স্ত্রী মাছি কচি ফলের নিচের দিকে ওভিপজিটর
ঢুকিয়ে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মত তরল পদার্থ বেড়িয়ে আসে যা শুকিয়ে বাদামী
রং ধারন করে । ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে ফলের শাস খেতে শুরু করে এবং ফল বিকৃত হয়ে যায়
এবং হলুদ হয়ে পঁচে ঝড়ে যায়।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত ফল বা ফুল সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা
বা পুড়ে ফেলা।
২. কচি ফল কাগজ বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া
।
৩. প্রথম ফুল আসা মাত্র কুমড়া জাতীয় ফসলের
ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা। প্রতি ১০ শতাংশের জন্য ৩ টি হারে ।
৪.আম বা খেজুরের রসে সামান্য বিষ মিশিয়ে তা
বোতলে রেখে জানালা কেটে দিয়ে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
৫. পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০
গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে তাতে সামান্য বিষ ( যেমন- সপসিন ০.২৫ গ্রাম ) মিশিয়ে তা দিয়ে
বিষটোপ তৈরী করে মাটির পাত্রে করে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
৬. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।বিষটোপ ও ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. উত্তমরুপে জমি চাষ দিয়ে পোকার পুত্তলি
পাখিদের খাবার সুযোগ করে দিন।
ক্ষতির ধরণ
# পামকিন বিটলের পূর্ণবয়স্কপোকা চারা গাছের
পাতায় ফুটো করে এবং পাতার কিনারা থেকে খাওয়া শুরু করে সম্পূর্ণ পাতা খেয়ে ফেলে। # এ
পোকা ফুল ও কচি ফলেও আক্রমণ করে।
এর প্রতিকার হল
১. চারা আক্রান্ত হলে হাত দিয়ে পূর্ণবয়স্ক
পোকা ধরে মেরে হাত দিয়ে মেরে ফেলা
২. ক্ষেত সব সময় পরিষ্কার রাখা।
৩.কেরোসিন মিশ্রিত ছাই গাছে ছিটানো;
৪. ক্ষেতের আশপাশের বিকল্প পোষক অর্থাৎ কুমড়াজাতীয়
সবজি নষ্ট করা;
৫. গাছের গোড়ার মাটি কুপিয়ে কিড়া উন্মুক্ত
করে দেওয়া এবং ডাল পুঁতে পাখি বসার জায়গা করে দেওয়া;
৬. চারা বের হওয়ার পর থেকে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত
মশারির জাল দিয়ে চারাগুলো ঢেকে রাখলে এ পোকার আক্রমণ থেকে গাছ বেঁচে যায়;
৭.এক কেজি মেহগনি বীজ কুচি করে কেটে ৫ লিটার
পানিতে ৪-৫ দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ছেঁকে ২০ গ্রাম সাবান গুঁড়া এবং ৫ গ্রাম সোহাগা
মিশিয়ে ২০ মিনিটে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা হলে ৫ গুণ পানি স্প্রে করুন;
লক্ষণ :
এরা ডগা ও পাতার রস চুষে খায় ফলে গাছ দুর্বল
হয়ে পড়ে।
প্রতিকার :
১. ক্ষেতে রাতের বেলা আঠাযুক্ত বোর্ড স্থাপন
করা এবং সকাল বেলা পোকা মেরে ফেলা।
২. নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করা এবং পোকার ডিম
দেখলে তা ধ্বংশ করা।
৩. ৫০ গ্রাম সাবানের গুড়া ১০ লিটার পানিতে
গুলে পাতার নিচে সপ্তাহে ২/৩ বার ভাল করে স্প্রে করা। সাথে সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসাবে
অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করা। যেমন: এডমায়ার ০.৫ মিলি বা ০.২৫ মিলি ইমিটাফ বা ২
মিলি টাফগর/রগব/সানগর প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. এ পোকার আক্রমণের আশঙ্কা থাকলে ক্ষেতে
মালচিং করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
লক্ষণ
পূর্ণ বয়স্ক বিটল ও গ্রাব উভয়েই পাতা খায়
। আক্রন্ত পাতা ঝাঁঝরা করে, পরে পাতা শুকিয়ে যায় এবং ঝরে পাড়ে ।
প্রতিকার
·
ক্ষেত পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখা ।
·
গাছে ছাই ছিটানো ।
·
পরজীবী বোলতা সংরক্ষণ করা ।
·
ডিম ও কীড়া নষ্ট করা এবং পোকা সংগ্রহ
করে মেরে ফেলা ।
·
শতকরা ১০ ভাগ পাতা পোকা দ্বারা আক্রান্ত
হলে প্রতি লিটার পানিতে ডেনিটল/ট্রিবন-১ মিঃলিঃ বা সুমিথিয়ন-২ মিঃলিঃ বা সেভিন ২ গ্রাম
মিশিয়ে স্প্রে করা ।
এ রোগ হলে পাতায় পানি ভেজা দাগ দেখা যায়।
ব্যপক আক্রমনে পাতা শুকিয়ে যায় এবং গাছ মারা যায়। কান্ড ফেটে লালচে আঠা বের হয়।
প্রতিকার:
১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
২. রোগমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা
