এ রোগ হলে পাতায় পানি ভেজা দাগ দেখা যায়। ব্যপক আক্রমনে পাতা পচে যায়। কান্ড ফেটে লালচে আঠা বের হয়।
এর প্রতিকার হল:
১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
২. রোগমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা
৩. কার্বেন্ডাজিম + ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ম্যানসার ৭২ ডব্লিউপি, কেমোমিক্স ৭২ ডব্লিউপি ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।
লক্ষণ
পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে
গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।
প্রতিকার
• গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা
• প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা
• পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা
• ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
• হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।
• তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি
লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
•
প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকা দেখা
দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
এ রোগ হলে গাছ আস্তে আস্তে নেতিয়ে পড়ে ।
এর প্রতিকার হল
১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
২. কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন ম্যানসার ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
এ রোগ হলে পাতা কুঁকড়ে যায় এবং পাতা আকারে
ছোট হয়ে যায়। পাতা হলদেটে দেখা যায়। বয়স্ক পাতা শক্ত ও মচমচে হয় এবং গাছ খাটো হয়ে যায়
।
এর প্রতিকার হল
১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
২. বাহক পোকা যেমন: সাদা মাছি, লিফ হোফার
দমনের জন্য এসিফেট ১ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।
ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে
ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা
পুড়ে ফেলা।
২. আঠালো হলুদ ফাঁদ স্থাপন করা ।
৩. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ( যেমন:
কট ১০ ইসি) ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
এ রোগ হলে পুরাতন পাতায় বাদামি দাগ দেখা যায়।
দাগের কেন্দ্র হালকা বাদামি কিন্তু বাইরের দিক গাঢ় বাদামি। ব্যপক আক্রমনে পাতা মরে
যায়।
এর প্রতিকার হল:
১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত পাতা তুলে ফেলা
২. রোগমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা
৩. ম্যানকোজেব অথবা ম্যানকোজেব + মেটালক্সিল
যেমন: রিদোমিল গোল্ড ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে
করা।
লক্ষণ
পোকার কীড়া কচি ফল ও ডগা ছিদ্র করে ও ভিতরে
কুরে কুরে খায় । এরা ফলের কুঁড়িও খায়
প্রতিকার
•ক্ষেত পরিস্কার
পরচ্ছন্ন রাখা ।
• আক্রান্ত ডগা
ও ফল সংগ্রহ করে নষ্ট করা
• চারা রোপনের ১৫
দিন পর থেকে ক্ষেত ঘন ঘন পর্যাবেক্ষন করা ।
• জৈব বালাইনাশক
ব্যবহার যেমন নিমবিসিডিন ৩ মিঃলিঃ / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্পে করা ।
• শতকরা ১০ ভাগের
বেশি ক্ষতি হলে যে কোন একটি বালাইনাশক ব্যবহার করা । যেমন রিপকর্ড ১ মিঃলিঃ বা ডেসিস
০.৫মিলি বা ফাসটেক ০.৫ মিঃলিঃ বা সাবক্রণ -২ মিঃলিঃ বা সুমিথিয়ন-২ মিঃলিঃ বা ডায়াজিনন
২ মিঃলিঃ /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্পে করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
স্ত্রী মাছি কচি ফলের নিচের দিকে ওভিপজিটর
ঢুকিয়ে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মত তরল পদার্থ বেড়িয়ে আসে যা শুকিয়ে বাদামী
রং ধারন করে । ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে ফলের শাস খেতে শুরু করে এবং ফল বিকৃত হয়ে যায়
এবং হলুদ হয়ে পঁচে ঝড়ে যায়।
প্রতিকার :
১. আক্রান্ত ফল বা ফুল সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা
বা পুড়ে ফেলা।
২. কচি ফল কাগজ বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়া
।
৩. প্রথম ফুল আসা মাত্র কুমড়া জাতীয় ফসলের
ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা। প্রতি ১০ শতাংশের জন্য ৩ টি হারে ।
৪.আম বা খেজুরের রসে সামান্য বিষ মিশিয়ে তা
বোতলে রেখে জানালা কেটে দিয়ে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
৫. পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০
গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে তাতে সামান্য বিষ ( যেমন- সপসিন ০.২৫ গ্রাম ) মিশিয়ে তা দিয়ে
বিষটোপ তৈরী করে মাটির পাত্রে করে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
৬. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ১ মি.লি.
/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. উত্তমরুপে জমি চাষ দিয়ে পোকার পুত্তলি
পাখিদের খাবার সুযোগ করে দিন।
এ রোগ হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক
করা পাতা দেখা দেয়।
এর প্রতিকার হল:
১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
২. জাপ পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই
এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: এডমায়ার ১ মি.লি. / লি. হারে
পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
ক্ষতির ধরণ
# পামকিন বিটলের পূর্ণবয়স্কপোকা চারা গাছের পাতায় ফুটো করে এবং পাতার কিনারা থেকে খাওয়া শুরু করে সম্পূর্ণ পাতা খেয়ে ফেলে।
# এ পোকা ফুল ও কচি ফলেও আক্রমণ করে।
এর প্রতিকার হল
১. চারা আক্রান্ত হলে হাত দিয়ে পূর্ণবয়স্ক
পোকা ধরে মেরে হাত দিয়ে মেরে ফেলা
২. ক্ষেত সব সময় পরিষ্কার রাখা।
৩.কেরোসিন মিশ্রিত ছাই গাছে ছিটানো;
৪. ক্ষেতের আশপাশের বিকল্প পোষক অর্থাৎ কুমড়াজাতীয়
সবজি নষ্ট করা;
৫. গাছের গোড়ার মাটি কুপিয়ে কিড়া উন্মুক্ত
করে দেওয়া এবং ডাল পুঁতে পাখি বসার জায়গা করে দেওয়া;
৬. চারা বের হওয়ার পর থেকে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত
মশারির জাল দিয়ে চারাগুলো ঢেকে রাখলে এ পোকার আক্রমণ থেকে গাছ বেঁচে যায়;
৭.এক কেজি মেহগনি বীজ কুচি করে কেটে ৫ লিটার
পানিতে ৪-৫ দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ছেঁকে ২০ গ্রাম সাবান গুঁড়া এবং ৫ গ্রাম সোহাগা
মিশিয়ে ২০ মিনিটে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা হলে ৫ গুণ পানি স্প্রে করুন;
লক্ষণ : এরা পাতার রস চুষে খায় ফলে গাছ দুর্বল
হয়ে পড়ে। পাতায় অসংখ্য সাদা সাদা পাখাযুক্ত মাছি দেখা যায় ।ঝাকি দিলে পোকা উড়ে যায়
। এরা ভাইরাস জনিত রোগ ছড়ায়।
প্রতিকার :
১. সাদা আঠাযুক্ত বোর্ড স্থাপন বা আলোর ফাঁদ
ব্যবহার করা।
২. নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করা।
৩. 50 গ্রাম সাবানের গুড়া 10 লিটার পানিতে
গুলে পাতার নিচে সপ্তাহে 2/3 বার ভাল করে স্প্রে করা। সাথে 5 কৌটা গুল ( তামাক গুড়া
) পানিতে মিশিয়ে দিলে ফল ভাল পাওয়া যায়।
৪. সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসাবে অনুমোদিত বালাইনাশক
ব্যবহার করা। যেমন এডমায়ার 0.5 মিলি বা 0.25 মিলি ইমিটাফ বা 2 মিলি টাফগর/রগব/সানগর
প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি
খাবেন না বা বিক্রি করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. আগাম বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা