ষণ করা (১টি মাকড়সা গড়ে দিনে ২-১৫টি জ্যাসিড শিকার করে খায় ।

·     ৫০০ গ্রাম নিম বীজের শাঁস পিষে ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা ছেঁকে জ্যাসিড আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে ।


পোকা দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ডায়মেথোয়েট ৪০ ইসি (রগর, টাফগর, সানগর, পারফেকথিয়ন)১মিঃলিঃ এডমায়ার ১ মিঃলিঃ মেটাসিস্টক্স ১ মিঃলিঃ সবিক্রন ১মিঃলিঃ, এসাটাফ- ১.৫ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে ।


লক্ষণ

পোকার কীড়া কচি ফল ও ডগা ছিদ্র করে ও ভিতরে কুরে কুরে খায় । এরা ফলের কুঁড়িও খায় ।

 

প্রতিকার

ক্ষেত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ।

আক্রান্ত ডগা ও ফল সংগ্রহ করে নষ্ট করা

চারা রোপনের ১৫ দিন পর থেকে ক্ষেত ঘন ঘন পর্যাবেক্ষন করা ।

জৈব বালাইনাশক ব্যবহার যেমন নিমবিসিডিন ৩ মিঃলিঃ / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্পে করা ।

শতকরা ১০ ভাগের বেশি ক্ষতি হলে যে কোন একটি বালাইনাশক ব্যবহার করা । যেমন রিপকর্ড ১ মিঃলিঃ বা ডেসিস ০.৫মিলি বা ফাসটেক ০.৫ মিঃলিঃ বা সাবক্রণ -২ মিঃলিঃ বা সুমিথিয়ন-২ মিঃলিঃ বা ডায়াজিনন ২ মিঃলিঃ /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্পে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা


পাতা ও গাছের গায়ে সাদা পাউডারের মত দাগ দেখা যায়, যা ধীরে ধীরে সমস্ত পাতায় ছড়িয়ে পড়ে । আক্রান্ত বেশী হলে পাতা হলুদ বা কালো হয়ে মারা যায় ।

 

প্রতিকার :

 

১. সম্ভব হলে গাছের আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে ধ্বংস করুন।

২. ক্ষেত পরিস্কার রাখুন এবং পানি নিস্কাষনের ভাল ব্যবস্থা রাখুন।

৩. (ম্যানকোজেব+মেটালোক্সিল) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম/ লিটার হারে অথবা সালফার ছত্রাক নাশক যেমন কুমুলাস ৪ গ্রাম বা গেইভেট বা মনোভিট বা থিওভিট ২ গ্রাম অথবা কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাক নাশ যেমন: গোল্ডাজিম ০.৫ মিলি. বা এমকোজিম বা কিউবি বা চ্যামপিয়ন ২ গ্রাম/ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।


লক্ষণ

কীড়া অবস্থায় পাতা মোড়ায় এবং সবুজ অংশ খায় । এটি সাধারণত কচি পাতাগুলো আক্রমণ করে থাকে

 

প্রতিকার

ক্ষেত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ।

আক্রন্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।

* ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা ( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)

আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন-২ মিঃলিঃ মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করা ।


ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।

২. আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা ।

৩. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ( যেমন: কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা

৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা


লক্ষণ :

এ রোগে আক্রান্ত পাতায় প্রথমে ছোট ছোট পানিভেজা দাগ দেখা যায় আস্তে আস্তে দাগগুলো বড় হয় । অনেক দাগ একত্রিত হয়ে বড় দাগ তৈরি করে। দাগের কিনারা গাঢ় বাদামি এবং কেন্দ্র সাদাটে হয় । পাতা ঝড়ে যায় এবং গাছ মরেও যেতে পারে

প্রতিকার :

# আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

# এটি তেমন ফলনে প্রভাব ফেলে না তাই রাসায়নিক বালাই নাশক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তবে অধিক আক্রমণের ক্ষেত্রে রিডোমিল গোল্ড এম জেড ৩ গ্রাম/ লি. হরে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে


লক্ষণ

পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । পূর্ণ বয়স্করা চারা গাছের বেশি ক্ষতি করে । এরা পাতা ছোট ছোট ছিদ্র করে খায় । আক্রান্ত পাতায় অসংখ্য ছিদ্র হয় ।

 

প্রতিকার

·     হাত জাল দ্বারা পোকা সংগ্রহ ।

·     পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ।

·     চারা গাছ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া ।

·     আক্রান্ত গাছে ছাই ছিটানো

·     ০.৫% ঘনত্বের সাবান পানি অথবা ৫ মিলি তরল সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

·     ৫০০ গ্রাম নিম বীজের শাঁস পিষে ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা ছেঁকে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা

৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করুন


লক্ষণ

এক সাথে অনেক পোকা পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে । ফলে পাতা জালের মত হয়ে যায়। এ পোকা পাতা খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।

 

প্রতিকার

১. পোকাসহ গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা

২. ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা

৩. প্রাকৃতিক শত্রুদের রক্ষা করা

৪. ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।

৫. তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।

৬. বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা

৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করা


লক্ষণ

ভাইরাসের আক্রমণে এ রোগ হয়। এ রোগে পাতা হলুদ যায় এবং পাতারশিরা উপ শিরাগুলো স্পস্ট হয় ও স্বচ্ছ হয় ।

 

প্রতিকার

* দেথামাত্র আক্রান্ত গাছ তুলে মাটির নিচে পুতে ফেলা

* বাহক পোকা দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ডায়মেথোয়েট ৪০ ইসি (রগর, টাফগর, সানগর, পারফেকথিয়ন)১মিঃলিঃ এডমায়ার ১ মিঃলিঃ মেটাসিস্টক্স ১ মিঃলিঃ সবিক্রন ১মিঃলিঃ, এসাটাফ- ১.৫ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

২.আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা

৩. সহনশীল জাতের চারা রোপন করুন যেমন: বারি ঢেড়শ-১

৪. রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করুন


ক্ষতির লক্ষণ

এ রোগের আক্রমনে পাতায় , ফলে ও কান্ডে কাল ময়লা জমে। মিলিবাগ বা সাদা মাছির আক্রমন এ রোগ ডেকে আনে।

প্রতিকার :

# আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।

# টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

 

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

২. আক্রান্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

 

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা

৩. রোগ প্রতিরোধী জাত যেমন: বারি জাতের ঢেড়শ চাষ করা