লক্ষণ

পূর্ণ বয়স্ক বিটল ও গ্রাব উভয়েই পাতা খায় । আক্রন্ত পাতা ঝাঁঝরা করে, পরে পাতা শুকিয়ে যায় এবং ঝরে পাড়ে ।

 

প্রতিকার

*ক্ষেত পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখা ।

*গাছে ছাই ছিটানো ।

*পরজীবী বোলতা সংরক্ষণ করা ।

*ডিম ও কীড়া নষ্ট করা এবং পোকা সংগ্রহ করে মেরে ফেলা ।

*শতকরা ১০ ভাগ পাতা পোকা দ্বারা আক্রান্ত হলে প্রতি লিটার পানিতে ডেনিটল/ট্রিবন-১ মিঃলিঃ বা সুমিথিয়ন-২ মিঃলিঃ বা সেভিন ২ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

২. আক্রান্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা

৩. প্রতিরোধী জাত চাষ করা

৪. বিকল্প পোষক যেমন: আগাছা পরিস্কার রাখা


লক্ষণ

পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।

 

প্রতিকার

  • ক্ষেত পরিষ্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।
  • পরিষ্কার পানি জোড়ে স্প্রে করা।
  • ছাই প্রয়োগ করা।
  • হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।
  •  তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।
  • ডায়াফেনথিউরোন গ্রুপের  কীটনাশক পেগাসাস ৫০ এসসি ১মি.লি./ লি. হারে অথবা সপাইরোটেট্রামেট গ্রুপের মেডেনটা ১৫০ ওডি ১মি.লি./ লি. হারে ১০ দিন পর পর ২ বার স্পে করতে হবে।


এ রোগ হলে পাতায় হলুদ দাগ দেখা দেয়।কখনও কখনও পাতা কুচকে যায়।

এর প্রতিকার হল

১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা

২. রোগমুক্ত বীজ বা চারা ব্যবহার করা

৩. ম্যানকোজেব + মেটালেক্সিল গ্রুপের ছত্রাকনাশক রিডোমিল্ড গোল্ড ৬৮ ডব্লিউপি বা সান্ডেমিল ৭২ ডব্লিউপি বা মেটারিল ৭২ ডব্লিউপি ২ গ্রাম / লি. হারে ১০ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করা।


এ রোগ হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক করা পাতা দেখা দেয়।

 

এর প্রতিকার হল:

১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা

২. জাপ পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: এডমায়ার ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।


স্ত্রী মাছি কচি ফলের নিচের দিকে ওভিপজিটর ঢুকিয়ে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মত তরল পদার্থ বেড়িয়ে আসে যা শুকিয়ে বাদামী রং ধারন করে । ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে ফলের শাস খেতে শুরু করে এবং ফল হলুদ হয়ে পঁচে ঝড়ে যায়।

প্রতিকার :

১. আক্রান্ত ফল বা ফুল সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।

২. ক্ষেতের মাঝে মাঝে কাঁঠালের মোথা দেয়া, এতে করলার পরিবর্তে স্ত্রী মাছি কাঁঠালের মোথায় ডিম পাড়বে এবং ক্ষতির পরিমান কমে আসবে।

৩. প্রথম ফুল আসা মাত্র ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা। প্রতি ১০ শতাংশের জন্য ৩ টি হারে কিউ ফেরো বা ফিজি-কিউ লিয়র  বা এসি কিউর ব্যবহার করতে হবে। 

৪.আম বা খেজুরের রসে সামান্য বিষ মিশিয়ে তা বোতলে রেখে জানালা কেটে দিয়ে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।

৫. পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০ গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে তাতে সামান্য বিষ ( যেমন- সপসিন ০.২৫ গ্রাম ) মিশিয়ে তা দিয়ে বিষটোপ তৈরী করে মাটির পাত্রে করে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।

৬. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন- রিপকর্ড ১০ ইসি বা রেলেথ্রিন ১০ ইসি  ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।


লক্ষণ

এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ।সাদা মাছি দ্বারা ভাইরাস ছড়ায় । আক্রান্ত গাছ খর্বাকৃতি হয় । পাতার গায়ে টেউয়ের মত ভাজের সৃষ্টি হয়, কুঁচকে যায় । বয়স্ক পাতা পুরু ও মচমচে হয়ে যায় । অতিরিক্ত শাখা প্রশাখা বের হয় ও ফুল ফল ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।

 

প্রতিকার

আক্রান্ত গাছ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।

রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার করা ।

ভাইরাসের বাহক পোকা দমনেহার জন্য ডায়ামেথেয়ট, এসাটাফ, এডমেয়ার, টিডো, ইত্যাদি যে কোন একটি ১ মিলি /লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা) ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. রোগমুক্ত বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা