এরা চীনাবাদামের মূল শিকড় ও কান্ড খেয়ে ক্ষতি করে এবং গাছ মরে যায় ।

এর প্রতিকার হল:

  • রানীসহ উঁইপোকার দল ধ্বংস করা ।
  •  খাদ্য ফাঁদ ব্যবহার করা (মাটির হাড়িতে পাট কাঠি, ধৈঞ্চা রেখে জমিতে পুতে রেখে পরে তুলে উঁইপোকাগুলো মেরে ফেলা)
  •  সেচ দিয়ে কিছু সময় পানি ধরে রাখা ।
  • রিজেন্ট ৩ জিআর ৬ কেজি /একর হারে প্রয়োগ করা । মাটিতে জোঁ থাকা বাঞ্চনীয় ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

১. বিলম্বে বপন করবেন না।

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

১. আগাম বাদাম বপন করুন।

২. উন্নত জাতের বাদাম বপন করুন ।


লক্ষণ

ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়। এতে পাতায় গোলাকার হলুদ কিনারা যুক্ত দাগ দেখা যায়। যা ক্রমেই বড় হয়ে সমগ্র পাতা ও কান্ডে ছড়িয়ে পড়ে ।

 

প্রতিকার

* আক্রান্ত পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা ।

* এ রোগ দেখা দিয়ে ক্যালিক্সিন ১মিলি বা টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১.রোগ প্রতিরোধী জাতের চাষ করা, নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন

২. ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যাক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলুন


পিপিলিকার উপস্থিতি এ পোকার উপস্থিতিকে অনেক ক্ষেত্রে জানান দেয় । এরা পাতা ও কচি ডগার রস চুসে খায়। এর আক্রমন বেশি হলে শুটি মোল্ড ছক্রাকের আক্রমণ ঘটে এবং গাছ মরে যায় ।

 এর প্রতিকার হল

১. হাত দিয়ে পিশে পোকা মেরে ফেলা

২. আক্রান্ত পাতা অপসারণ করা।

৩. পরভোজী পোকা যেমন : লেডিবার্ডবিটল লালন।

৪. ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা

৫. প্রতি গাছে ৫০ টির বেশি পোকার আক্রমণ হলে গেইন ২০ এসএল বা সাইপারফস ৫৫ ইসি ২ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

১. বিলম্বে বপন করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

১. আগাম বাদাম বপন করুন

২. উন্নত জাতের বাদাম বপন করুন ।


লক্ষণ

পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । চারা গাছ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এরা পাতার রস খায় । আক্রান্ত পাতা বিবর্ণ হয় । পাতা হলুদ হতে তামা রং হয় এবং পরে শুকিয়ে যায় ।

 

প্রতিকার

·      হাত জাল দ্বারা পোকা সংগ্রহ ।

·      পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ।

·      ফাঁদ শস্য যেমন ক্ষেতের চারদিকে বেগুন লাগানো ।

·      আক্রান্ত গাছে ছাই ছিটানো

·      ০.৫% ঘনত্বের সাবান পানি অথবা ৫ মিলি তরল সাবান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।

·      ক্ষেতে মাকড়সা সংরক্ষণ করা (১টি মাকড়সা গড়ে দিনে ২-১৫টি জ্যাসিড শিকার করে খায় ।

·      ৫০০ গ্রাম নিম বীজের শাঁস পিষে ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তা ছেঁকে জ্যাসিড আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে ।

·      পোকা দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ডায়মেথোয়েট ৪০ ইসি (রগর, টাফগর, সানগর, পারফেকথিয়ন)১মিঃলিঃ এডমায়ার ১ মিঃলিঃ মেটাসিস্টক্স ১ মিঃলিঃ সবিক্রন ১মিঃলিঃ, এসাটাফ- ১.৫ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

১.আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা

৩. সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করুন


লক্ষণ

এ রোগের করণে পাতার উপরে হলদে রেখা বেষ্টিত বাদামী রংয়ের গালাকার দাগ সৃষ্টি হয় । দাগগুলো ক্রমেই বড় হয় এবং ছড়িয়ে পড়ে দাগগুলো গাঢ় বাদামী হতে হালচে বর্ণের হয় । ধীরে ধীরে পাতা ঝরে যায় ।

 

প্রতিকার

* আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলা ।

* রোগ সহনশীল জাতের চাষ করা ।

*ফসল কাটার পর আগাছা পুড়ে ফেলা ।*

* রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম ব্যাভিষ্টিন/নোইন বা ২গ্রাম ডাইথেন এম-৪৫ মিশিয়ে ১২-১৫ দিন পর ২-৩ বার স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন

২. ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যাক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলুন


লক্ষণ

এর আক্রমণে পাতা কুঁকড়ে যায়। পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ।

 

প্রতিকার

·      গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা

·      প্রাথমিক অবস্থায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করা

·      পরিস্কার পানি জোরে স্প্রে করা

·      ক্ষেত পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা ।

·      হলুদ রঙের ফাঁদ ব্যবহার করা ।

·      তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার নির্যাস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা ।

·      বেশি পোকা দেখা দিলে এডমায়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. আগাম বীজ বপন করা

২. সুষম সার ব্যবহার করা


লক্ষণ

ছোট গাছ হঠাৎ মরে যেতে দেখা যায়। অনেক সময় পাতা সবুজ থাকে। বড় গাছের ক্ষেত্রে পাতাগুলো আস্তে আস্তে হলুদ হয়ে যায়

 

প্রতিকার

আক্রান্ত গাছ অপসারণ করুন ।

* অধিক আক্রমণের ক্ষেত্রে কুপ্রভিট ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন

২. ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যাক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলুন

৩. কয়েকবার দানাদার ফসলের চাষ করে পরবর্তীতে চীনাবাদাম চাষ করুন


লক্ষণ

কীড়া অবস্থায় পাতা মোড়ায় এবং সবুজ অংশ খায় । এটি সাধারণত কচি পাতাগুলোতে আক্রমণ করে থাকে

 

প্রতিকার

ক্ষেত পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখা ।

আক্রন্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।

* ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা ( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি)

আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন-২ মিঃলিঃ মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করা ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন


লক্ষণ

বয়স্ক গাছেই এ রোগের আক্রমণ বেশি হয় । পাতার নিচের দিকে প্রথমে মরিচা পড়ার ন্যায় সামান্য উচু বিন্দুর মত দাগ দেখা যায় । আক্রমণ বেশি হলে পাতার উপরের পিঠে এ রোগ দেখা যায় ।

 

প্রতিকার

* রোগ প্রতিরোধী জাতের চাষ করা ।

* আক্রান্ত পরিত্যক্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট করা ।

* ফসল কাটার পর পরিত্যক্ত গাছ, আগাছ বা নাড়া পুড়ে ফেলা ।

* এ রোগ দেখা দিলে কার্বান্ডাজিম + ম্যানকোজেব গ্রুপের ম্যানসার ৭৫ ডব্লিউপি বা ক্যাম্পানিয়ন ৭৫  ডব্লিউপি ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা অথবা কার্বান্ডাজিম + টেট্রাকোনাজল গ্রুপের ইমিনেন্ট প্রো ২ মি./লি. / প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা। 

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন

২. ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যাক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলুন


পাতার উল্টো পিঠের সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা পাতলা পর্দার মত করে ফেলে। এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে।

 

প্রতিকার

১. পাতায় ডিমের গাদা দেখলে তা তুলে ধ্বংস করতে হবে।

২. ডিম আথবা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারতে হবে।

৩. ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: মর্টার ৪৮ ইসি বা ডারসবান ২০ ইসি ২ মিলি./ লি হারে পানিতে মিশিয়ে  অথবা  ক্লোরপাইরিফস + সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ডুয়েল ৫৫ ইসি বা নাইট্রো ৫৫ ইসি ১ মিলি./ লি হারে পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

৪. ভালভাবে পোকা দমন করতে হলে ক্ষেতের আশে পাশে বা অন্য আগাছা থাকলে তা পরিস্কার করে ফেলতে হবে।

৫. বিছা পোকা যাতে এক ক্ষেত হতে অন্য ক্ষেতে ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রতিবন্ধক নালা তৈরী করা যায়।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না:

 

১. ক্ষেতের আশ পাশ অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।

 

পরবর্তীতে যা যা করবেন:

১. নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন।


লক্ষণ

কচি পাতার শিরার মধ্যবর্তী স্থান ফ্যাকাসে সবুজ হতে থাকে একপর্যায়ে পুরো পাতা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। বাদামের দানা হয়না।

 

প্রতিকার

* মধ্যম উর্বর জমি হলে জমিতে শতাংশ প্রতি ৫ গ্রাম সলুবর বোরণ সার প্রয়োগ করুন ।

*জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করুন ।

 

কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)

পরবর্তীতে যা যা করবেন না

১. একই জমিতে বারবার চীনাবাদাম চাষ করবেন না

পরবর্তীতে যা যা করবেন

১. জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করুন

২.. জমিতে কয়েকবার অন্যান্য ফসলের চাষ করে পরবর্তীতে চীনাবাদাম চাষ করুন