দীর্ঘ খরা হলে বা শুষ্ক ও গরম হাওয়ার ফলে শারীরবৃত্তীয় কারণে অথবা মাটি অধিক শক্ত থাকলে অথবা হঠাৎ সেচ দেয়া বা অতিরিক্ত নাইট্রোজেন সার বা হরমোন প্রয়োগের কারণে ওলকপি ফেটে যেতে পারে ।

এর ব্যবস্থাপনা হল:

১. খরা মৌসুমে নিয়মিত পরিমিত সেচ দেওয়া

২. পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ করা।


লক্ষণ:

এ রোগ হলে পাতা হলুদ হয়ে যায় । অধিক আক্রমণে গাছে মরে যায় ।

 

প্রতিকার:

*ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।

* ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতি জীবানুমুক্ত রাখা।

* আক্রান্ত গাছ আপসারণ করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

১. একই জমিতে বার বার ওলকপির চাষ করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা


লক্ষণ

ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে পাতায় একত্রে গাদা করে থাকে এবং পাতার সবুজ অংশ খেয়ে বড় হতে থাকে । এভাবে খাওয়ার ফলে পাতা জালের মত হয়ে যাওয়া পাতায় অনেক কীড়া দেখতে পাওয়া যায় । কয়েক দিনের মধ্যে এরা ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে এবং বড় বড় ছিদ্র করে পাতা খেয়ে ফেলে ।

 

প্রতিকার

* কীড়াসহ গাছ থেকে পাতা ছিড়ে নিয়ে পা দিয়ে পিষে পোকা মেরে ফেলতে হবে

* ছড়িযে পড়া বড় কীড়াগুলোকে ধরে ধরে মেরে ফেলতে হবে । এভাবে অতি সহজেই এ পোকা দমন করা যায় ।

* চারা লাগানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে ।

* ফেরোমন ফাঁদ পাতার পরও যদি আক্রমণের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় তবে জৈব বালাইনাশক এসএনপিভি প্রতি লিটার পানিতে ০.২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে ।

* প্রতি সপ্তাহে একবার করে কীড়া নষ্টকারী পরজীবী পোকা, ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে আবমুক্তায়িত করলে এ পোকার আক্রমণের হার অনেকাংশে কমে যায়।

* আক্রমণ বেশি হলে স্পর্শ বিষ যেমন সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক ( সুপারথ্রিন -১০ ইসি বা সিমবুশ -১০ ইসি বা ফেনম বা রাইস ইত্যাদি ) প্রতি ১০ লিটার পানির সাথে ১০ মিলি হারে মিশিযে ১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে ।


লক্ষণ

এ রোগ হলে পাতায় ছোট ছোট দাগ পড়ে। দাগগুলো পানি ভেজা বলয় দ্বারা আবৃত থাকে । অধিক আক্রমণে পাতা শুকিয়ে যায়।

 

প্রতিকার

*ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।

* ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতি জীবানুমুক্ত রাখা।

* রিডোমিলগোল্ড ১ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।


ক্ষতির লক্ষণ

এ রোগের আক্রমণে ওলকপির গা এবড়ো থেবড়ো হয়ে যায়, দাগ পড়ে এবং ওলকপির গায়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। ।

 

প্রতিকার :

রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করা।

# জমিতে অতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহার না করা।

জমিতে শতাংশ প্রতি ১৮০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করা।