৩. ম্যানকোজেব অথবা ম্যানকোজেব + মেটালক্সিল
যেমন: রিদোমিল গোল্ড ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে
করা।
বয়স্ক পাতায় এ রোগ প্রথম দেখা যায়। আক্রান্ত
পাতার গায়ে সাদা বা হলদে থেকে বাদামী রংগের তালির মত দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে অন্যান্য
পাতায় ছড়িয়ে পড়ে ।
প্রতিকার :
১. সম্ভব হলে গাছের আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে
ধ্বংস করা ।
২. ক্ষেত পরিস্কার রাখুন এবং পানি নিস্কাষনের
ভাল ব্যবস্থা রাখুন।
৩. (ম্যানকোজেব+মেটালোক্সিল) গ্রুপের ছত্রাকনাশক
যেমন: পুটামিল বা রিডোমিল গোল্ড অথবা (ম্যানকোজেব+ ফেনামিডন) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন:
সিকিউর ২ গ্রাম/ লিটার হারে অথবা সালফার গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: কুমুলাস ২ কেজি/
হেক্টর হারে বা গেইভেট বা মনোভিট বা ম্যাকভিট ২ মিলি. / লি হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে
করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
২. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন
না
৩. এলোপাতারি বালাইনাশক ব্যবহার করে পরিবেশ
ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
০. প্রথম বার লক্ষণ দেখা যেতেই ব্যবস্থা নিন
১. আগাম বীজ বপন করুন
২. সুষম সার ব্যবহার করুন
৩. রোগ প্রতিরোধী জাত যেমন: বারি উদ্ভাবিত/
অন্যান্য উন্নত জাতের চাষ করুন
৪. বিকল্প পোষক যেমন: আগাছা পরিস্কার রাখুন
আপনার ফসলের সমস্যাটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত
জানতে নিকটস্থ উপজেলা কৃষি অফিস বা উপ সহকারি কৃষি অফিসারের সংগে যোগাযোগ করুন
ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে
ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা
পুড়ে ফেলা।
২. আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা ।
৩. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ( যেমন:
কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
লক্ষণ
কীড়া অবস্থায় পাতা মোড়ায় এবং সবুজ অংশ খায়
। এটি সাধারণত কচি পাতাগুলো আক্রমণ করে থাকে
প্রতিকার
•ক্ষেত পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন রাখা ।
• আক্রন্ত পাতা
সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।
* ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা
( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)
• আক্রমণ বেশি হলে
প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন-২ মিঃলিঃ মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করা ।
লক্ষণ
এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। সাদা মাছি দ্বারা
ভাইরাস ছড়ায় । আক্রান্ত গাছ খর্বাকৃতি হয় । পাতার গায়ে টেউয়ের মত ভাজের সৃষ্টি হয়,
কুঁচকে যায় । বয়স্ক পাতা পুরু ও মচমচে হয়ে যায় । অতিরিক্ত শাখা প্রশাখা বের হয় ও ফুল
ফল ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।
প্রতিকার
• আক্রান্ত গাছ
সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।
রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার
করা ।
ভাইরাসের বাহক পোকা দমনেহার জন্য ডায়ামেথেয়ট,
এসাটাফ, এডমেয়ার, টিডো, ইত্যাদি যে কোন একটি ১ মিলি /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে
করা) ।
লক্ষণ :
এরা পাতার রস চুষে খায় ফলে গাছ দুর্বল হয়ে
পড়ে। এরা ভাইরাস জনিত রোগ ছড়ায়। পাতায় অসংখ্য সাদা সাদা পাখাযুক্ত মাছি দেখা যায়। গাছে
নাড়া দিলে পোকা উড়ে যায়
প্রতিকার :
১. সাদা আঠাযুক্ত বোর্ড স্থাপন বা আলোর ফাঁদ
ব্যবহার করা।
২. নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করা।
৩. 50 গ্রাম সাবানের গুড়া 10 লিটার পানিতে
গুলে পাতার নিচে সপ্তাহে 2/3 বার ভাল করে স্প্রে করা। সাথে 5 কৌটা গুল (তামাক গুড়া)
পানিতে মিশিয়ে দিলে ফল ভাল পাওয়া যায়।
৪. সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসাবে অনুমোদিত বালাইনাশক
ব্যবহার করা। যেমন এডমায়ার 0.5 মিলি বা 0.25 মিলি ইমিটাফ বা 2 মিলি টাফগর/রগব/সানগর
প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা