লক্ষণ :
চারা ও বয়স্ক আবস্থায় এ রোগের আক্রমণ হয় ও বেশী আক্রমণে গাছ মারা যায়। বয়স্ক গাছ হলুদ রং হয়। আক্রান্ত গাছ ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে যায়। মাটির সংযোগস্থলে পচন দেখা দেয়।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত গাছ তুলে নষ্ট বা পুড়ে ফেলা।
২. পানি নিস্কাষণের ভাল ব্যবস্থা করা।
৩. অধিক আক্রমণের ক্ষেত্রে ট্রায়াজল + সেটাবিউলরিন গ্রুপের এমিস্টার টপ ৩২.৫ ইসি বা নাটিভো ৭৫ ডব্লিউডিজি ১ মি.লি./ ২ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. জমিতে কয়েকবার অন্য ফসল চাষ করে আবার মসুর চাষ করুন।
২. অধিক পরিমাণে জৈব সার ব্যবহার করা।
৩. জমি চাষ দিয়ে কিছু দিন ফেলে রাখা।
৪. বপনের পূর্বে কেজি প্রতি ২.৫ গ্রাম প্রোভেক্স ২০০ ডব্লিউপি বা ম্যাপভেক্স মিশিয়ে বীজ শোধন করুন।
এ রোগ দেখা দিলে
পাতায় পানি ভেজা দাগ দেখা যায় এবং ফলের উপর ছত্রাকের আস্তরণ পড়ে । এক সময় ফল পচে যায়
এবং গাছ মারা যেতে পারে।
এর প্রতিকার হল:
পটাশের ঘাটতি জনিত
জমিতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা গেছে। তাই পটাশের ঘাটতি জনিত জমিতে শতাংশ প্রতি
৩০০ গ্রাম পটাশ প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে ।
লক্ষণ
ডিম থেকে কীড়া
বের হয়ে পাতায় একত্রে গাদা করে থাকে এবং পাতার সবুজ অংশ খেয়ে বড় হতে থাকে । এভাবে খাওয়ার
ফলে পাতা জালের মত হয়ে যাওয়া পাতায় অনেক কীড়া দেখতে পাওয়া যায় ।
প্রতিকার
* প্রাথমিক অবস্থায়
কীড়াসহ আক্রান্ত অংশ ছিড়ে নিয়ে পা দিয়ে পিষে পোকা মেরে ফেলতে হবে
* ছড়িযে পড়া বড়
কীড়াগুলোকে ধরে ধরে মেরে ফেলতে হবে । এভাবে অতি সহজেই এ পোকা দমন করা যায় ।
* সম্ভব হলে জমিতে
ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে ।
* ফেরোমন ফাঁদ
পাতার পরও যদি আক্রমণের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় তবে জৈব বালাইনাশক এসএনপিভি প্রতি লিটার
পানিতে ০.২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে ।
* প্রতি সপ্তাহে
একবার করে কীড়া নষ্টকারী পরজীবী পোকা, ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে অবমুক্তায়িত
করলে এ পোকার আক্রমণের হার অনেকাংশে কমে যায়।
* আক্রমণ বেশি
হলে স্পর্শ বিষ যেমন সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক ( সুপারথ্রিন -১০ ইসি বা সিমবুশ
-১০ ইসি বা ফেনম বা রাইস ইত্যাদি ) প্রতি ১০ লিটার পানির সাথে ১০ মিলি হারে মিশিযে
১৫ দিন অন্তর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন
করা
২. সুষম সার ব্যবহার
করা
ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে
পাতায় বৈশিষ্টপূর্ণ দাগ দেখা যায়। দাগের কেন্দ্র বাদামি বা সাদাটে এবং কিনারা কালচে
ও হলুদ।
প্রতিকার :
*আক্রান্ত পাতা ও ডগা অপসারণ করে মাটিতে পুতে
ফেলা বা পুড়ে ফেলা।
• কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাক নাশক (যেমন: ব্যাভিস্টিন/ নোইন ইত্যাদি
) ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.বপনের পূর্বে বীজ শোধন করা (ভিটাভেক্স-২.৫
গ্রাম বা ব্যাভিষ্টিন- ২ গ্রাম প্রতি কেজি বীজ) বা ট্রাইকোডারমা ভিড়িডি ( ৩-৪ গ্রাম/
কেজি বীজ) দ্বারা শোধন করা ।
১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করুন
২. ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যাক্ত অংশ ধ্বংস
করুন
এ পোকা ছোলার ফল
ও বীজ ছিদ্র করে নষ্ট করে ।
প্রতিকার
১. পোকার ডিম ও
কীড়া সংগ্রহ করে মেরে ফেলা ।
২. মিশ্র ফসল হিসাবে
ধনে পাতা বা তিষির চাষ করা ।
৩. আক্রমণ বেশি
হলে সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন: রিপকর্ড বা সিমবুশ ১ মি.লি. / লি. হারে বা
এমামেকটিন বেনজোয়েড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: প্রোক্লেইম বা সাহাম ১ গ্রাম/ লি হারে পানিতে
মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. বিলম্বে ছোলা বপন
করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১.সঠিক দরত্বে
বপন করুন
২. উন্নত জাতের
চাষ করুন ।